বিএনপির উচিত সংসদে আসা -প্রধানমন্ত্রী
গণতন্ত্রের
স্বার্থে বিএনপিকে সংসদে এসে কথা বলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী
সংসদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির
সূচনা বক্তব্যের পরে সভা শুরু হয়। সভায় সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং দলের পরবর্তী
কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। বৈঠক সূত্র জানায়, সভানেত্রী যথাসময়ে
কাউন্সিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। এছাড়া সারা দেশে সংগঠনকে
শক্তিশালী করতে কর্মসূচি হাতে নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে
আওয়ামী লীগ সভাপতির আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা দুপুর থেকেই জিরো
পয়েন্টে রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। এর আগে সকাল থেকে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থানে ছিল।
সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে সব থেকে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ, যারা প্রথম ভোটার এবং নারী সমাজের। এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হলেও কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে ব্যালটবাক্স ছিনতাই করতে গেছে। কোথাও তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে এবং তাদের এই অপকর্মের কারণে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী অনেক আছেন। আমার কাছে সমস্ত ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করা আছে। তিনি বলেন, আপনারা মাঠে ঘাটে দেখেছেন, টেলিভিশনে দেখেছেন কীভাবে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
কোনো মতে নির্বাচনটা যেন বানচাল করা যায় কিন্তু তা তারা পারে নাই। এখন বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষটা তারা কাকে দেবে? দোষ দিলে তাদের নিজেদেরকে দিতে হয়। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জয়ের কথা চিন্তা করতে পারে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ তারেক রহমানের বিভিন্ন দুর্নীতি অপকর্মের কথা তুলেন ধরেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল পলাতক আসামিকে দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেখানে কী রেজাল্ট হয়- সেটাই তারা পেয়েছে। তাও হতো না, যদি তারা নির্বাচনে যে প্রার্থী দিয়েছে, সেই প্রার্থী নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যটা না করতো। তাহলে আরও ভালো ফল তারা করতে পারত। মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির মধ্যে বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তা থেকে তো মানুষ জানতেই পেরেছে এদের চরিত্রটা কী? এদের চরিত্র শোধরায়নি। তাই বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তার পরও যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন।
কারণ, আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, আমরা যখন সরকারে এসেছি, আমরা দেশের জন্য কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে কোনো হয়রানি করতে যাইনি। বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেয়া মামলার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি। আমরা অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে এসেছি। জনগণের বিশ্বাস-আস্থাটা যে কারণে আমাদের ওপরে এসেছে। আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করি জনগণের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে। আর জনগণ আজকে তারা উপলব্ধি করতে পারে এবং আমাদের উন্নয়নের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা সবসময় লক্ষ্য করি, গ্রামের মানুষ তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। তারা একটু সুন্দর জীবন পাবে। তারা একটু উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন তাদের জীবনমান উন্নত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রতিটি কর্মসূচি নিয়েছি।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে, আমি অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি তখনই কিন্তু এদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক হতে পারে, সরকার জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। আর সরকার কাজ করলে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়, এটা তখনই আমরা প্রমাণ করতে পারলাম। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা স্বর্ণযুগ ছিল দাবি করে তিনি আরও বলেন, কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনো থেমে যায় না। ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। আমরা ভোট বেশি পেলাম কিন্তু সরকার গঠন করতে পারলাম না।
২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যে দুর্বিষহ অবস্থা ছিল, সেটা আমরা সবাই জানি। সেটা নিয়ে আর আমার বেশি বলার প্রয়োজন নেই। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটগভাবে জয়ী হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কিন্তু ভোটের হার ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে অনেক বেশি পড়েছিল। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলবো এবং দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফলটা পৌঁছাতে পারি, সেইভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই মানুষের এই উপলব্ধিটা এসে গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে তারা ভালো থাকে, তাদের জীবনমান উন্নত হয়। তাদের দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হয় না। তারা শান্তিতে থাকতে পারে। তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে।
২০১৩ থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দেশের মানুষ কখনো মেনে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালে আবার আমরা সরকার গঠন করি। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা একটানা দশ বছর হাতে সময় পেয়েছিলাম, যার ফলে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে পেরেছি তার ফলে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল? কী করবে? তারাও কিন্তু সকলে এগিয়ে এসেছিল আমাদের এই নির্বাচনে সমর্থন দেয়ার জন্য। বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়ার জন্য। এখানে ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, কামার-কুমার জেলে-তাঁতী মেহনতি মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সমপ্রদায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকের মাঝে একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, আওয়ামী লীগ আসলে তারা ভালো থাকবে, আওয়ামী লীগ আসলে দেশটা ভালো চলবে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশের উন্নতি হবে- এই উপলব্ধিটা তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে দানা বেঁধে যায়। তাই টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে দেশের সকল স্তরের মানুষের সমর্থনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন। বক্তব্য শেষে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। আওয়ামী লীগ সভাপতির আসনের দুই পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা অংশ নেন।
সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে সব থেকে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ, যারা প্রথম ভোটার এবং নারী সমাজের। এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হলেও কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে ব্যালটবাক্স ছিনতাই করতে গেছে। কোথাও তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে এবং তাদের এই অপকর্মের কারণে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী অনেক আছেন। আমার কাছে সমস্ত ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করা আছে। তিনি বলেন, আপনারা মাঠে ঘাটে দেখেছেন, টেলিভিশনে দেখেছেন কীভাবে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
কোনো মতে নির্বাচনটা যেন বানচাল করা যায় কিন্তু তা তারা পারে নাই। এখন বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষটা তারা কাকে দেবে? দোষ দিলে তাদের নিজেদেরকে দিতে হয়। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জয়ের কথা চিন্তা করতে পারে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ তারেক রহমানের বিভিন্ন দুর্নীতি অপকর্মের কথা তুলেন ধরেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল পলাতক আসামিকে দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেখানে কী রেজাল্ট হয়- সেটাই তারা পেয়েছে। তাও হতো না, যদি তারা নির্বাচনে যে প্রার্থী দিয়েছে, সেই প্রার্থী নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যটা না করতো। তাহলে আরও ভালো ফল তারা করতে পারত। মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির মধ্যে বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তা থেকে তো মানুষ জানতেই পেরেছে এদের চরিত্রটা কী? এদের চরিত্র শোধরায়নি। তাই বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তার পরও যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন।
কারণ, আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, আমরা যখন সরকারে এসেছি, আমরা দেশের জন্য কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে কোনো হয়রানি করতে যাইনি। বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেয়া মামলার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি। আমরা অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে এসেছি। জনগণের বিশ্বাস-আস্থাটা যে কারণে আমাদের ওপরে এসেছে। আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করি জনগণের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে। আর জনগণ আজকে তারা উপলব্ধি করতে পারে এবং আমাদের উন্নয়নের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা সবসময় লক্ষ্য করি, গ্রামের মানুষ তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। তারা একটু সুন্দর জীবন পাবে। তারা একটু উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন তাদের জীবনমান উন্নত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রতিটি কর্মসূচি নিয়েছি।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে, আমি অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি তখনই কিন্তু এদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক হতে পারে, সরকার জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। আর সরকার কাজ করলে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়, এটা তখনই আমরা প্রমাণ করতে পারলাম। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা স্বর্ণযুগ ছিল দাবি করে তিনি আরও বলেন, কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনো থেমে যায় না। ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। আমরা ভোট বেশি পেলাম কিন্তু সরকার গঠন করতে পারলাম না।
২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যে দুর্বিষহ অবস্থা ছিল, সেটা আমরা সবাই জানি। সেটা নিয়ে আর আমার বেশি বলার প্রয়োজন নেই। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটগভাবে জয়ী হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কিন্তু ভোটের হার ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে অনেক বেশি পড়েছিল। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলবো এবং দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফলটা পৌঁছাতে পারি, সেইভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই মানুষের এই উপলব্ধিটা এসে গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে তারা ভালো থাকে, তাদের জীবনমান উন্নত হয়। তাদের দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হয় না। তারা শান্তিতে থাকতে পারে। তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে।
২০১৩ থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দেশের মানুষ কখনো মেনে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালে আবার আমরা সরকার গঠন করি। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা একটানা দশ বছর হাতে সময় পেয়েছিলাম, যার ফলে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে পেরেছি তার ফলে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল? কী করবে? তারাও কিন্তু সকলে এগিয়ে এসেছিল আমাদের এই নির্বাচনে সমর্থন দেয়ার জন্য। বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়ার জন্য। এখানে ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, কামার-কুমার জেলে-তাঁতী মেহনতি মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সমপ্রদায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকের মাঝে একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, আওয়ামী লীগ আসলে তারা ভালো থাকবে, আওয়ামী লীগ আসলে দেশটা ভালো চলবে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশের উন্নতি হবে- এই উপলব্ধিটা তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে দানা বেঁধে যায়। তাই টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে দেশের সকল স্তরের মানুষের সমর্থনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন। বক্তব্য শেষে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। আওয়ামী লীগ সভাপতির আসনের দুই পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা অংশ নেন।
No comments