শ্রমিকরা যা চান by মরিয়ম চম্পা
সন্তুষ্ট
নন পোশাক শ্রমিকরা। অব্যাহত রয়েছে তাদের আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের কেউ
বলছেন, তাদের বর্ধিত বেতন দেয়া হচ্ছে না। আবার কেউ বলছেন, মজুরি বাড়ানোর
ঘোষণা এলেও কার্যত তাদের মজুরি বাড়েনি। কেউ কেউ বলছেন, মজুরি বাড়ানোর বদলে
কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আসলে কেন তারা আন্দোলন করছেন, দাবিই বা কী? গতকাল
আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে এমন প্রশ্ন ছিল মানবজমিনেরমিরপুর টেকনিক্যাল
এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিক সালমা বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আমাদের
বেতন বাড়ানোর কথা বলা হলেও মালিক পক্ষ তা বাড়ায়নি। আমরা চাই সরকারের
নির্ধারিত বেতন কাঠামোর পুরোটাই যেন আমাদের দেয়া হয়। আমরা তো অফিসে কাজে
কোনো ফাঁকি দেই না।
তাহলে গার্মেন্টস মালিকরা আমাদের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলছে কেনো। ন্যায্য মজুরির বাইরে আমরা বাড়তি এক টাকাও চাইনি। সুইং অপারেটর নাসিমা বলেন, একজন হেলপারের বেতন ৮ হাজার টাকা। আবার অপারেটরের বেতনও তাই।
বেতন- ভাতার এই বৈষম্যের কারণে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা মনে করি একজন হেলপারের যা বেতন তার দ্বিগুণ দিতে হবে অপারেটরকে। হেলপার শাহনাজ বলেন, আমরা চাই অন্য দশটা গার্মেন্টস যেমন চলে আমাদের গার্মেন্টসও তেমন চলুক। গত শুক্রবার মিরপুরের টেকনিক্যালে এ্যাপারেল এক্সপোর্ট নামে একটি গার্মেন্টসের এক নারী শ্রমিককে আন্দোলন করার অভিযোগে মালিক পক্ষের লোকেরা অফিসের ভেতরে আটকে মারধর করেছে। তারা আমাদের ন্যায্য মজুরিও দেবেন না আবার অত্যাচারও করবেন- এটা তো মেনে নেয়া যায় না। অপারেটর সালেহা বলেন, আমাদের সকল দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। মিরপুরে বেবিলন, কেয়ার, হাইপয়েন্টসহ অনেকগুলো গার্মেন্টস আছে যারা শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন- মজুরি দিচ্ছে। আমাদেরও একই কাঠামোতে দেয়া হলে ঝামেলা মিটে যায়।
কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর শাহিদা আক্তার বলেন, আমাদের দাবি একটাই। সরকার যে বেতন নির্ধারণ করেছে সে অনুযায়ী আমরা বেতন চাই। বিএ পাস করে চাকরি করছি। সরকারি চাকরির বয়সও শেষ। মালিকরা আমাদের বোকা বানাতে আগের বেতনের সঙ্গে মাত্র ৪ থেকে ৫শ’ টাকা বাড়িয়েছে। সাজিদা খানম বলেন, এই মাসে আমাদের বাসা ভাড়া বাড়িয়েছে বাড়িওয়ালা। বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমাদের বেতন তো বাড়েনি।
ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। তিনবেলা অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে থাকতে হয়। মাসে একবার, কোনো মাসে অতিরিক্ত দুইবার মাংস কিনি। অথচ আমাদের কষ্টগুলো বোঝার মানুষ নেই। আমাদের দিয়ে মালিকরা ঠিকই প্রডাকশন বাড়িয়ে টার্গেট পূরণ করছে। না পারলে গালিগালাজ করে। এমনকি গায়ে পর্যন্ত হাত তুলতে দ্বিধা করে না। অপারেটর সোহাগ বলেন, আমাদের বেতন পর্যাপ্ত পরিমাণে করা হয়নি বলেই আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমরা চাই মালিক- শ্রমিকদের সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন দেয়া হোক। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে পুনরায় কাজে যোগ দেবো। অপারেটর মানিক বলেন, সরকার আমাদের বেতন করেছে ৮ হাজার ৩শ’ টাকা। কিন্তু মালিকরা সেখানে দিচ্ছে ৬ হাজার বা তার থেকে সামান্য কম-বেশি। যেটা আগের বেতনের তুলনায় মাত্র ৫ থেকে ৬শ’ টাকা বেশি। আমাদের দাবি যতদিন পর্যন্ত না মেনে নেয়া হবে আমরা ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
রাসেল রহমান বলেন, হেলপার- অপারেটরের বেতন সমান হলে সেটা কীভাবে মেনে নেই বলেন। যদিও আমরা একই সঙ্গে কাজ করি। হেলপারদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু গার্মেন্ট মালিকরা চালাকি করে আমাদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করছে। অথচ আন্দোলনে আমরা সবাই অংশ নিয়েছি। আমরা সবাই শ্রমিক। আমরা একে অন্যের কষ্ট বুঝি। অপারেটর চাঁদনী বেগম বলেন, গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে গার্মেন্টসে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করছি। অথচ মাত্র দুই বছর আগে যে হেলপার কাজ করছে তার বেতন আর আমার বেতন একই। নতুন হেলপার আর সিনিয়র অপারেটরের বেতন যদি একই হয় তাহলে এত বছর একই অফিসে কাজ করে কি লাভ হলো।
তাহলে গার্মেন্টস মালিকরা আমাদের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলছে কেনো। ন্যায্য মজুরির বাইরে আমরা বাড়তি এক টাকাও চাইনি। সুইং অপারেটর নাসিমা বলেন, একজন হেলপারের বেতন ৮ হাজার টাকা। আবার অপারেটরের বেতনও তাই।
বেতন- ভাতার এই বৈষম্যের কারণে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা মনে করি একজন হেলপারের যা বেতন তার দ্বিগুণ দিতে হবে অপারেটরকে। হেলপার শাহনাজ বলেন, আমরা চাই অন্য দশটা গার্মেন্টস যেমন চলে আমাদের গার্মেন্টসও তেমন চলুক। গত শুক্রবার মিরপুরের টেকনিক্যালে এ্যাপারেল এক্সপোর্ট নামে একটি গার্মেন্টসের এক নারী শ্রমিককে আন্দোলন করার অভিযোগে মালিক পক্ষের লোকেরা অফিসের ভেতরে আটকে মারধর করেছে। তারা আমাদের ন্যায্য মজুরিও দেবেন না আবার অত্যাচারও করবেন- এটা তো মেনে নেয়া যায় না। অপারেটর সালেহা বলেন, আমাদের সকল দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। মিরপুরে বেবিলন, কেয়ার, হাইপয়েন্টসহ অনেকগুলো গার্মেন্টস আছে যারা শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন- মজুরি দিচ্ছে। আমাদেরও একই কাঠামোতে দেয়া হলে ঝামেলা মিটে যায়।
কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর শাহিদা আক্তার বলেন, আমাদের দাবি একটাই। সরকার যে বেতন নির্ধারণ করেছে সে অনুযায়ী আমরা বেতন চাই। বিএ পাস করে চাকরি করছি। সরকারি চাকরির বয়সও শেষ। মালিকরা আমাদের বোকা বানাতে আগের বেতনের সঙ্গে মাত্র ৪ থেকে ৫শ’ টাকা বাড়িয়েছে। সাজিদা খানম বলেন, এই মাসে আমাদের বাসা ভাড়া বাড়িয়েছে বাড়িওয়ালা। বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমাদের বেতন তো বাড়েনি।
ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। তিনবেলা অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে থাকতে হয়। মাসে একবার, কোনো মাসে অতিরিক্ত দুইবার মাংস কিনি। অথচ আমাদের কষ্টগুলো বোঝার মানুষ নেই। আমাদের দিয়ে মালিকরা ঠিকই প্রডাকশন বাড়িয়ে টার্গেট পূরণ করছে। না পারলে গালিগালাজ করে। এমনকি গায়ে পর্যন্ত হাত তুলতে দ্বিধা করে না। অপারেটর সোহাগ বলেন, আমাদের বেতন পর্যাপ্ত পরিমাণে করা হয়নি বলেই আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমরা চাই মালিক- শ্রমিকদের সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন দেয়া হোক। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে পুনরায় কাজে যোগ দেবো। অপারেটর মানিক বলেন, সরকার আমাদের বেতন করেছে ৮ হাজার ৩শ’ টাকা। কিন্তু মালিকরা সেখানে দিচ্ছে ৬ হাজার বা তার থেকে সামান্য কম-বেশি। যেটা আগের বেতনের তুলনায় মাত্র ৫ থেকে ৬শ’ টাকা বেশি। আমাদের দাবি যতদিন পর্যন্ত না মেনে নেয়া হবে আমরা ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
রাসেল রহমান বলেন, হেলপার- অপারেটরের বেতন সমান হলে সেটা কীভাবে মেনে নেই বলেন। যদিও আমরা একই সঙ্গে কাজ করি। হেলপারদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু গার্মেন্ট মালিকরা চালাকি করে আমাদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করছে। অথচ আন্দোলনে আমরা সবাই অংশ নিয়েছি। আমরা সবাই শ্রমিক। আমরা একে অন্যের কষ্ট বুঝি। অপারেটর চাঁদনী বেগম বলেন, গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে গার্মেন্টসে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করছি। অথচ মাত্র দুই বছর আগে যে হেলপার কাজ করছে তার বেতন আর আমার বেতন একই। নতুন হেলপার আর সিনিয়র অপারেটরের বেতন যদি একই হয় তাহলে এত বছর একই অফিসে কাজ করে কি লাভ হলো।
No comments