দ্বিতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
দ্বিতীয়
মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। স্থানীয় সময় শনিবার
চীনের পার্লামেন্টের ভোটে পুনঃনির্বাচিত হন তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত হয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াং কিশান। ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস
১৭ই মার্চ সর্বসম্মতিক্রমে শি’কে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। তার
বিপক্ষে পড়েনি একটি ভোটও। তবে ওয়াং এক ভোট কম পেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে
বিবিসি।
খবরে বলা হয়, শনিবার পার্লামেন্টের তিন হাজার সদস্যের মধ্যে ভোটদান করেন ২ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে সবাই শি’কে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, ওয়াং পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ ভোট। তিনি পূর্বে চীনে দুর্নীতি তদন্তের প্রধান ছিলেন। প্রেসিডেন্ট শি’র ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াং। হঠাৎ এমন পদে তার আবির্ভাব শি’র ক্ষমতা বৃদ্ধির ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কয়েক দিন আগেই চীনা পার্লামেন্ট সংবিধান সংশোধন করে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার বিধান তুলে দেয়। আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসন করার পথ সুগম হয় শি’র জন্য। চীনে মাও সেতুং’র পর সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত শি। নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই জোর দিচ্ছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ কারণেই ওয়াং’কে নিজের কাছে রাখতে চান শি। চীনের সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টের কাজে সহায়তা করতে পারবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্বও পালন করতে পারবেন।
কে এই ওয়াং কিশান?
৬৯ বছর বয়সী ওয়াং ৮০’র দশকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি’র নীতিমালা গবেষক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি বেইজিং এর মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে তিনি চীনের পলিটব্যুরো’তে যোগ দেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় প্রেসিডেন্ট হু জিনাতো’র প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ পান। সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী হেনরি পলসন তাকে একজন ‘নিখুঁত ও অনুসন্ধিৎসু’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে ওয়াং সবচেয়ে জনপ্রিয় তার সর্বশেষ পদের জন্য। চীনের দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত পরিচালনার জন্য। এই তদন্ত অভিযানটির শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে। শৃঙ্খলা পরীক্ষণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রধান হিসেবে পুরো অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। পুরো অভিযান চালু করা হয় তৎকালীন সময়ে দলের নব-নিযুক্ত নেতা শি জনপিংয়ের নেতৃত্বে। ওই অভিযানের আওতায় পতন ঘটে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মকর্তার। শি’র তরুণ কালের বন্ধু ওয়াং এই অভিযান পরিচালনা করে শি’র প্রশাসনে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
খবরে বলা হয়, শনিবার পার্লামেন্টের তিন হাজার সদস্যের মধ্যে ভোটদান করেন ২ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে সবাই শি’কে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, ওয়াং পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ ভোট। তিনি পূর্বে চীনে দুর্নীতি তদন্তের প্রধান ছিলেন। প্রেসিডেন্ট শি’র ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াং। হঠাৎ এমন পদে তার আবির্ভাব শি’র ক্ষমতা বৃদ্ধির ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কয়েক দিন আগেই চীনা পার্লামেন্ট সংবিধান সংশোধন করে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার বিধান তুলে দেয়। আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসন করার পথ সুগম হয় শি’র জন্য। চীনে মাও সেতুং’র পর সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত শি। নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই জোর দিচ্ছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ কারণেই ওয়াং’কে নিজের কাছে রাখতে চান শি। চীনের সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টের কাজে সহায়তা করতে পারবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্বও পালন করতে পারবেন।
কে এই ওয়াং কিশান?
৬৯ বছর বয়সী ওয়াং ৮০’র দশকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি’র নীতিমালা গবেষক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি বেইজিং এর মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে তিনি চীনের পলিটব্যুরো’তে যোগ দেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় প্রেসিডেন্ট হু জিনাতো’র প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ পান। সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী হেনরি পলসন তাকে একজন ‘নিখুঁত ও অনুসন্ধিৎসু’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে ওয়াং সবচেয়ে জনপ্রিয় তার সর্বশেষ পদের জন্য। চীনের দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত পরিচালনার জন্য। এই তদন্ত অভিযানটির শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে। শৃঙ্খলা পরীক্ষণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রধান হিসেবে পুরো অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। পুরো অভিযান চালু করা হয় তৎকালীন সময়ে দলের নব-নিযুক্ত নেতা শি জনপিংয়ের নেতৃত্বে। ওই অভিযানের আওতায় পতন ঘটে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মকর্তার। শি’র তরুণ কালের বন্ধু ওয়াং এই অভিযান পরিচালনা করে শি’র প্রশাসনে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
No comments