‘একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম’
কী
রাগটাই না দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান! দলকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেছিলেন
নিজেদের ইনিংসের ১৯.২ ওভার পর। তখনো জিততে চার বলে ১২ রান দরকার
বাংলাদেশের। তখন মাহমুদুল্লাহ মাঠ ছেড়ে চলে আসলে বাংলাদেশ নিদাহাস ট্রফিতে
হতো ডিসকোয়ালিফাইড। ফাইনালে আর খেলার সুযোগই থাকতো না। তবে মেজাজ ঠাণ্ডা
করে পরের ৩ বলে মাহমুদুল্লাহ মিলিয়েছেন ১২ রানের সমীকরণ। শুক্রবার কলম্বোতে
তাই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ। আজ ভারতের বিপক্ষে
খেলবে শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে। কিন্তু ম্যাচের শেষে টাইগার অধিনায়ক সাকিব
নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ভবিষ্যতে আরো সতর্ক হবেন তিনি। ম্যাচ শেষে
পুরস্কার বিতরণীর সময় লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরার সঙ্গে যা ঘটেছে তার
জন্য ‘স্যরি’ বলেছেন। আর সাকিবের কণ্ঠেও ছিল দুঃখ প্রকাশের সুর। তিনি বলেন,
আসলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এর চেয়েও উত্তেজনা দেখা যায়। আমরা সবসময় সুস্থ
প্রতিযোগিতা করি মাঠে কিন্তু মাঠের বাইরে আমরা সবাই এক অপরের বন্ধু। এরপরই
নিজের মেজাজ ও আবেগের কথা টেনে সাকিব বলেন, একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়েছিলাম।
দলের নেতা হিসেবে আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে। পরের বার আমি আরো সতর্ক হবো।
এদিন ম্যাচের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা বাউন্সার
দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়টির পর লেগ আম্পায়ার নো বল ডেকেও পরে সিদ্ধান্ত বাতিল
করেন। এ নিয়ে মাঠের দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মাহমুদুল্লাহ।
মাঠে পানীয় নিয়ে আসা একজন বাংলাদেশি অতিরিক্ত খেলোয়াড়কেও ধাক্কা দেন
লঙ্কানরা। এই দুই ঘটনা মিলেই ক্ষেপে যান সাকিব। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে
দলকে হাত নাড়িয়ে নির্দেশ দেন মাঠ ছাড়ার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে তার হাতের ইশারা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেখুন চাইলে ব্যাপারটির ব্যাখ্যা দু’ভাবেই দেয়া যায়। আমি তাদের ফিরতে বলিনি। খেলতে বলছিলাম। এটার ব্যাখ্যা দুই দিকেই দেয়া যায়। কোন ব্যাখ্যাটা দেবেন তা নির্ভর করছে আপনি ঘটনাটিকে কিভাবে দেখছেন এর ওপর। এটা নিয়ে কথা না বলে আমার মতে ম্যাচ নিয়ে কথা বলাটাই যথার্থ। তবে আমি আশাবাদী ম্যাচে ঘটে যাওয়া ঘটনা দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড ও খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙন ধরাবে না। মাঠের ব্যাপার মাঠেই থাকা ভালো। সত্যি বলতে আমরা শুধু ক্রিকেটাররা না, দুই দেশের বোর্ডেরও এক অপরের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অনেক লঙ্কানই বিপিএলসহ আমাদের লীগগুলোয় খেলে। আমি নিশ্চিত দুই দলই ঘটনাগুলো সঠিকভাবে অনুধাবন করবে। মাঠের ঘটনা মাঠের বাইরের সম্পর্ককে নষ্ট করবে না।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে তার হাতের ইশারা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেখুন চাইলে ব্যাপারটির ব্যাখ্যা দু’ভাবেই দেয়া যায়। আমি তাদের ফিরতে বলিনি। খেলতে বলছিলাম। এটার ব্যাখ্যা দুই দিকেই দেয়া যায়। কোন ব্যাখ্যাটা দেবেন তা নির্ভর করছে আপনি ঘটনাটিকে কিভাবে দেখছেন এর ওপর। এটা নিয়ে কথা না বলে আমার মতে ম্যাচ নিয়ে কথা বলাটাই যথার্থ। তবে আমি আশাবাদী ম্যাচে ঘটে যাওয়া ঘটনা দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড ও খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙন ধরাবে না। মাঠের ব্যাপার মাঠেই থাকা ভালো। সত্যি বলতে আমরা শুধু ক্রিকেটাররা না, দুই দেশের বোর্ডেরও এক অপরের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অনেক লঙ্কানই বিপিএলসহ আমাদের লীগগুলোয় খেলে। আমি নিশ্চিত দুই দলই ঘটনাগুলো সঠিকভাবে অনুধাবন করবে। মাঠের ঘটনা মাঠের বাইরের সম্পর্ককে নষ্ট করবে না।
No comments