ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থায় মার্কিন সরকার
মেক্সিকো
সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বের মুখে মার্কিন সরকারে টানা ২২ দিন
ধরে আংশিক অচলাবস্থা চলছে। এত দীর্ঘ মেয়াদে অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্র এর আগে
কখনো দেখেনি। গত ২১শে ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ অচলাবস্থা নিরসনে দফায় দফায়
সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও তা কোনই কাজে আসেনি। মূলত, মেক্সিকো সীমান্তে
দেয়াল নির্মাণ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনড় অবস্থানের ফলেই এ
পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। সরকারে অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে বেশ কিছু
গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৮ লাখেরও বেশি সরকারি
কর্মকর্তার বড় একটি অংশের বেতনভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, পরবর্তীতে তাদের এই
বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে একমত হয়েছে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট। বেতনভাতা
বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে অচলাবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তারা। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছে সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন এএফএল-সিআইও। সংগঠনটির সভাপতি রিচার্ড ট্রুমকা অচলাবস্থার জন্য কংগ্রেস ও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শেইম অন সিনেট, শেইম অন হোয়াইট হাউস।’ অবিলম্বে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান তিনি। ডেট্রোয়েটের সরকারি কর্মকর্তা গ্রেগরি সিম্পকিনস বলেন, আগামী সপ্তাহে এটি আতঙ্কজনক রূপ নিতে যাচ্ছে। আমরা কীভাবে বাড়িভাড়া পরিশোধ করবো? কীভাবে আমরা অন্যান্য বিল দেবো?
এদিকে, সরকারে অচলাবস্থা নিয়ে অনেকটাই উদাসীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ না দেয়া পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে অচলাবস্থার জন্য প্রস্তুত আছেন তিনি। এটা কয়েক মাস বা বছরও হতে পারে। অর্থাৎ কোনো অবস্থাতেই তিনি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না। এই অচলাবস্থার পরেও কংগ্রেসকে এড়িয়ে দেয়াল নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের হাতে। আর তা হলো জরুরি অবস্থা জারি। তিনি ইতিমধ্যে এ পথ অনুসরণের হুমকিও দিয়েছেন। কিন্তু নিজ দলের মধ্যে ওই হুমকির তীব্র সমালোচনার মুখে ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন নি। তিনি কংগ্রেসকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এখনই আমরা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি দিতে চাই না’। জরুরি অবস্থা জারি করার সক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ট্রাম্প আরো জানান, এত তাড়াতাড়ি এটা করতে চান না। কেননা এখনো তিনি যেকোনো বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করাকেই বেশি পছন্দ করেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, সরকারে অচলাবস্থার জন্য বেশিরভাগ মানুষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দোষারোপ করছেন। তারা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের একগুয়েমির কারণেই এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে দেয়াল নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষের নজর পড়েছে দুর্যোগ তহবিলের দিকে। গত বছরের প্রাণঘাতি হারিকেন ও বন্যার পর আর্মি কর্পস অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর জন্য যে ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন তা দেয়াল নির্মাণের কাজে লাগানোর কথা ভাবছে। তবে, পুয়ের্তোরিকোসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ইতিমধ্যেই দুর্যোগ তহবিলের অর্থ সরিয়ে নেয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক বিবৃতিতে বলেন, দেয়াল নির্মাণে অর্থায়নের জন্য জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা ব্যবহার করার এখনই উপযুক্ত সময়। তবে অন্য রিপাবলিকানরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্টের জন্য এটা সহজ হবে না। কারণ এই পদক্ষেপ আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে অচলাবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তারা। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছে সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন এএফএল-সিআইও। সংগঠনটির সভাপতি রিচার্ড ট্রুমকা অচলাবস্থার জন্য কংগ্রেস ও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শেইম অন সিনেট, শেইম অন হোয়াইট হাউস।’ অবিলম্বে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান তিনি। ডেট্রোয়েটের সরকারি কর্মকর্তা গ্রেগরি সিম্পকিনস বলেন, আগামী সপ্তাহে এটি আতঙ্কজনক রূপ নিতে যাচ্ছে। আমরা কীভাবে বাড়িভাড়া পরিশোধ করবো? কীভাবে আমরা অন্যান্য বিল দেবো?
এদিকে, সরকারে অচলাবস্থা নিয়ে অনেকটাই উদাসীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ না দেয়া পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে অচলাবস্থার জন্য প্রস্তুত আছেন তিনি। এটা কয়েক মাস বা বছরও হতে পারে। অর্থাৎ কোনো অবস্থাতেই তিনি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না। এই অচলাবস্থার পরেও কংগ্রেসকে এড়িয়ে দেয়াল নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের হাতে। আর তা হলো জরুরি অবস্থা জারি। তিনি ইতিমধ্যে এ পথ অনুসরণের হুমকিও দিয়েছেন। কিন্তু নিজ দলের মধ্যে ওই হুমকির তীব্র সমালোচনার মুখে ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন নি। তিনি কংগ্রেসকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এখনই আমরা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি দিতে চাই না’। জরুরি অবস্থা জারি করার সক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ট্রাম্প আরো জানান, এত তাড়াতাড়ি এটা করতে চান না। কেননা এখনো তিনি যেকোনো বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করাকেই বেশি পছন্দ করেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, সরকারে অচলাবস্থার জন্য বেশিরভাগ মানুষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দোষারোপ করছেন। তারা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের একগুয়েমির কারণেই এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে দেয়াল নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষের নজর পড়েছে দুর্যোগ তহবিলের দিকে। গত বছরের প্রাণঘাতি হারিকেন ও বন্যার পর আর্মি কর্পস অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর জন্য যে ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন তা দেয়াল নির্মাণের কাজে লাগানোর কথা ভাবছে। তবে, পুয়ের্তোরিকোসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ইতিমধ্যেই দুর্যোগ তহবিলের অর্থ সরিয়ে নেয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এক বিবৃতিতে বলেন, দেয়াল নির্মাণে অর্থায়নের জন্য জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা ব্যবহার করার এখনই উপযুক্ত সময়। তবে অন্য রিপাবলিকানরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্টের জন্য এটা সহজ হবে না। কারণ এই পদক্ষেপ আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারে।
No comments