রোহিঙ্গা হত্যায় সু চির বিচার চান ব্রিটিশমন্ত্রী
মিয়ানমারে
রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং
সান সু চির আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান যুক্তরাজ্যের এক মন্ত্রী। তিনি
বলেন, রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে
আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচারই একমাত্র পথ। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও
কমনওয়েলথ দফতরের এশিয়া ও প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড
বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন
তুলে ধরেন। মার্ক ফিল্ড বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের
(ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম কোর্ট) স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। ফলে দেশটিকে নিজে
থেকেই আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাইতে হবে অথবা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক
আদালতে তুলতে পারবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী মনে
করেন, স্বল্প মেয়াদে এর কোনোটিই হয়তো ঘটবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে,
যারা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি নিয়ে কাজ করছে এবং অপরাধের আলামত ও
প্রমাণ সংগ্রহ করছে, তাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সু চির বিচার দাবি করেছেন
অস্ট্রেলিয়ার একদল আইনজীবী। এ দাবিতে শুক্রবার দেশটির আদালতে ‘প্রাইভেট
প্রসিকিউশন এপ্লিকেশন’ দাখিল করেছেন তারা। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, মেলবোর্নে
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন জমা দিয়েছে আইনজীবীদের দল। ওই মামলায় বলা হয়,
রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা
অতিমাত্রায় ও পর্যায়ক্রমিক অপরাধ চালিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে তা বন্ধে
ব্যর্থ হয়েছেন সু চি।
এমনকি তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নৃশংসতা চালানোর
অনুমতি দিয়েছেন। এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ‘খুবই
উদ্বিগ্ন’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতির উত্তরণে সাহায্য
করতে আগ্রহী। তিনি এ বিষয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টির সমাধানে ভারত ও সমমনা
দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, ‘এই সংকটে আমি
চীনের অসহযোগিতামূলক আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশিদের হতাশার কথা শুনেছি। চীনের
আচরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের উদার মানবিক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে তারা অবশ্যই
বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছে।’
No comments