স্বপ্ন পূরণের লড়াই আজ
টানা
দুবার সিংহবধে লক্ষ্য অর্জন। এবার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা। প্রতিপক্ষ আরো
শক্তিশালী, আরো দুর্বার ভারত। বাংলাদেশ যতটা তেজোদীপ্ত ভারত ততটাই নির্ভার।
তারা এ আসরেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে দুবার। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হার
দিয়ে শুরু। সবার চোখে বিস্ময়। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে খর্ব শক্তির ভারত
প্রমাণ করেছে তারা দুর্বল নয়। এ আসরের শিরোপাটা যেন তাদেরই প্রাপ্য।
কিন্তু বাংলাদেশও ছেড়ে কথা বলার নয়। ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’ মন্ত্রে
উজ্জীবিত। শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে লড়াই আজ স্বপ্নপূরণের। প্রথমবারে মতো টি-২০
ফরম্যাটে আয়োজিত কোনো ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ।
স্বপ্ন এবার শিরোপা জয়ের। অনেক আরাধ্য এক শিরোপা। আজ শিরোপা জিতে আসরটি
স্মরণীয় করার সুযোগ, সুযোগ নতুন ইতিহাস গড়ার। কলম্বোর প্রেমাদাসায় শুক্রবার
রাতের অপ্রীতিকর ওই অধ্যায় নিয়ে দিনভর অস্বস্তি থাকলেও তা দলীয় নৈপুণ্যে
কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই বিশ্বাস সবার।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর এ ফরম্যাটে এটি কেবল দ্বিতীয় ত্রিদেশীয় আসর। প্রথম আসর বসে গতমাসেই দ্বিতীয় ট্রফির আয়োজক ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দল ছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনে আয়োজন এ প্রতিযোগিতা। এতে বাংলাদেশের কাছে হার মেনে আজ তারা দর্শক। যে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মাটিতে দুর্দান্ত সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরেছিল মাস খানেক আগে, তাদেরই হারিয়ে ফের মাথা তুলে দাঁড়ালো টাইগার বাহিনী। এবার অভিযান ভারতবধের। সেই ভারতকে হারিয়ে আরো বড় উদযাপনের মঞ্চ প্রস্তুত করতে চায় বাংলদেশ যাদেরকে হাতের মুঠোয় পেয়েও হারাতে পারেনি তারা। বছর দুয়েক আগে টি-২০ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে শেষ তিন বলে দুই রান করতে না পারার আক্ষেপ মেটানোর বড় সুযোগ মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর সামনে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত সাতবার টি-২০তে মাঠে নেমেছে। প্রতিবারই ফিরেছে মাথানত করে। এবার কি গণেশ উল্টাবে? বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাঠে গড়াবে এ খেলা, যার দিকে চোখ থাকবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বেরই।
প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধমুখী। দিনে দিনে যে ঋণ জমিয়াছে তা যেন আজ শুধিতে চায় ব্যঘ্রবাহিনী। কিন্তু কাজটি সহজ হবে না। ভারত যত দুর্বল দলই নিয়ে আসুক তাদের শক্তির ধার তারা দেখিয়েছে। আবার বাংলাদেশও যে আগের জায়গায় নেই তারও প্রমাণ পেয়েছে সবাই। জয় চাইই। র্যাঙ্কিংয়ে ফারাক যতই হোক, আগের ফলও যাই হোক তাতে কী-বা যায় আসে-এমন কথা সব খেলার আগে সবাই বলেন। আজকের খেলা নতুন দিনে নতুনভাবে আর টি-২০তে দিনটা যার ম্যাচটাও তার। কে ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার করা ২১৪ রান টপকে জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু আগের সব নজির ভেঙে তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তারাই খেলবেন আজ। মুশফিক-তামিম-মাহমুদুল্লাহ ছন্দেই আছেন। লিটন জ্বলে উঠে যেন নিভে গেলেন। কিন্তু তার মাঝে যে আগুন লুকিয়ে আছে তাতো জ্বলতে পারে যে কোনো সময়েই। ছন্দে নেই সৌম্য-সাব্বির। অথচ কে না জানে তাদের সামর্থ্যের কথা। তারা কৌশলে দুর্বল নন, দুর্বলতার ছাপ তাদের মানসিকতায়। একটু যদি দেখে শুনে খেলতে পারেন তবে তারাই জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেন। আর সাকিব আল হাসানের কথা! তিনি ব্যাটে না বলে সেরা তা নিরূপণ করাই তো দুষ্কর। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার- কখনো ব্যাটে কখনো বলে প্রতিপক্ষকে নাকাল করে নিজেকে তিনি প্রমাণ করেছেন অনেকবারই। সাকিব দলে ফেরায় বাঘের সাহস বেড়েছে আরো। আর ভারত অধিনায়ক ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশের এই জেদ আর সাহসকেই।
বিরাট কোহলি আর মহেন্দ্র সিং ধোনি নেই। নেই নিয়মিত বোলার ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, হারদিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার। তারপরেও ভারত রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, দিনেশ কার্তিক আর মনিষ পান্ডে কম যান না। বোলিংয়ে হালের চমক স্পিনার যুযবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। পেস আক্রমণে শার্দুল ঠাকুর, জয়দেব উনাড়কাট, বিজয় শঙ্কর বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন বেশ।
ফাইনালের আগে গতকাল দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য দিনেশ কার্তিক বলেন, আমরা একটি ক্রিকেটীয় জাতি। আমাদের দল শক্তিতে যেমনই হোক, আমরা সবসময়ই খেলি ভারতের জন্য এবং জয়ের জন্য। আমরা খেলি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফল যাই হোক। আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় আসেননি বটে। তবে আমরা চেষ্টা করছি গত এক বছর আমরা যেমন খেলছি তেমনভাবে খেলতে।;
বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন কার্তিক। বলেন, উপমহাদেশের পরিবেশে বাংলাদেশ সবসময়ই শক্তিশালী দল। তারা তাদের অধ্যাবসায়, একাগ্রতা আর জেদের জন্য পরিচিত। তারা যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। অনেকদিন ধরে টেস্ট খেলছে। তাদের হালকা করে নেয়ার কিছু নেই।
গতকাল বিকালে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, আমরা সবধরনের চাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করবো। আমরা এ ম্যাচটি ফাইনাল না ভেবে আর দশটি ম্যাচ মনে করেই খেলবো। এ ছাড়া বাংলাদেশ মাঠের বাইরে কোনো কিছুই মাথায় আনবে না খেলার মধ্যে। সাকিব বলেন, এটা নিছক ব্যাট-বলের খেলা। আমরা এর মধ্যেই মনোনিবেশ করবো। গতকালের জয়ে আমাদের সবাই নির্ভার। বাড়তি কোনো চাপ নেই কারো ওপর। ভারত দুর্বল কোনো দল নয়। তারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ দল। আমরা এসব মাথায় রেখেই মাঠে নামবো।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর এ ফরম্যাটে এটি কেবল দ্বিতীয় ত্রিদেশীয় আসর। প্রথম আসর বসে গতমাসেই দ্বিতীয় ট্রফির আয়োজক ছিল যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দল ছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনে আয়োজন এ প্রতিযোগিতা। এতে বাংলাদেশের কাছে হার মেনে আজ তারা দর্শক। যে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মাটিতে দুর্দান্ত সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরেছিল মাস খানেক আগে, তাদেরই হারিয়ে ফের মাথা তুলে দাঁড়ালো টাইগার বাহিনী। এবার অভিযান ভারতবধের। সেই ভারতকে হারিয়ে আরো বড় উদযাপনের মঞ্চ প্রস্তুত করতে চায় বাংলদেশ যাদেরকে হাতের মুঠোয় পেয়েও হারাতে পারেনি তারা। বছর দুয়েক আগে টি-২০ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে শেষ তিন বলে দুই রান করতে না পারার আক্ষেপ মেটানোর বড় সুযোগ মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর সামনে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত সাতবার টি-২০তে মাঠে নেমেছে। প্রতিবারই ফিরেছে মাথানত করে। এবার কি গণেশ উল্টাবে? বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাঠে গড়াবে এ খেলা, যার দিকে চোখ থাকবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বেরই।
প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধমুখী। দিনে দিনে যে ঋণ জমিয়াছে তা যেন আজ শুধিতে চায় ব্যঘ্রবাহিনী। কিন্তু কাজটি সহজ হবে না। ভারত যত দুর্বল দলই নিয়ে আসুক তাদের শক্তির ধার তারা দেখিয়েছে। আবার বাংলাদেশও যে আগের জায়গায় নেই তারও প্রমাণ পেয়েছে সবাই। জয় চাইই। র্যাঙ্কিংয়ে ফারাক যতই হোক, আগের ফলও যাই হোক তাতে কী-বা যায় আসে-এমন কথা সব খেলার আগে সবাই বলেন। আজকের খেলা নতুন দিনে নতুনভাবে আর টি-২০তে দিনটা যার ম্যাচটাও তার। কে ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার করা ২১৪ রান টপকে জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু আগের সব নজির ভেঙে তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তারাই খেলবেন আজ। মুশফিক-তামিম-মাহমুদুল্লাহ ছন্দেই আছেন। লিটন জ্বলে উঠে যেন নিভে গেলেন। কিন্তু তার মাঝে যে আগুন লুকিয়ে আছে তাতো জ্বলতে পারে যে কোনো সময়েই। ছন্দে নেই সৌম্য-সাব্বির। অথচ কে না জানে তাদের সামর্থ্যের কথা। তারা কৌশলে দুর্বল নন, দুর্বলতার ছাপ তাদের মানসিকতায়। একটু যদি দেখে শুনে খেলতে পারেন তবে তারাই জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেন। আর সাকিব আল হাসানের কথা! তিনি ব্যাটে না বলে সেরা তা নিরূপণ করাই তো দুষ্কর। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার- কখনো ব্যাটে কখনো বলে প্রতিপক্ষকে নাকাল করে নিজেকে তিনি প্রমাণ করেছেন অনেকবারই। সাকিব দলে ফেরায় বাঘের সাহস বেড়েছে আরো। আর ভারত অধিনায়ক ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশের এই জেদ আর সাহসকেই।
বিরাট কোহলি আর মহেন্দ্র সিং ধোনি নেই। নেই নিয়মিত বোলার ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, হারদিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার। তারপরেও ভারত রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, দিনেশ কার্তিক আর মনিষ পান্ডে কম যান না। বোলিংয়ে হালের চমক স্পিনার যুযবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। পেস আক্রমণে শার্দুল ঠাকুর, জয়দেব উনাড়কাট, বিজয় শঙ্কর বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন বেশ।
ফাইনালের আগে গতকাল দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য দিনেশ কার্তিক বলেন, আমরা একটি ক্রিকেটীয় জাতি। আমাদের দল শক্তিতে যেমনই হোক, আমরা সবসময়ই খেলি ভারতের জন্য এবং জয়ের জন্য। আমরা খেলি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফল যাই হোক। আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় আসেননি বটে। তবে আমরা চেষ্টা করছি গত এক বছর আমরা যেমন খেলছি তেমনভাবে খেলতে।;
বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন কার্তিক। বলেন, উপমহাদেশের পরিবেশে বাংলাদেশ সবসময়ই শক্তিশালী দল। তারা তাদের অধ্যাবসায়, একাগ্রতা আর জেদের জন্য পরিচিত। তারা যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। অনেকদিন ধরে টেস্ট খেলছে। তাদের হালকা করে নেয়ার কিছু নেই।
গতকাল বিকালে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, আমরা সবধরনের চাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করবো। আমরা এ ম্যাচটি ফাইনাল না ভেবে আর দশটি ম্যাচ মনে করেই খেলবো। এ ছাড়া বাংলাদেশ মাঠের বাইরে কোনো কিছুই মাথায় আনবে না খেলার মধ্যে। সাকিব বলেন, এটা নিছক ব্যাট-বলের খেলা। আমরা এর মধ্যেই মনোনিবেশ করবো। গতকালের জয়ে আমাদের সবাই নির্ভার। বাড়তি কোনো চাপ নেই কারো ওপর। ভারত দুর্বল কোনো দল নয়। তারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ দল। আমরা এসব মাথায় রেখেই মাঠে নামবো।
No comments