হামলায় জর্জরিত সিরিয়ার ইস্টার্ন ঘৌটা ও আফরিন
সরকারি
বাহিনীসহ বেশ কয়েকটি পরাশক্তির হামলার শিকার সিরিয়া। ইস্টার্ন ঘৌটায়
সরকারি বাহিনী, রাশিয়া, ইরান ও অন্যান্য বাহিনীর সম্মিলিত হামলা ইতিমধ্যে
কেড়ে নিয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলেও তা
কার্যকর হয়নি। বিদ্রোহীরা পিছু হটতে রাজি নয়। আর সরকারি ও জোট বাহিনীও
হামলা থামাতে ইচ্ছুক নয়। দুই পক্ষের লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে নারী,
শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, আফরিন অঞ্চলে পিপল’স প্রটেকশন
ইউনিটস (ওয়াইপিজি) নামে পরিচিত কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান
চালাচ্ছে তুরস্ক। বাহিনীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে তুরস্ক। যদিও,
আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে ওয়াইপিজি’কে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি,
বাহিনীটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের
বিরুদ্ধে।
ইস্টার্ন ঘৌটায় নিহতের সংখ্যা এক হাজারের অধিক
বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে সামপ্রতিক সময়ে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে রাশিয়া ও ইরানসমর্থিত সিরিয়া সরকার। তাদের দাবি, পুরো অঞ্চলটি বিদ্রোহীমুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এমন তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে। তবে এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা। এছাড়া, অঞ্চলটিতে পৌঁছানো যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ত্রাণ। পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিগত ২১ দিনে এই লড়াইয়ে ২২৭ শিশু ও ১৫৪ জন নারীসহ কমপক্ষে ১০৯৯ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪ হাজার ৩৭৮ জন।
আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই প্রকট আকার ধারণ করে। সরকারি বাহিনীর হামলায় রোববার থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত রেখেছে সরকারি বাহিনী। দৌমা-ভিত্তিক এক মানবাধিকার কর্মী আব্দেল মালিক আবৌদ জানিয়েছেন, পুরো ঘৌটাজুড়ে বোমা হামলা চালানো বন্ধ করেনি সিরীয় যুদ্ধবিমানগুলো। তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) ইস্টার্ন ঘৌটার আকাশ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল যুদ্ধ বিমানে। বিমানগুলো এখনো হামলা চালানো বন্ধ করেনি। তিনি আরো বলেন, বিমানগুলো মূলত পাতাল আশ্রয়স্থল ও মসজিদ টার্গেট করে বোমা হামলা চালিয়েছে। রাতে চালানো হয়েছে রাসায়নিক হামলাও। হোয়াইট হেলমেটস নামে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্য সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, সিরীয় সরকার ইস্টার্ন ঘৌটার আরবিন শহরে ক্লোরিন গ্যাস, ফসফরাস বোমা ও নাপাম বোমা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্যাস হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে গত বুধবার রাতে হামুরিয়াহ শহরের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে। দেখা যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে হামলায় আক্রান্তদের।
আফরিন রক্ষার্থে মানব-ঢাল হতে চলেছে বেসামরিক নাগরিকরা
তুর্কি বাহিনীর অব্যাহত হামলা থেকে আফরিন শহরকে রক্ষা করতে মানব-ঢাল হওয়ার পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় বেসামরিক নাগরিকরা। গত ২০শে জানুয়ারি থেকে শুরু করে আফরিনে হামলা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা লড়াইয়ের পর তুর্কি বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যোদ্ধারা এখন শহরটির বাইরে পৌঁছেছে। যেকোনো মুহূর্তে শহরে প্রবেশ করবে। রোববার তুর্কি সামরিক বাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীর কাছে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম হারায় কুর্দি মিলিশিয়ারা। আল জাজিরা’র এলান ফিশার বলেন, আচমকা হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই বিস্মিত। তিনি আরো বলেন, কুর্দি এলাকাগুলোর বাসিন্দাসহ তুর্কি থেকেও ওয়াইপিজি’র সমর্থকরা মানব-ঢাল হতে আফরিনে আসার পরিকল্পনা করছে। যাতে করে তুরস্ক আফরিনে হামলা চালাতে না পারে।
ইস্টার্ন ঘৌটায় নিহতের সংখ্যা এক হাজারের অধিক
বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে সামপ্রতিক সময়ে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে রাশিয়া ও ইরানসমর্থিত সিরিয়া সরকার। তাদের দাবি, পুরো অঞ্চলটি বিদ্রোহীমুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এমন তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে। তবে এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা। এছাড়া, অঞ্চলটিতে পৌঁছানো যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ত্রাণ। পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিগত ২১ দিনে এই লড়াইয়ে ২২৭ শিশু ও ১৫৪ জন নারীসহ কমপক্ষে ১০৯৯ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪ হাজার ৩৭৮ জন।
আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই প্রকট আকার ধারণ করে। সরকারি বাহিনীর হামলায় রোববার থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত রেখেছে সরকারি বাহিনী। দৌমা-ভিত্তিক এক মানবাধিকার কর্মী আব্দেল মালিক আবৌদ জানিয়েছেন, পুরো ঘৌটাজুড়ে বোমা হামলা চালানো বন্ধ করেনি সিরীয় যুদ্ধবিমানগুলো। তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) ইস্টার্ন ঘৌটার আকাশ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল যুদ্ধ বিমানে। বিমানগুলো এখনো হামলা চালানো বন্ধ করেনি। তিনি আরো বলেন, বিমানগুলো মূলত পাতাল আশ্রয়স্থল ও মসজিদ টার্গেট করে বোমা হামলা চালিয়েছে। রাতে চালানো হয়েছে রাসায়নিক হামলাও। হোয়াইট হেলমেটস নামে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্য সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, সিরীয় সরকার ইস্টার্ন ঘৌটার আরবিন শহরে ক্লোরিন গ্যাস, ফসফরাস বোমা ও নাপাম বোমা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্যাস হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে গত বুধবার রাতে হামুরিয়াহ শহরের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে। দেখা যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে হামলায় আক্রান্তদের।
আফরিন রক্ষার্থে মানব-ঢাল হতে চলেছে বেসামরিক নাগরিকরা
তুর্কি বাহিনীর অব্যাহত হামলা থেকে আফরিন শহরকে রক্ষা করতে মানব-ঢাল হওয়ার পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় বেসামরিক নাগরিকরা। গত ২০শে জানুয়ারি থেকে শুরু করে আফরিনে হামলা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা লড়াইয়ের পর তুর্কি বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যোদ্ধারা এখন শহরটির বাইরে পৌঁছেছে। যেকোনো মুহূর্তে শহরে প্রবেশ করবে। রোববার তুর্কি সামরিক বাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীর কাছে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম হারায় কুর্দি মিলিশিয়ারা। আল জাজিরা’র এলান ফিশার বলেন, আচমকা হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই বিস্মিত। তিনি আরো বলেন, কুর্দি এলাকাগুলোর বাসিন্দাসহ তুর্কি থেকেও ওয়াইপিজি’র সমর্থকরা মানব-ঢাল হতে আফরিনে আসার পরিকল্পনা করছে। যাতে করে তুরস্ক আফরিনে হামলা চালাতে না পারে।
No comments