সিরিয়ালের জন্যই মৌমিতার মৃত্যু
বেশ
কিছু বাংলা সিরিয়ালে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন মৌমিতা। এর মাঝে কেটে
গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। পার্শ্ব চরিত্রের বদলে এ বার মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের
জন্য অপেক্ষা করছিলেন মৌমিতা। কিন্তু তেমন কোনও ডাক আসেনি। মৌমিতার মা
শ্যামলী দেবী জানান, কয়েক মাস ধরেই কেমন মনমরা হয়েছিল মেয়েটা। বলছিল, এত
পরিশ্রম করি, কেউ দাম দেয় না। সম্প্রতি বাবা-মায়ের সঙ্গে কিছুটা
মনোমালিন্যও হয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে শ্যামলী দেবীই কলকাতায় মেয়ের
ফ্ল্যাটে গিয়ে তার অভিমান ভাঙিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি ফেরার পর কয়েকবার
ফোন করা হলেও ধরছিলেন না মৌমিতা। শ্যামলী দেবী বলেন, শনিবার সকালে মেয়েকে
খবরে দেখেই বুঝি, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছেন না
মৌমিতার ছেষট্টি বছরের দাদু কানাই। মাথায় হাত দিয়ে বসে কেবলই বলে চলেছেন,
কেন যে সিরিয়ালে অভিনয় করার ভূত মেয়েটার মাথায় ঢুকিয়েছিলাম! ওই সিরিয়ালে
জন্যই ওর মরতে হলো। ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির স্কুলে পড়াশোনা করার সময়ই
মৌমিতা তার অভিনেত্রীর হওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন দাদু কানাই দে-কে।
কানাইবাবুর অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে পরিচয় ছিল। নাতনির ইচ্ছা পূরণের
জন্য টলিউডের অভিনেতা এবং সিনেমা জগতের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন
কানাইবাবু। ব্যান্ডেল থেকে রোজ টালিগঞ্জে যাতায়াতে সমস্যা হওয়ায় কলকাতার
রিজেন্ট পার্কে বাড়ি ভাড়া নেন মৌমিতা।
No comments