একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং কমিশন জরুরি by ড. আর এম দেবনাথ
ব্যাংকের
ঋণখেলাপি সমস্যা একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। জনমনে এ নিয়ে ক্ষোভ
ও উৎকণ্ঠার সীমা নেই। এ রোগের দৃশ্যত তিনটি দিক আছে। প্রথমত, খেলাপি ঋণের
টাকা উদ্ধার; দ্বিতীয়ত, এর জন্য দায়ী ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রশাসক এবং
খেলাপি ঋণগ্রহীতার বিচার; তৃতীয়ত, ব্যবসায়িক বিচার-বিবেচনা। প্রথমে
উল্লিখিত দিকটির জন্য আমার কাছে ‘ওষুধ’ আছে। ওষুধটি গ্রাম্য। এক ব্যক্তিকে
গ্রামের বাজারে কয়েকজন লোক বেধড়ক পেটাচ্ছে। পিটুনি খেতে খেতে লোকটি রাস্তায়
পড়ে যায়। তাই দেখে দয়াপরবশ হয়ে একজন জিজ্ঞেস করল, পেটাচ্ছেন কেন?
পিটুনিদাতারা বলল, ব্যাটার কাছে টাকা পাই; দেব দিচ্ছি বলে দিনের পর দিন
ঘোরাচ্ছে। লোকটি তখন আহতজনকে জিজ্ঞেস করল, কথাটি কি ঠিক? উত্তরে সে বলল,
ঠিক। তবে আজ যেভাবে টাকা ফেরত চাইছে, এভাবে আর কোনোদিন চায়নি। চাইলে দিয়ে
দিতাম। গ্রাম্য বিচারের এই যে উদাহরণটা দিলাম, এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা কি
খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যবহার করা যায়? করতে পারলে দেশবাসী খুশি হতো। আবার করাও
খুব কঠিন কিছু নয়। শত হোক কৃষকদের দুই-চার হাজার টাকার জন্য কোমরে দড়ি দিয়ে
থানায়/জেলে নেয়া হয়। টাকা আদায়ই উদ্দেশ্য। এটা হয় ‘পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি
অ্যাক্টের’ অধীনে।
একবার শরিকি বিদ্যুৎ বিলের মামলায় আমার এ অবস্থা
হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজিরা দিয়ে সবার টাকা নিজের পকেট থেকে
পরিশোধ করে পরে বাঁচি। যদি এসব ছোটখাটো ক্ষেত্রে এটা করা যায় তাহলে লাখ
লাখ, কোটি কোটি, শত শত কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ আদায়ে ওই বিচার করা যাবে না
কেন? এর একটা উত্তর সম্ভবত ব্যাংকঋণ আদায়ের জন্য আমরা আলাদা একটা আইন
করেছি। এর নাম ‘মানি লোন কোর্ট’ অর্থাৎ অর্থঋণ আদালত। এটি মূলত খেলাপিদের
পক্ষের আইন। মৌলিক অধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রণীত। অথচ এতে মামলা করেই
ব্যাংকঋণের খেলাপি টাকা আদায় করতে হয়। বহু ঝামেলার মামলা। বড় বড় মামলা সব
উচ্চতর আদালতে ‘রিট’ করে আটকানো আছে। এসব মামলা ‘অবলোপনকৃত ঋণের’ (রিটেন
অফ) বিরুদ্ধে করা। প্রথমে ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’, পরে ‘ডাউটফুল’ থেকে একটি ঋণ
যখন বছরপাঁচেক পর ‘ব্যাড অ্যান্ড লস’ হয়, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে
মামলা করতে হয়। অবশ্যই এর আগে ১০০ টাকা ঋণের বিরুদ্ধে ১০০ টাকা ‘প্রভিশন’
রাখতে হয় ‘প্রফিট’ কমিয়ে, যাতে ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না
হয়। এর অর্থ ‘অবলোপনকৃত ঋণ’ মানে ব্যাংকের দাবি তামাদি হওয়া নয়। জানা যায় এ
ধরনের ঋণের টাকার পরিমাণ এখন পর্যন্ত হবে ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকা। ভাবা
যায়! অথচ তা আটকা আছে আইনি জটিলতায়। আদালতে বিলম্ব, রিটে বিলম্ব,
প্রক্রিয়াগত বিলম্ব, মামলার রায় প্রকাশের পর তা বাস্তবায়নে জটিলতা, বন্ধকি
সম্পত্তি প্রাপ্তিতে জটিলতা, দরদাতার অনুপস্থিতি ইত্যাদি কারণে। তার মানে,
কঠিন আইনের অভাবেই টাকা আটকা পড়ে আছে। উদ্ধার হচ্ছে না। এরপর খেলাপি ঋণ আছে
আরেক ধরনের, যার কথা ওপরে বললাম। ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ ঋণ এবং ‘ডাউটফুল
ঋণ’। এসব খেলাপি ঋণ ব্যাংক আদায়ের চেষ্টা করে।
১০ শতাংশের মতো টাকা দিয়ে তা
পুনঃতফসিল করা যায়। অর্থাৎ ‘ক্লাসিফাইড লোন’ রিশিডিউলিং করার ব্যবস্থা
আইনতই আছে। সব দেশেই আছে। এই স্তরে থাকা ঋণের ক্ষেত্রে ‘কোমরে দড়ি’ দেয়ার
কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ঋণখেলাপি পুনঃতফসিলের সুযোগ নেয়। আগে যতবার ইচ্ছা
ততবার পুনঃতফসিল করা যেত। এখন তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। বিশেষ
বিবেচনার সুযোগ করতে পারে একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক। পুনঃতফসিলকৃত ঋণ
খেলাপি-ঋণ হয়। এ ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রকৃত ব্যবসায়িক মন্দাবস্থার শিকার
ব্যবসায়ীদের জন্য। এটা ‘মাড়োয়ারি’ নীতি। ব্যবসায়ী খাদে পড়লে তাকে টেনে
তোলা, যাতে সে ব্যবসা করে ঋণ পরিশোধ করতে পারে। কিন্তু ‘অতি ব্যবহারে’,
অপব্যবহারে, প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটানোর ফলে এটা অকার্যকর ব্যবস্থায় পরিণত
হয়েছে। আরেক সমস্যা দাঁড়িয়েছে বড় বড় ঋণ নিয়ে। বড় বড় ঋণগ্রহীতার অনেকেই বড়
বড় ব্যবসা করেন, অনেকেই উৎপাদনমূলক কাজ করেন, তাদের শিল্প আছে। নানা
প্রতিকূলতার মধ্যেই তাদের ব্যবসা করতে হয়। বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, সরকারের
নীতি সহায়তার অভাব, আমদানিকৃত পণ্যের প্রতিযোগিতা, অবকাঠামোর অভাব,
বন্দরজট ইত্যাদি নানা কারণে তাদের সমস্যা তৈরি হয়। অবার কেউ কেউ আছেন যাদের
ঋণ অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেশি। অনেকে ঋণ অন্যত্র ‘ডাইভার্ট’ও করেছেন। ফলে তাদের
‘ক্যাশ ফ্লো’ কম। এককথায় তারা ‘ওভার বরোড’ কোম্পানি। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের
জন্য ঋণ পুনর্গঠন (রিস্ট্রাকচার) করার সুযোগ করে দিয়েছে। এর মধ্যে
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী যেমন আছেন, তেমনি আছেন প্রভাব-প্রতিপত্তিশালীরাও।
বস্তুত এরাও কিন্তু এক ধরনের ‘ঋণখেলাপি’, যাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা
হয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ‘অবলোপনকৃত ঋণ’ ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকা বাদে
‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’, ‘ডাউটফুল’ এবং ‘ব্যাড অ্যান্ড লস’ (যা এখনও অবলোপন
করা হয়নি) ইত্যাদি ক্যাটাগরির ঋণেও আটকে আছে প্রচুর টাকা, যার পরিমাণ ৮০-৮৫
হাজার কোটি টাকার কম হবে না। এর সঙ্গে যদি ‘পুনর্গঠিত’ ঋণ যোগ করা যায়,
তাহলে সব মিলিয়ে ‘খেলাপি ঋণের’ পরিমাণ হবে অনেক টাকা : সোয়া লাখ, দেড় লাখ
কোটি টাকার মতো।
দেখা যাচ্ছে, বিদ্যমান ‘অর্থঋণ আদালত আইনের’ মাধ্যমে
খেলাপি ঋণের টাকা আদায় করা এক কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এর বিকল্প ভাবা
দরকার। একটি হতে পারে ‘খেলাপি’ বিষয়টিকে ‘ক্রিমিন্যাল অফেন্স’ হিসেবে গণ্য
করা। এর জন্য আইন প্রাণয়ন করতে হবে। এটা কি আমরা জাতি হিসেবে করতে
প্রস্তুত? ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা উঠবে, শিল্পায়নের কথা উঠবে, মৌলিক অধিকারের
প্রশ্ন উঠবে, এই আইন কোথায় কোথায় আছে তার প্রশ্ন উঠবে। তাই নয় কি? আরেকটি
বিকল্প হতে পারে ‘দেউলিয়া আইন’। খেলাপি ঋণের বিষয়টিকে দেউলিয়া আইনের অধীনে
বিচার করা। এই আইন দেশে একটা আছে বলে জানি। দু-একটি মামলাও সম্ভবত কোনো
কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে করা হয়েছিল। কিন্তু যে কারণেই হোক, এ আইনে খেলাপি
ঋণগ্রহীতাদের বিচার করার কাজটি জনপ্রিয় হয়নি। জানি না এর কারণ কী।
ব্যাংকাররা এক্ষেত্রে উৎসাহী নয় বলে শুনেছি। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা এর
বিরুদ্ধে। কারণ দেউলিয়া ঘোষিত (ব্যাঙ্করাপট) কেউ কোনো চুক্তি করতে পারবে
না। এটা না করতে পারলে ব্যবসা করা যাবে না, বিশেষ করে বড় ব্যবসা। নির্বাচন
করা যাবে না। দেউলিয়া ব্যক্তির জন্য রয়েছে আরও অনেক সমস্যা। আরেকটি সমাধান
হতে পারে খেলাপি ঋণগ্রহীতার ব্যবসা-বাণিজ্য-কোম্পানি অধিগ্রহণ (টেকওভার)
করা। ব্যাংক এসব ব্যবসা অধিগ্রহণ করে হয় অফিসারদের দিয়ে চালাবে, নয়তো
খোলাবাজারে বিক্রি করে দেবে। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে- ব্যবসা বাস্তবে
চালাতে পারে এমন ব্যাংকার ক’জন আছেন? দ্বিতীয়ত, শত শত ব্যবসা কেনার মতো
টাকাওয়ালা লোক বাজারে কোথায়? তথ্যে দেখা যাচ্ছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ সোয়া
লাখ কোটি টাকার মতো। এ টাকা পাওনা ২ লাখ ২ হাজার ৬২৩ জন লোক ও প্রতিষ্ঠানের
কাছে। শোনা যায়, এর মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসায় লোকসান দিয়ে খারাপ দিন
কাটাচ্ছেন।
কেউ কেউ ইচ্ছা করে খেলাপি হয়েছেন। আবার বেশকিছু খেলাপি আছেন,
যারা বিদেশে আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করছেন। বলা বাহুল্য, সব ব্যাংক মিলিয়ে
হাজার হাজার মামলা রুজু করেছে টাকা আদায়ের জন্য। বিরাটসংখ্যক মামলা
চট্টগ্রামে। সেখানকার মামলা থেকে জানা যায়, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা একসময়ে
প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ছিলেন। নতুন নতুন ব্যবসায়ীর উত্থান, অহেতুক
ব্যবসা সম্প্রসারণ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, না বুঝে বিনিয়োগ, অর্থ পাচার,
ভিন্ন খাতে অর্থ ব্যবহার, রিয়েল এস্টেট ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ইত্যাদি
কারণে অনেক ব্যবসায়ী ফেঁসে গেছেন। মুশকিল হচ্ছে, মামলা করে টাকা আদায় করা
যাচ্ছে না। মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে দেরিতে। বন্ধকি সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে
না। পাওয়া গেলে এর দাম কম। দরদাতা পাওয়া যাচ্ছে না। মামলার রায় বাস্তবায়নে
(এক্সিকিউশন) পুলিশি সহায়তার অভাব। এসব সমস্যায় খেলাপি ঋণের টাকা আদায় করা
অসম্ভব একটা ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এবার আসি দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের
প্রশ্নে। খেলাপি ঋণ তৈরিতে দৃশ্যত দায়ী করা হয় ব্যাংকারদের, পরিচালকদের।
ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে, যদ্দূর জানা যায়, শত শত মামলা আছে। প্রায় প্রতিটি
ব্যাংকের ডজন ডজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে। সরকারি ব্যাংকে শত
শত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবসরকালীন সুবিধা ‘পেন্ডিং’ অবস্থায় আছে নানা
অনিয়মের অভিযোগের কারণে। শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসর কাটাচ্ছেন অশান্তির
মধ্যে। অবসরে গেলেও মামলার সময় তারা তাদের দায় এড়াতে পারেন না। ব্যাংক
পরিচালক দুই রকমের। সরকারি ব্যাংকের পরিচালক এবং বেসরকারি ব্যাংকের
পরিচালক। তাদের আইনের আওতায় আনতে দুটি বাধা। প্রথমত, তাদের বিরুদ্ধে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। ঢালাও অভিযোগ দিয়ে মামলা করা যায় না, মামলা
টিকেও না। ব্যাংক পরিচালকদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে,
তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া হয়। খবরের কাগজে এসব বিষয়ে নানা খবর
দেখি। আবার বড় প্রশ্ন, তারা অনেকেই খুবই প্রভাবশালী। আরেকটা কথা,
পরিচালকরা কাজ করেন বোর্ডে যৌথভাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মের অধীনে।
ব্যাংক সার্বক্ষণিকভাবে চালান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বোর্ডে যে কোনো ‘মেমো’
আসে কমপক্ষে পাঁচ-সাতটি সইসহ। বিভিন্ন স্তরের অফিসারদের সই। সবাইকে
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অডিটকালীন
অফিসারদের দোষত্র“টি ধরে বিচারের সুপারিশ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক
‘অন্যায়কারী’ পরিচালকদের বহিষ্কারও করছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের
চাকরিচ্যুতিও ঘটছে। ব্যাংকিং খাতে বহু পরিচালককে এ পর্যন্ত বহিষ্কার করা
হয়েছে, করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কাজেই কর্মকর্তা ও পরিচালকদের বিচার হচ্ছে
না- এ কথা ঠিক নয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিন্যাল অফেন্স’ আছে, তাদের
বিচার করার কর্তৃপক্ষ ভিন্ন। তারাও মামলা-মোকদ্দমা করছে। আগেই বলেছি,
‘ক্রিমিন্যাল অফেন্সের’ জন্য বহু পরিচালক ও কর্মকর্তার বিচারের ব্যবস্থা
অতীতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এ মুহূর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও
প্রধান নির্বাহী ‘জেরার’ মুখে। কারণ মামলা করতে সাক্ষী-প্রমাণ লাগে। যে
তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম সেগুলো হচ্ছে : খেলাপি ঋণের টাকা
উদ্ধার, কর্মকর্তা/দায়ীদের বিচার এবং ব্যবসায়িক বিচার-বিবেচনা। ব্যবসায়িক
দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-শিল্পের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা
যুক্তিসঙ্গত নয়। ‘প্যানিক’ তৈরি হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমাদের একটা
মধ্যপন্থা ধরতে হবে বলে মনে হয়। আমার মতে, টাকা উদ্ধারের কাজটি সমধিক
গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গেই জড়িত বিচার-আচার। এর জন্য আইনি কাঠামোর সংস্কার
দরকার। এ কথা প্রমাণিত, প্রচলিত আইন দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। কঠোরতম
আইন দরকার যাতে দোষীদের বিচার হয়, টাকাও উদ্ধার হয়। আবার ব্যবসা-বাণিজ্যেও
বিঘ্নঘটানো চলবে না। এসব দিক বিবেচনা করার জন্য অবিলম্বে একটি শক্তিশালী
‘ব্যাংকিং কমিশন’ গঠন করা দরকার।
ড. আরএম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rmdebnath@yahoo.com
ড. আরএম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rmdebnath@yahoo.com
No comments