সালমানের চক্ষু ক্যাম্পে আলোকিত ২৯ হাজার মানুষ by ওমর ফারুক সুমন
২০১২
সাল থেকে যাত্রা শুরু হালুয়াঘাটের সালমান ওমর রুবেলের বিনামূল্যের চক্ষু
ক্যাম্প। সালমান ওমর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ক্যাম্পটির লক্ষ্য
হচ্ছে নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসাপত্র, অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা ও
প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া। সূত্রমতে জানা যায়, প্রথম ক্যাম্পটি করেছিলেন ধারা
উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর থেকে প্রতিবছরই হালুয়াঘাট, ধোবাউড়াসহ বিভিন্ন
অঞ্চলে ধারাবাহিক ভাবে তা করে যাচ্ছেন। প্রায় ৭ বছরে এই সালমানের চক্ষু
ক্যাম্পে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা নিয়ে আলোকিত হয়েছেন হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সহ
বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২৯ হাজার মানুষ। এর মাঝে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন
৩২৮০ জন, চশমা বিতরণ করেছেন ১৯২৩ জনকে, সাধারণ চক্ষু রোগী হিসেবে ওষুধ
দিয়েছেন ৩৫০০ জনকে, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন ২০ হাজার ১৩২ জনকে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সালমানের এই চক্ষু ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে আসেন হালুয়াঘাট, ফুলপুর, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ, নালিতাবাড়ি, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বয়স্ক নারী ও পুরুষ। ময়মনসিংহের ডাক্তার কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তারগণ কর্তৃক পরিচালিত হয় এই চক্ষু সেবার কার্যক্রম। নারী ও পুরুষেরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা নিয়ে থাকে। কেউ ফিরে পায় চোখের জ্যোতি, কেউ পায় চশমা আর কেউ পায় ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা। রোগীর ধরন অনুযায়ী সকলের মাঝখান থেকে গুরুতর রোগীদেরকে বাছাই করে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চক্ষু হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ অপারেশনসহ যাবতীয় চিকিৎসা সুনিপুণ ভাবে করে থাকেন। আর সেই চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে থাকেন সালমান ওমর রুবেল। সরজমিন কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ছানি অপারেশন করা রোগী নালিতাবাড়ির যোগানিয়া গ্রামের ফাতেমা খাতুন (৫৫) বলেন, আমরা খুবই খুশি। আমার মা ছোট রাইখা মইরা গেছে। আমার কেউ নাই। কেউ আমারে খোঁজ নেয় না। কিন্তু এই সালমান আমার চক্ষু ভালো কইরা দিছে। হালুয়াঘাটের ইটাখলা গ্রামের সবিতা রানী পাল (৬০) বলেন, ভগবানের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, আমার দুইটা চোখ অপারেশন করে ভালো হয়েছে। ভগবান উনার মঙ্গল করুক। তেমনিভাবে কৃষ্টপুরের জ্যোৎস্না (৬০), বাউসার রাবেয়া (৬০), ফুলপুরের ছোট ছুনই গ্রামের নুরজাহান (৫৮)। এরা বলেন, তারা বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন। ভালো আছেন তারা। এদের মতো হাজার হাজার রোগী চক্ষু সেবা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সালমান ওমর রুবেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছোটকাল থেকেই স্বপ্ন মানুষের চক্ষু সেবা করার। আমার বাবারও স্বপ্ন ছিল তা। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো তা করে যাবো। তিনি বলেন, প্রতিটি ছানি অপারেশন করা রোগীর পেছনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া চক্ষু ক্যাম্পের সকল ব্যয়ভার তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানেই হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এই বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসাপত্র, ওষুধ ও অপারেশন ব্যবস্থা করতে এক সপ্তাহ আগে এলাকায় প্রচার করা হয়। অতঃপর নারী-পুরুষ চোখের চিকিৎসা নিতে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে একটি স্লিপ সংগ্রহ করেন। পরে সেখান থেকে বাছাই করে চোখের ছানি পড়া রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে চোখের নানা সমস্যার জন্য রোগীদেরকে বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা প্রদান করা হয়। তাদের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সালমানের এই চক্ষু ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে আসেন হালুয়াঘাট, ফুলপুর, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ, নালিতাবাড়ি, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বয়স্ক নারী ও পুরুষ। ময়মনসিংহের ডাক্তার কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তারগণ কর্তৃক পরিচালিত হয় এই চক্ষু সেবার কার্যক্রম। নারী ও পুরুষেরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা নিয়ে থাকে। কেউ ফিরে পায় চোখের জ্যোতি, কেউ পায় চশমা আর কেউ পায় ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা। রোগীর ধরন অনুযায়ী সকলের মাঝখান থেকে গুরুতর রোগীদেরকে বাছাই করে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চক্ষু হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ অপারেশনসহ যাবতীয় চিকিৎসা সুনিপুণ ভাবে করে থাকেন। আর সেই চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে থাকেন সালমান ওমর রুবেল। সরজমিন কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ছানি অপারেশন করা রোগী নালিতাবাড়ির যোগানিয়া গ্রামের ফাতেমা খাতুন (৫৫) বলেন, আমরা খুবই খুশি। আমার মা ছোট রাইখা মইরা গেছে। আমার কেউ নাই। কেউ আমারে খোঁজ নেয় না। কিন্তু এই সালমান আমার চক্ষু ভালো কইরা দিছে। হালুয়াঘাটের ইটাখলা গ্রামের সবিতা রানী পাল (৬০) বলেন, ভগবানের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, আমার দুইটা চোখ অপারেশন করে ভালো হয়েছে। ভগবান উনার মঙ্গল করুক। তেমনিভাবে কৃষ্টপুরের জ্যোৎস্না (৬০), বাউসার রাবেয়া (৬০), ফুলপুরের ছোট ছুনই গ্রামের নুরজাহান (৫৮)। এরা বলেন, তারা বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন। ভালো আছেন তারা। এদের মতো হাজার হাজার রোগী চক্ষু সেবা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সালমান ওমর রুবেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছোটকাল থেকেই স্বপ্ন মানুষের চক্ষু সেবা করার। আমার বাবারও স্বপ্ন ছিল তা। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো তা করে যাবো। তিনি বলেন, প্রতিটি ছানি অপারেশন করা রোগীর পেছনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া চক্ষু ক্যাম্পের সকল ব্যয়ভার তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানেই হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এই বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসাপত্র, ওষুধ ও অপারেশন ব্যবস্থা করতে এক সপ্তাহ আগে এলাকায় প্রচার করা হয়। অতঃপর নারী-পুরুষ চোখের চিকিৎসা নিতে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে একটি স্লিপ সংগ্রহ করেন। পরে সেখান থেকে বাছাই করে চোখের ছানি পড়া রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে চোখের নানা সমস্যার জন্য রোগীদেরকে বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা প্রদান করা হয়। তাদের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন তিনি।
No comments