যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন তুলসি গাব্বার
যুক্তরাষ্ট্রে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয়
বংশোদ্ভূত তুলসি গাব্বার। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি
হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তুলসি। যদি সেটা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র
কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন তিনি। এ খবর
দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, এর আগে ডেমোক্রেট দল থেকে
সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন একই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারপর তুলসি গাব্বারের এ
ঘোষণায় তিনি হলেন দ্বিতীয় নারী। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল
থেকে আরো কমপক্ষে ১২ জন প্রার্থী আসতে পারেন।
তার মধ্যে রয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক সিনেটর কমলা হারিস। তবে তুলসি গাব্বার হলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে চার বার নির্বাচিত সদস্য। তিনি শুক্রবার সিএনএন টেলিভিশনকে বলেছেন, আমি (প্রেসিডেন্ট পদে) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো। তুলসি গাব্বার তার জীবনের প্রথম দিকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একসঙ্গে চারটি রেকর্ড গড়বেন। এক হলো সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তৃতীয়ত তিনি হবেন খ্রিস্টান নন, এমন প্রেসিডেন্ট। চতুর্থত প্রথম হিন্দু হিসেবে প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি কতদূর যেতে পারবেন তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য তার সামনে খুব বেশি সম্ভাবনা দেখছেন না।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের বেশির ভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সেখানে তুলসি গাব্বারকে নিয়ে তারা গর্ব করেন। তুলসি প্রতিনিধি পরিষদের শক্তিশালী হাউস ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার। তিনি সম্প্রতি চতুর্থ বার হাওয়াই থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার ঘোষণামতে, এখন তার সামনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিল হিসাব নিকাশের পালা। ২০২০ সালের শুরুতে অর্থাৎ আগামী বছরের শুরুতেই শুরু হয়ে যাবে সেখানকার প্রাইমারি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করবেন ডেমোক্রেটরা। তারপর ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে সেই প্রার্থী মুখোমুখি হবেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। ট্রাম্প এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন তিনি আবার নির্বাচন করতে চান। ফলে ডেমোক্রেট প্রার্থীকে তার বিরুদ্ধে কঠিন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে হবে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। দল থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তুলসি গাব্বার তখন বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৬ সালে স্যান্ডার্সের প্রচারণা বিষয়ক ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন রানিয়া বেট্রিস। তিনি এখন তুলসি গাব্বারের শীর্ষ পরামর্শক। তিনিই হবেন তার নির্বাচনী ম্যানেজার। তুলসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে তার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিপুল পরিমাণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ বিষয়টি আমি অবগত। এসব চ্যালেঞ্জ আমি সমাধান করতে চাই। এক্ষেত্রে তার প্রধান ইস্যুগুলো হলো স্বাস্থ্যসেবা, অপরাধ বিষয়ক বিচার ব্যবস্থায় সংস্থার ও জলবায়ু পরিবর্তন। তবে প্রধান ইস্যু হবে যুদ্ধ ও শান্তি সংক্রান্ত।
শিডিউল অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাইমারি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে ওই বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি আইওয়া ককাস থেকে। এরপরে প্রাইমারি নির্বাচন হওয়ার কথা ১১ই ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ারে। নেভাদা ককাসে নির্বাচন হওয়ার কথা ১৫ই ফেব্রুয়ারি। সাউথ ক্যারোলাইনাতে ২২ শে ফেব্রুয়ারি।
তার মধ্যে রয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক সিনেটর কমলা হারিস। তবে তুলসি গাব্বার হলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে চার বার নির্বাচিত সদস্য। তিনি শুক্রবার সিএনএন টেলিভিশনকে বলেছেন, আমি (প্রেসিডেন্ট পদে) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো। তুলসি গাব্বার তার জীবনের প্রথম দিকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একসঙ্গে চারটি রেকর্ড গড়বেন। এক হলো সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তৃতীয়ত তিনি হবেন খ্রিস্টান নন, এমন প্রেসিডেন্ট। চতুর্থত প্রথম হিন্দু হিসেবে প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি কতদূর যেতে পারবেন তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য তার সামনে খুব বেশি সম্ভাবনা দেখছেন না।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের বেশির ভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সেখানে তুলসি গাব্বারকে নিয়ে তারা গর্ব করেন। তুলসি প্রতিনিধি পরিষদের শক্তিশালী হাউস ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার। তিনি সম্প্রতি চতুর্থ বার হাওয়াই থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার ঘোষণামতে, এখন তার সামনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিল হিসাব নিকাশের পালা। ২০২০ সালের শুরুতে অর্থাৎ আগামী বছরের শুরুতেই শুরু হয়ে যাবে সেখানকার প্রাইমারি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করবেন ডেমোক্রেটরা। তারপর ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে সেই প্রার্থী মুখোমুখি হবেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। ট্রাম্প এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন তিনি আবার নির্বাচন করতে চান। ফলে ডেমোক্রেট প্রার্থীকে তার বিরুদ্ধে কঠিন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে হবে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। দল থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তুলসি গাব্বার তখন বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৬ সালে স্যান্ডার্সের প্রচারণা বিষয়ক ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন রানিয়া বেট্রিস। তিনি এখন তুলসি গাব্বারের শীর্ষ পরামর্শক। তিনিই হবেন তার নির্বাচনী ম্যানেজার। তুলসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে তার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিপুল পরিমাণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ বিষয়টি আমি অবগত। এসব চ্যালেঞ্জ আমি সমাধান করতে চাই। এক্ষেত্রে তার প্রধান ইস্যুগুলো হলো স্বাস্থ্যসেবা, অপরাধ বিষয়ক বিচার ব্যবস্থায় সংস্থার ও জলবায়ু পরিবর্তন। তবে প্রধান ইস্যু হবে যুদ্ধ ও শান্তি সংক্রান্ত।
শিডিউল অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাইমারি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে ওই বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি আইওয়া ককাস থেকে। এরপরে প্রাইমারি নির্বাচন হওয়ার কথা ১১ই ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ারে। নেভাদা ককাসে নির্বাচন হওয়ার কথা ১৫ই ফেব্রুয়ারি। সাউথ ক্যারোলাইনাতে ২২ শে ফেব্রুয়ারি।
No comments