ব্রিটেনে বাড়ছে মুসলিমবিদ্বেষ ও বৈষম্য, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
লন্ডনে
ঠাণ্ডার তীব্রতা উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ বর্ণবাদ ও উগ্রপন্থী
আন্দোলনের বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার বিক্ষোভকারীরা
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সার্কাসের কাছে একত্রিত হয়ে বর্ণবাদ, ইসলাম ও
ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তারা মিছিলসহকারে হোয়াইট হলের
দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এ সময়ে তাদের হাতের ব্যানারে লেখা ছিল- অভিবাসী ও
শরণার্থীদের এখানে স্বাগত ও বর্ণবাদী হামলা বন্ধ কর।-খবর আলজাজিরা। মিছিলে
অংশ নেয়া আব্রাহাম খাওদারি বলেন, যুক্তরাজ্যজুড়ে বর্ণবাদ রয়েছে, যা ব্যাপক
বৈচিত্র্যময় হওয়ার কারণে অনেক বেশি গোপনীয় অবস্থায় রয়েছে। যেটি অনেকটা
অবচেতনে মানুষের মধ্যে কাজ করছে। ১৮ বছর বয়সী এই সিরীয় তরুণ বলেন, কখনও
কখনও এটি অনেক নোংরাভাবে আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। জাতীয়তাবাদ এখন সবার
সামনে চলে এসেছে।
তারা এখন পার্লামেন্টে ও ক্ষমতায়। তার মতে, এতে বহু
মানুষের বর্ণবাদী মুখোশ খুলে গেছে। তারা প্রকাশ্যে অন্যদের হামলা করছে। এটি
ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, যাতে আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। মাসখানেক আগে
মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিটের সাবেক প্রধান মার্ক রাউলি
বলেছেন, উগ্র ডানপন্থীরা দেশের জন্য সুসংগঠিত ও মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা
দিচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে উগ্রডানপন্থীদের হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে
দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাদের
মোকাবেলায় সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারাই এখন ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের
দমন করা যাবে না। কারণ পুঁজিবাদ ও উগ্রডানপন্থা হাতে হাত ধরে হাঁটছে।
লেবার নেতা ক্লোড মোরেস বলেন, যুক্তরাজ্যে উগ্রপন্থীরা হুমকি হিসেবে দেখা
দিয়েছে। এখানে মুসলিমবিরোধী জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ইহুদি বিদ্বেষীদের সংখ্যাও
বাড়ছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বর্ণবাদ ও বৈষম্য রোধ দিবস উপলক্ষে শনিবার
যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।
No comments