বাণিজ্যমেলা: কারাপণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ by মোহাম্মদ ওমর ফারুক
সারা
দেশের সব কারাগারের কয়েদিদের দিয়ে তৈরি প্রায় দুইশ’টি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ
জেলা কারাগার পণ্য প্যাভিলিয়নটি শোভা পাচ্ছে। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যমেলার অন্যতম আকর্ষণ এই প্যাভিলিয়নটি। পুঁতি, তাঁত, পাট, বাঁশ, কাঠ ও
প্লাস্টিকের তৈরি প্রায় ২শ’ ধরনের কারাপণ্য পাওয়া যাচ্ছে এই প্যাভিলিয়নে।
এসব পণ্য ক্রেতাদের দারুণ আকৃষ্ট করছে। মেলায় দায়িত্বরত টাঙ্গাইল জেলা
কারাগারের জেলার আবুল বাশার বলেন, শুরু থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে
এখানে অনেক ধরনের পণ্য আছে, তাই ক্রেতারা এখানে এসে কিছু না কিছু তো পছন্দ
করছেনই। তাছাড়া পণ্যগুলো বেশ সাশ্রই দামেও পাওয়া যাচ্ছে। এজন্যই মূলত এখানে
ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।
প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায়, মেলার চতুর্থ দিনেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের দারুণ ভিড়। কয়েদিদের হাতে তৈরি পণ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। জানা যায়, এসব পণ্য বিক্রির একটি অংশ পাবেন কয়েদি শ্রমিকরা।
কথা হয় মিরপুর থেকে আসা শান্তা নওরীন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, কারাপণ্য প্যাভিলিয়নটিতে এসে কনফিউশনের মধ্যে পড়ে গেছি। এখানে এত পণ্য, যেখানে এলে সবারই আমার মতো অবস্থা হবে। তবে স্বল্প দাম হওয়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য খুব ভালো হয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ ও বেতের তৈরি মোড়া ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, সিংহাসন চেয়ার আড়াই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা, কুলা ও চালনি ১০০ থকে ৩০০ টাকা, ফুল ও ফলের ঝুড়ি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, পানদানি, কলমদানি ও ফুড কভার আকার ভেদে ২০০-৩০০ টাকায়, প্লাস্টিকের টেবিল ৪ হাজার, বিভিন্ন শো-পিস ১০০-৫০০ টাকা, কাঠের ফোল্ডিং চেয়ার ২২শ, কিচেন মোড়া ৭৫০, জুতার র্যাক ৭৫০, নকশী কাঁথা আড়াই হাজার থেকে চার হাজার, বুটিক ও বাটিকের থ্রিপিস ৫০০ থেকে হাজার টাকা, গামছা ও লুঙ্গি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, হস্তশিল্পের পুঁথিদানার ব্যাগ, পার্স ব্যাগ, নৌকা, ফুলদানি টিস্যু বক্স, শো-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে। ওয়ারড্রফ ২০ হাজার টাকাসহ এখানে কমদামে নানান পণ্য মিলছে।
তাছাড়া নারী কয়েদিদের দিয়ে তৈরি জলপাইয়ের আচার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮৫ টাকায়। মেলার সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে প্রায় দুশ’টি পণ্যই পুরুষ কয়েদিরা তৈরি করেন আর শুধু মাত্র আচার বা খাবার জাতীয় পণ্যগুলো মহিলারা তৈরি করেন। কারণ মহিলা কয়েদিদের জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা পণ্য তৈরি করতে পারেন না। প্যাভিলিয়নটিতে নারী ও পুরুষ বিক্রেতা রয়েছে প্রায় পঁচিশজনের মতো। যারা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাদের পণ্য দেখাচ্ছেন। কারা-উপ-পরিদর্শক বজলুল রশীদ বলেন, এখানে মূলত কারাগারে কয়েদিদের দিয়ে যেসব পণ্য বানানো হয়, সেসব পণ্য দিয়েই আমাদের এই আয়োজন।
তাছাড়া পণ্যগুলোকে ব্র্যান্ডিং করাই এর মূল উদ্দেশ্য। কয়েদিরা যেসব পণ্য তৈরি করে সেগুলো জেলাপর্যায়ে কারাগারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্যাভিলিয়নটির জন্য বাংলাদেশ জেলা কারা সংশ্লিষ্টদের গুনতে হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলা জমে উঠলে প্রতিদিন এখানে প্রায় লাখ তিনেক টাকার পণ্য বিক্রি হয়।
প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায়, মেলার চতুর্থ দিনেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের দারুণ ভিড়। কয়েদিদের হাতে তৈরি পণ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। জানা যায়, এসব পণ্য বিক্রির একটি অংশ পাবেন কয়েদি শ্রমিকরা।
কথা হয় মিরপুর থেকে আসা শান্তা নওরীন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, কারাপণ্য প্যাভিলিয়নটিতে এসে কনফিউশনের মধ্যে পড়ে গেছি। এখানে এত পণ্য, যেখানে এলে সবারই আমার মতো অবস্থা হবে। তবে স্বল্প দাম হওয়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য খুব ভালো হয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ ও বেতের তৈরি মোড়া ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, সিংহাসন চেয়ার আড়াই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা, কুলা ও চালনি ১০০ থকে ৩০০ টাকা, ফুল ও ফলের ঝুড়ি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, পানদানি, কলমদানি ও ফুড কভার আকার ভেদে ২০০-৩০০ টাকায়, প্লাস্টিকের টেবিল ৪ হাজার, বিভিন্ন শো-পিস ১০০-৫০০ টাকা, কাঠের ফোল্ডিং চেয়ার ২২শ, কিচেন মোড়া ৭৫০, জুতার র্যাক ৭৫০, নকশী কাঁথা আড়াই হাজার থেকে চার হাজার, বুটিক ও বাটিকের থ্রিপিস ৫০০ থেকে হাজার টাকা, গামছা ও লুঙ্গি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, হস্তশিল্পের পুঁথিদানার ব্যাগ, পার্স ব্যাগ, নৌকা, ফুলদানি টিস্যু বক্স, শো-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে। ওয়ারড্রফ ২০ হাজার টাকাসহ এখানে কমদামে নানান পণ্য মিলছে।
তাছাড়া নারী কয়েদিদের দিয়ে তৈরি জলপাইয়ের আচার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮৫ টাকায়। মেলার সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে প্রায় দুশ’টি পণ্যই পুরুষ কয়েদিরা তৈরি করেন আর শুধু মাত্র আচার বা খাবার জাতীয় পণ্যগুলো মহিলারা তৈরি করেন। কারণ মহিলা কয়েদিদের জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা পণ্য তৈরি করতে পারেন না। প্যাভিলিয়নটিতে নারী ও পুরুষ বিক্রেতা রয়েছে প্রায় পঁচিশজনের মতো। যারা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাদের পণ্য দেখাচ্ছেন। কারা-উপ-পরিদর্শক বজলুল রশীদ বলেন, এখানে মূলত কারাগারে কয়েদিদের দিয়ে যেসব পণ্য বানানো হয়, সেসব পণ্য দিয়েই আমাদের এই আয়োজন।
তাছাড়া পণ্যগুলোকে ব্র্যান্ডিং করাই এর মূল উদ্দেশ্য। কয়েদিরা যেসব পণ্য তৈরি করে সেগুলো জেলাপর্যায়ে কারাগারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্যাভিলিয়নটির জন্য বাংলাদেশ জেলা কারা সংশ্লিষ্টদের গুনতে হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলা জমে উঠলে প্রতিদিন এখানে প্রায় লাখ তিনেক টাকার পণ্য বিক্রি হয়।
No comments