চট্টগ্রামে পরিবহণ ধর্মঘট নিয়ে শ্রমিক-মালিক গ্রুপ মুখোমুখি by ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রাম-৪
সীতাকুন্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম দিদারের চাঁদা দাবি ও মারধরের প্রতিবাদে
বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট নিয়ে বিভক্ত শ্রমিক ও
মালিক গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ধর্মঘটের পক্ষে-বিপক্ষে একের পর এক
সভা-সমাবেশ করছেন তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তার বিরোধিতা করে শনিবার রাতে ডাকা পৃথক সভায় ধর্মঘট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি অংশ।
ঐক্য পরিষদের শ্রমিক নেতাদের দাবি, শ্রমিক ফেডারেশনের নামে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় চাঁদাবাজির বৈধতা নিতে এবং সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদারের মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেআইনি এই পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বেআইনি এই ধর্মঘট আহ্বান রাষ্ট্রদ্রোহিতা কর্মকান্ডের সামিল।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এম জসিম রানা বলেন, ধর্মঘট আহ্বানকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। জাতীয় ভিত্তিক একটি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘকাল যাবৎ নিরীহ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক-মালিকদের জিম্মি করে সড়ক পরিবহণে নৈরাজ্য সৃষ্টি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডে সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সদস্য সচিব উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ধর্মঘট ডাক দেওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এনায়েত বাজারস্থ কার্যালয়ে শনিবার রাতে জরুরি সভার আয়োজন করে।
এতে এই পরিবহণ ধর্মঘট বর্জনের পক্ষে মত দেন শ্রমিকরা। এ সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের অভিযোগে ধর্মঘট আহ্বানকারী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা প্রদানেরও হুঁশিয়ারি দেন।
একই সময়ে পৃথক সভায় ধর্মঘট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগও। নগরীর দারুল ফজল মার্কেট কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাখান করে বলেন, শ্রমিক নেতার সাথে সংসদ সদস্যের ভিত্তিহীন ঘটনার অজুহাতে ধর্মঘটের নামে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাধারন মানুষকে জিম্মি করার অধিকার ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের নেই। তারা বলেছেন, এ ধর্মঘট সম্পূর্ণ শ্রম আইন পরিপন্থী।
অন্যদিকে পরিবহণ ধর্মঘট পালনে অনড় অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন। এই ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপ। তারাও ধর্মঘটের সমর্থনে শনিবার রাতে জরুরি সভায় মিলিত হন।
এতে জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আমরা মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে ওই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আগামী ১৪ জানুয়ারি হতে শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের জরুরি সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে মারধর ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি সোমবার ভোর হতে ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫টি জেলায় (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন ৪৮ ঘন্টার লাগাতার ধর্মঘটে ডাক দেয়।
শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছার ভাষ্য, সীতাকুন্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম দিদার বৃহ¯পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও নগরীর অলংকার মোড় থেকে সীতাকুন্ড রুটে চলাচলকারী ৮নং রুটের মালিক সমিতির নেতাদের বাসায় ডাকেন।
এ সময় অলঙ্কার থেকে সীতাকুন্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তাকে ছেড়ে দিতে বলেন তিনি। মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তিনি তাকে প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করেন।
তাতে সম্মত না হওয়ায় এমপি দিদার এক পর্যায়ে ৮নং রুটে মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে নিজ হাতে মারধর শুরু করেন। এই ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদারুল আলম উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকেও মারধর করেন। প্রয়োজনে রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তার বিরোধিতা করে শনিবার রাতে ডাকা পৃথক সভায় ধর্মঘট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি অংশ।
ঐক্য পরিষদের শ্রমিক নেতাদের দাবি, শ্রমিক ফেডারেশনের নামে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় চাঁদাবাজির বৈধতা নিতে এবং সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদারের মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেআইনি এই পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বেআইনি এই ধর্মঘট আহ্বান রাষ্ট্রদ্রোহিতা কর্মকান্ডের সামিল।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এম জসিম রানা বলেন, ধর্মঘট আহ্বানকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। জাতীয় ভিত্তিক একটি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘকাল যাবৎ নিরীহ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক-মালিকদের জিম্মি করে সড়ক পরিবহণে নৈরাজ্য সৃষ্টি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডে সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সদস্য সচিব উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ধর্মঘট ডাক দেওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এনায়েত বাজারস্থ কার্যালয়ে শনিবার রাতে জরুরি সভার আয়োজন করে।
এতে এই পরিবহণ ধর্মঘট বর্জনের পক্ষে মত দেন শ্রমিকরা। এ সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের অভিযোগে ধর্মঘট আহ্বানকারী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা প্রদানেরও হুঁশিয়ারি দেন।
একই সময়ে পৃথক সভায় ধর্মঘট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগও। নগরীর দারুল ফজল মার্কেট কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাখান করে বলেন, শ্রমিক নেতার সাথে সংসদ সদস্যের ভিত্তিহীন ঘটনার অজুহাতে ধর্মঘটের নামে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাধারন মানুষকে জিম্মি করার অধিকার ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের নেই। তারা বলেছেন, এ ধর্মঘট সম্পূর্ণ শ্রম আইন পরিপন্থী।
অন্যদিকে পরিবহণ ধর্মঘট পালনে অনড় অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন। এই ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপ। তারাও ধর্মঘটের সমর্থনে শনিবার রাতে জরুরি সভায় মিলিত হন।
এতে জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আমরা মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে ওই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আগামী ১৪ জানুয়ারি হতে শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের জরুরি সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে মারধর ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি সোমবার ভোর হতে ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫টি জেলায় (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন ৪৮ ঘন্টার লাগাতার ধর্মঘটে ডাক দেয়।
শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছার ভাষ্য, সীতাকুন্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম দিদার বৃহ¯পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও নগরীর অলংকার মোড় থেকে সীতাকুন্ড রুটে চলাচলকারী ৮নং রুটের মালিক সমিতির নেতাদের বাসায় ডাকেন।
এ সময় অলঙ্কার থেকে সীতাকুন্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তাকে ছেড়ে দিতে বলেন তিনি। মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তিনি তাকে প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করেন।
তাতে সম্মত না হওয়ায় এমপি দিদার এক পর্যায়ে ৮নং রুটে মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে নিজ হাতে মারধর শুরু করেন। এই ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদারুল আলম উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকেও মারধর করেন। প্রয়োজনে রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন।
No comments