কালিয়ায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও চলন্তিকা সোসাইটি by ওয়ারেশ হোসেন
কালিয়া
থেকে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে চলন্তিকা যুব সোসাইটি। এসব
টাকা ছিল দিনমজুর, কৃষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীর। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়
কালিয়া পৌরসভা সদরে চলন্তিকা যুব সোসাইটির অফিসটি গ্রাহকরা ঘেরাও করেন।
সূত্র জানিয়েছে, কালিয়া উপজেলা, কালিয়া পৌরসভা, বড়দিয়া, মহাজন ও গাজিরহাট
শাখার গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। গ্রাহকরা বলেন, তাদের নিকট থেকে
দিনে, মাসিক, বাৎসরিক কিস্তি আদায় করা হতো। গ্রাহকদের ৬ বছরে দ্বিগুণ টাকা
প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয় এই চলন্তিকা যুব সোসাইটি রেজিং নং কে/১১০/০৪।
এত বেশি লাভের আশায় গ্রাহকরা এ দিকে ঝুঁকে পড়েন।
আমানতকারীদের মধ্যে কালিয়া উপজেলা গুরুদাশ স্বর্ণকারের ১৫ লাখ, রামনগর গ্রামের অঞ্জলীর ১ লাখ, শালবরাত গ্রামের গীতা ঢালীর ৫০ হাজার, উত্তম কুমারের ৫০ হাজার, বিলব্যওচ গ্রামের শহীদ মোল্যার দেড় লাখ, বড়কালিয়া গ্রামের পেন্টুর আড়াই লাখ, খোকনের আড়াই লাখ, জোকার চর গ্রামের অনিমেশ কুমার দাশের দেড় লাখ, পিযুষ দাশের ১ লাখ ২০ হাজার, শ্যামল দাশের ২ লাখ, গোপাল দাশের ২ লাখ, পরিমল দাশের ৫০ হাজার, তপন দাশের ৫০ হাজার, সন্জয় দাশের ১ লাখ ৫ হাজার, রাজকুমারের ২ লাখ ১৫ হাজার, কল্পনার ২০ হাজার, ফাতেমার ৫০ হাজার, এম এম পাভেলের ১০ লাখ টাকা, কানাই লাল সাহার ৫ লাখ ১৫ হাজার, রানা টেলিকম মালিকের দেড় লাখ টাকা, হাসিব সেখের ৫০ হাজার, প্রাক্তন কমিশনার আকবর হোসেনের ৫০ হাজার, শান্তির ৭০ হাজার, মিতার ৭৫ হাজার, ঝন্টু বর্মনের ৩০ হাজার, মহাজন গ্রামের বিষ্ণুু পদা সিকদারের ৫ লাখ। কামাল সেখের, মকিদ চৌধুরীর, নার্গিস বেগম, শাহিনুর, জামেলা বেগম, মধুসূধন দাশ, তপন চক্রবর্তীসহ রয়েছেন অন্তত ৮ হাজার গ্রাহক। এসব গ্রাহকের লগ্নিকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার উপরে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২৮শে মার্চ বিকাল থেকে সোসাইটি অফিস তালাবদ্ধ। সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কোনো গ্রাহক ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ থেকে ওই সোসাইটি কর্মকর্তারা একইভাবে গা-ঢাকা দিয়েছেন। কালিয়া গ্রাহকরা পর্যায়ক্রমে একত্রিত হন। তখন শত শত আমানতকারী কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুদা। তিনি কালিয়া ও বড়দিয়া ও মহাজন শাখার এজিএম মিলন কুমার দাশ ও দিলিপ কুমার সাহাকে ফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাননি। মিলন কুমার দাশের বাড়ি আমানতকারীরা ঘেরাও করে রেখেছেন। রাতে পুলিশ মিলন দাশের বাড়ি যায়। তবে কালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শমসের আলী জানান, তাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে এ সমস্ত ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে অবহিত করেছেন। শুক্তগ্রামে রতন ঠাকুর ইতোমধ্যে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। চলন্তিকা অফিস উধাও হওয়ার খবর পেয়ে মহাজন গ্রামের ঠাকুর দাশ (৫০) ভারতে স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত দু’দিন আগে ঠাকুর দাশ ভারতে যান। তিনি তার মহাজন গ্রামের সব সম্পত্তি ৩২ লাখ টাকা বিক্রি করে ফিক্সড ডিপোজিট করেন। ইউএনও এবং পুলিশের সহযোগিতায় কালিয়া চলন্তিকা যুব সোসাইটির অফিস ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়। একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস আগে ওই অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পোড়ানো হয়েছে। মহাজন শাখার দিপঙ্কর দাশকে এলাকার গ্রাহকরা দু’দিনব্যাপী তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাজন গ্রামের বিশ্ব সাহার বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক চলছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কালিয়া অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার বুলবুল হোসেন জানান চলন্তিকা যুব সোসাইটির নামে সিডি ০২০০০০৩৭৩০৩২৭নং একাউন্ট আছে। তিনি জানান, এ বছরে উক্ত একাউন্টে কোনো টাকা লেনদেন হয়নি। গত বছরে ১০-১২ লাখ টাকা মাত্র লেনদেন হয়েছে। তবে ২১/১২/২০১৭ তারিখে ৫ লাখ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে উঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কালিয়ার ইউএনও নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সেখানকার ওই আমানতকারীর তছরুপকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
আমানতকারীদের মধ্যে কালিয়া উপজেলা গুরুদাশ স্বর্ণকারের ১৫ লাখ, রামনগর গ্রামের অঞ্জলীর ১ লাখ, শালবরাত গ্রামের গীতা ঢালীর ৫০ হাজার, উত্তম কুমারের ৫০ হাজার, বিলব্যওচ গ্রামের শহীদ মোল্যার দেড় লাখ, বড়কালিয়া গ্রামের পেন্টুর আড়াই লাখ, খোকনের আড়াই লাখ, জোকার চর গ্রামের অনিমেশ কুমার দাশের দেড় লাখ, পিযুষ দাশের ১ লাখ ২০ হাজার, শ্যামল দাশের ২ লাখ, গোপাল দাশের ২ লাখ, পরিমল দাশের ৫০ হাজার, তপন দাশের ৫০ হাজার, সন্জয় দাশের ১ লাখ ৫ হাজার, রাজকুমারের ২ লাখ ১৫ হাজার, কল্পনার ২০ হাজার, ফাতেমার ৫০ হাজার, এম এম পাভেলের ১০ লাখ টাকা, কানাই লাল সাহার ৫ লাখ ১৫ হাজার, রানা টেলিকম মালিকের দেড় লাখ টাকা, হাসিব সেখের ৫০ হাজার, প্রাক্তন কমিশনার আকবর হোসেনের ৫০ হাজার, শান্তির ৭০ হাজার, মিতার ৭৫ হাজার, ঝন্টু বর্মনের ৩০ হাজার, মহাজন গ্রামের বিষ্ণুু পদা সিকদারের ৫ লাখ। কামাল সেখের, মকিদ চৌধুরীর, নার্গিস বেগম, শাহিনুর, জামেলা বেগম, মধুসূধন দাশ, তপন চক্রবর্তীসহ রয়েছেন অন্তত ৮ হাজার গ্রাহক। এসব গ্রাহকের লগ্নিকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার উপরে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২৮শে মার্চ বিকাল থেকে সোসাইটি অফিস তালাবদ্ধ। সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কোনো গ্রাহক ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ থেকে ওই সোসাইটি কর্মকর্তারা একইভাবে গা-ঢাকা দিয়েছেন। কালিয়া গ্রাহকরা পর্যায়ক্রমে একত্রিত হন। তখন শত শত আমানতকারী কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুদা। তিনি কালিয়া ও বড়দিয়া ও মহাজন শাখার এজিএম মিলন কুমার দাশ ও দিলিপ কুমার সাহাকে ফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাননি। মিলন কুমার দাশের বাড়ি আমানতকারীরা ঘেরাও করে রেখেছেন। রাতে পুলিশ মিলন দাশের বাড়ি যায়। তবে কালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শমসের আলী জানান, তাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে এ সমস্ত ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে অবহিত করেছেন। শুক্তগ্রামে রতন ঠাকুর ইতোমধ্যে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। চলন্তিকা অফিস উধাও হওয়ার খবর পেয়ে মহাজন গ্রামের ঠাকুর দাশ (৫০) ভারতে স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত দু’দিন আগে ঠাকুর দাশ ভারতে যান। তিনি তার মহাজন গ্রামের সব সম্পত্তি ৩২ লাখ টাকা বিক্রি করে ফিক্সড ডিপোজিট করেন। ইউএনও এবং পুলিশের সহযোগিতায় কালিয়া চলন্তিকা যুব সোসাইটির অফিস ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়। একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস আগে ওই অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পোড়ানো হয়েছে। মহাজন শাখার দিপঙ্কর দাশকে এলাকার গ্রাহকরা দু’দিনব্যাপী তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাজন গ্রামের বিশ্ব সাহার বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক চলছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কালিয়া অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার বুলবুল হোসেন জানান চলন্তিকা যুব সোসাইটির নামে সিডি ০২০০০০৩৭৩০৩২৭নং একাউন্ট আছে। তিনি জানান, এ বছরে উক্ত একাউন্টে কোনো টাকা লেনদেন হয়নি। গত বছরে ১০-১২ লাখ টাকা মাত্র লেনদেন হয়েছে। তবে ২১/১২/২০১৭ তারিখে ৫ লাখ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে উঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কালিয়ার ইউএনও নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সেখানকার ওই আমানতকারীর তছরুপকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
No comments