বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণের স্বীকৃতি
জাতির জন্য বিরাট অর্জন। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মদিনেই এই সংবাদটা আমরা
পেলাম যে আমাদের এতদিনের প্রচেষ্টার ফলে আজকে বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ
স্বল্পোন্নত দেশ ছিল, সেই দেশ জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থাৎ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন- ভারত, শ্রীলঙ্কা
এমনকি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের কাতারেই আজ বাংলাদেশের অবস্থান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এক ধাপ পিছিয়ে ছিলাম। আজকেই আমরা খবর পেয়েছি আমরা
আর পিছিয়ে নেই। এই অঞ্চলের সকল দেশের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে
যেতে পারবো। আমরা চলতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন এবং
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জাতির পিতার
সমাধি কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
গোপালগঞ্জের এসএম সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র
আরাফাত হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। গোপালগঞ্জের সোনালী স্বপ্ন
একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তি সাহা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা
করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, ঢাকা এবং
গোপালগঞ্জের বিভাগীয় কমিশনার বজলুল আহমেদ এবং মোখলেসুর রহমান সরকার
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ছেলেমেয়েদের এসব অপশক্তির বিষয়ে সচেতন করতে অভিভাবক, শিক্ষক এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে আমাদের শিশু থেকে যুবক শ্রেণি কোথায় যায়, কি করে, কার সঙ্গে মিশে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। যেন কেউ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে। তারা যেন সুস্থ জীবন পায়। আর বাবা-মা, ভাইবোনকে নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটাতে পারে তারই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো ছেলে- মেয়ে যেন বিপথে না যায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাই।
দিবসটির স্মরণে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তার রচিত এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত ‘আমাদের ছোট্ট রাসেল সোনা’- শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন উপস্থিত ছিলেন।
‘উঠবো জেগে ছুটবো বেগে’- শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে একটি বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং ‘আমার ভাবনায় ৭ই মার্চ’- শীর্ষক শিশুদের একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালিপাড়ার দু’জন দুস্থ মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন: এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকালে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, এডভোকেট সাহারা খাতুন, সতীশ চন্দ্র রায়, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ স ম ফিরোজ।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং আওয়ামী লীগের নানা সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনসহ অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি দেশব্যাপী জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ছেলেমেয়েদের এসব অপশক্তির বিষয়ে সচেতন করতে অভিভাবক, শিক্ষক এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে আমাদের শিশু থেকে যুবক শ্রেণি কোথায় যায়, কি করে, কার সঙ্গে মিশে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। যেন কেউ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে। তারা যেন সুস্থ জীবন পায়। আর বাবা-মা, ভাইবোনকে নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটাতে পারে তারই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো ছেলে- মেয়ে যেন বিপথে না যায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাই।
দিবসটির স্মরণে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তার রচিত এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত ‘আমাদের ছোট্ট রাসেল সোনা’- শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন উপস্থিত ছিলেন।
‘উঠবো জেগে ছুটবো বেগে’- শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে একটি বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং ‘আমার ভাবনায় ৭ই মার্চ’- শীর্ষক শিশুদের একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালিপাড়ার দু’জন দুস্থ মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন: এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকালে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, এডভোকেট সাহারা খাতুন, সতীশ চন্দ্র রায়, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ স ম ফিরোজ।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং আওয়ামী লীগের নানা সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনসহ অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি দেশব্যাপী জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
No comments