৭৫-এ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার: সুবর্ণরেখায় বাতিঘর
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে 'সুবর্ণরেখায় বাতিঘর' সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়- সমকাল |
পথটা
সোনায় মোড়ানো ছিল না। অবশ্য কাঁটা বিছানোও নয়। ৭৫ বছর ধরে তাকে পাড়ি দিতে
হয়েছে অনেক পথ এবং সেই পথে চড়াই-উতরাই তো ছিলই। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নিজেকে
বাতিঘরে রূপান্তরিত করেছেন, যে বাতিঘর দূরের যাত্রীকে পথ দেখায়।
সুবর্ণরেখায় সেই বাতিঘর, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ গোলাম সারওয়ারের
৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে সাংবাদিকরা তো বটেই, সমবেত হয়েছিলেন
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতি অঙ্গনের শীর্ষজন।
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের জন্মের শুভদিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত হয় '৭৫-এ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার: জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি'। কমিটির উদ্যোগে প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে সম্মাননাগ্রন্থ- 'সুবর্ণরেখায় বাতিঘর'।
লেখক-অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত সম্মাননা গ্রন্থটিতে গোলাম সারওয়ারকে নিয়ে ৭২টি লেখা ছাপা হয়েছে। বইটি শুরু হয়েছে তার শিক্ষক আনিসুজ্জামানের লেখা দিয়ে। শেষ লেখাটি তার নাতি শায়ের নাঈমের।
বইয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরের এক বালক, যাকে তার মা আদর করে দুলাল বলে ডাকতেন, সেই বালকটির প্রথিতযশা সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার হয়ে ওঠার গল্পটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের বিকাশ ও ক্রমপরিণতির ইতিহাসে যার নাম অতিগুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, শৌখিন, কুটিরশিল্পসদৃশ সংবাদপত্রের ক্ষীণ বলয় থেকে বৃহৎ কলেবরের সংবাদপত্রের অভিযাত্রার অন্যতম সফল পথিকৃৎ যিনি, তাকে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, লেখক-প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার, কথাশিল্পী রাহাত খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ সব অঙ্গনের বিশিষ্টজনের লেখা রয়েছে। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গোলাম সারওয়ারের পারিবারিক এবং বিশিষ্টজনের সঙ্গে তার অনেক ছবিও রয়েছে বইটিতে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে চমৎকার এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অবশ্য এর আগেও ছিল বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা। পূজা সেনগুপ্ত ও তার দলের নৃত্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
নৃত্যের পর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পরপর কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান। প্রদর্শিত হয় গোলাম সারওয়ারকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র।
জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি সবাইকে স্বাগত জানান। এরপর গোলাম সারওয়ারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জন্মদিনের সম্মাননাপত্র পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী ও নাট্যাভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের এই আয়োজন।
গোলাম সারওয়ারের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আনিসুজ্জামান বলেন, 'অনেক কাল আগে সারওয়ারকে পেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররূপে। সেই থেকে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার প্রবেশ এবং উন্নতি লাভের ধারাটি আমি সাগ্রহে ও সানন্দে দেখে আসছিলাম। নিজ মেধা ও শ্রমে সে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদক পদে সগৌরবে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক মহলে সে সমাদৃত শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে। এই অর্জন সামান্য নয়।' বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি গোলাম সারওয়ারের অঙ্গীকার এবং ব্যক্তিগত সৌজন্যবোধের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন সমকাল'র ফিচার সম্পাদক মাহবুব আজীজ।
সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের পর শুরু হয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। সুধীজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত গোলাম সারওয়ার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, 'আমি বুঝতেই পারিনি মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। এ এক অলৌকিক আনন্দ। আমি মুগ্ধ, আমি কৃতজ্ঞ।' অনুভূতি প্রকাশের এ বক্তব্যে গোলাম সারওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যে সাংবাদিকতার শুরু, তার কথাও বললেন। সংবাদ থেকে ইত্তেফাক পর্যন্ত নিজের বিকাশের নানা স্তর তুলে ধরেন। সম্পাদক হিসেবে আবির্ভাব এবং একাধিক পত্রিকা সম্পাদনার কথা বলে বর্তমান পত্রিকা সমকালেই কর্মজীবন শেষ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, 'বার্তাকক্ষেই জীবন শেষ করতে চাই।'
গোলাম সারওয়ারকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন সম্পাদক স ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এ এইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি হেলাল হাফিজ, আনোয়ারা সৈয়দ হক, নাট্যজন আতাউর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, নাট্যজন ম. হামিদ, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক আনিসুল হক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান গোলাম সারওয়ারকে। শুভেচ্ছা জানাতে আসেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান। ব্র্যাক হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার জারা জাবিন মাহবুব, পপুলার লাইফ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আলমগীর ফিরোজ, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল হকও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সমকাল সম্পাদককে।
শেষপর্বে ছিল ঐশী, কর্নিয়া, কিশোরসহ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের গান।
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের জন্মের শুভদিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত হয় '৭৫-এ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার: জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি'। কমিটির উদ্যোগে প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে সম্মাননাগ্রন্থ- 'সুবর্ণরেখায় বাতিঘর'।
লেখক-অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত সম্মাননা গ্রন্থটিতে গোলাম সারওয়ারকে নিয়ে ৭২টি লেখা ছাপা হয়েছে। বইটি শুরু হয়েছে তার শিক্ষক আনিসুজ্জামানের লেখা দিয়ে। শেষ লেখাটি তার নাতি শায়ের নাঈমের।
বইয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরের এক বালক, যাকে তার মা আদর করে দুলাল বলে ডাকতেন, সেই বালকটির প্রথিতযশা সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার হয়ে ওঠার গল্পটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের বিকাশ ও ক্রমপরিণতির ইতিহাসে যার নাম অতিগুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, শৌখিন, কুটিরশিল্পসদৃশ সংবাদপত্রের ক্ষীণ বলয় থেকে বৃহৎ কলেবরের সংবাদপত্রের অভিযাত্রার অন্যতম সফল পথিকৃৎ যিনি, তাকে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, লেখক-প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার, কথাশিল্পী রাহাত খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ সব অঙ্গনের বিশিষ্টজনের লেখা রয়েছে। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গোলাম সারওয়ারের পারিবারিক এবং বিশিষ্টজনের সঙ্গে তার অনেক ছবিও রয়েছে বইটিতে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে চমৎকার এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অবশ্য এর আগেও ছিল বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা। পূজা সেনগুপ্ত ও তার দলের নৃত্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
নৃত্যের পর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পরপর কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান। প্রদর্শিত হয় গোলাম সারওয়ারকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র।
জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি সবাইকে স্বাগত জানান। এরপর গোলাম সারওয়ারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জন্মদিনের সম্মাননাপত্র পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী ও নাট্যাভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের এই আয়োজন।
গোলাম সারওয়ারের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আনিসুজ্জামান বলেন, 'অনেক কাল আগে সারওয়ারকে পেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররূপে। সেই থেকে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার প্রবেশ এবং উন্নতি লাভের ধারাটি আমি সাগ্রহে ও সানন্দে দেখে আসছিলাম। নিজ মেধা ও শ্রমে সে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদক পদে সগৌরবে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক মহলে সে সমাদৃত শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে। এই অর্জন সামান্য নয়।' বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি গোলাম সারওয়ারের অঙ্গীকার এবং ব্যক্তিগত সৌজন্যবোধের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন সমকাল'র ফিচার সম্পাদক মাহবুব আজীজ।
সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের পর শুরু হয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। সুধীজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত গোলাম সারওয়ার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, 'আমি বুঝতেই পারিনি মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। এ এক অলৌকিক আনন্দ। আমি মুগ্ধ, আমি কৃতজ্ঞ।' অনুভূতি প্রকাশের এ বক্তব্যে গোলাম সারওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যে সাংবাদিকতার শুরু, তার কথাও বললেন। সংবাদ থেকে ইত্তেফাক পর্যন্ত নিজের বিকাশের নানা স্তর তুলে ধরেন। সম্পাদক হিসেবে আবির্ভাব এবং একাধিক পত্রিকা সম্পাদনার কথা বলে বর্তমান পত্রিকা সমকালেই কর্মজীবন শেষ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, 'বার্তাকক্ষেই জীবন শেষ করতে চাই।'
গোলাম সারওয়ারকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন সম্পাদক স ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এ এইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি হেলাল হাফিজ, আনোয়ারা সৈয়দ হক, নাট্যজন আতাউর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, নাট্যজন ম. হামিদ, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক আনিসুল হক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান গোলাম সারওয়ারকে। শুভেচ্ছা জানাতে আসেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান। ব্র্যাক হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার জারা জাবিন মাহবুব, পপুলার লাইফ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আলমগীর ফিরোজ, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল হকও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সমকাল সম্পাদককে।
শেষপর্বে ছিল ঐশী, কর্নিয়া, কিশোরসহ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের গান।
No comments