জেরুজালেম নিয়ে ক্ষোভ, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রক্রিয়ায় সৌদি আরব!
জেরুজালেমকে
কেন্দ্র করে মুসলিম বিশ্ব সহ পশ্চিমা অনেক দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে। কিন্তু সৌদি
আরব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েই
ক্ষান্তি দিয়েছে। তারা দৃশ্যত এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি শান্তি
প্রক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে সমর্থন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা আগে
থেকেই নেয়া হয়েছে এবং তা এখন সামনে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে
নভেম্বরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রিয়াদের বৈঠকে অবহিত
করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি আব্বাসের কাছে
এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ সব কথা বলেছেন আরবের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, বুধবার জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এমন ঘোষণা দেয়া হলে তাতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে বিরোধ আরো গভীর হবে। কিন্তু তিনি সেই ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন। তারপর সৌদি আরবের রয়েল কোর্ট থেকে একে ‘অন্যায্য ও দায়িত্বহীনের’ মতো সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, এর মাধ্যমে শান্তি প্রক্রিয়াকে অনেকটা পিছনে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ইসরাইল-ফিলিস্তিনের শান্তি স্থাপনের মার্কিন পরিকল্পনায় সৌদি আরব অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরবের ওই কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনের চার কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে ব্যাপক দর কষাকষি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার জামাই জারেড কুশনার ২০১৮ সালের প্রথম অর্ধাংশে একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাশা করছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নভেম্বরে রিয়াদে সাক্ষাত হয় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও মাহমুদ আব্বাসের। এ সময় মার্কিন প্রশাসনের শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানান সৌদি আরবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ফিলিস্তিনের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ওই বৈঠকে মাহমুদ আব্বাসকে প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ধৈর্য্য ধুরুন। আপনি ভাল খবর পাবেন। শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ট্রাম্পের অধীনে নাটকীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। এর একটি কারণ হতে পারে, এ দুটি দেশের নেতারা রিয়াদের ঘোর শত্রু বলে বিবেচিত ইরানকে মোকাবিলার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনারের (৩৬) পিতা ভালভাবেই জানেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সেই কুশনর। এর ফলেই প্রিন্স মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও তার নিজ দেশে ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন। এ বিষয়ে রয়টার্স সৌদি রয়েল কোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তারা কোনো মন্তব্য করে নি এ বিষয়ে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ এর জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য প্রিন্স মোহাম্মদকে বলেন নি কুশনার। এমন অবস্থায় আতঙ্কে আছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। অনেক আরব নেতা সন্দেহ করছেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমের দরজা এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জন্য সুযোগ সীমিত করে ইসরাইলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন ট্রাম্প। ফলে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের ফলে যেসব মানুষ শরণার্থী হয়েছেন তাদের আর স্বভূমে ফেরার কোনো অধিকার থাকলো না। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ক্রাউন প্রিন্স যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। আব্বাসকে বলা হয়েছে, প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে গাজায় একটি ‘ফিলিস্তিনি এনটিটি’ রখা হবে। পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক এলাকা এ এবং বি’তে তাদের সুবিধা থাকবে এবং এরিয়া সি’তে শতকরা ১০ ভাগ এলাকায় তাদের অধিকার থাকবে।
এ সব কথা বলেছেন আরবের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, বুধবার জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এমন ঘোষণা দেয়া হলে তাতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে বিরোধ আরো গভীর হবে। কিন্তু তিনি সেই ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন। তারপর সৌদি আরবের রয়েল কোর্ট থেকে একে ‘অন্যায্য ও দায়িত্বহীনের’ মতো সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, এর মাধ্যমে শান্তি প্রক্রিয়াকে অনেকটা পিছনে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ইসরাইল-ফিলিস্তিনের শান্তি স্থাপনের মার্কিন পরিকল্পনায় সৌদি আরব অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরবের ওই কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনের চার কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে ব্যাপক দর কষাকষি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার জামাই জারেড কুশনার ২০১৮ সালের প্রথম অর্ধাংশে একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাশা করছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নভেম্বরে রিয়াদে সাক্ষাত হয় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও মাহমুদ আব্বাসের। এ সময় মার্কিন প্রশাসনের শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানান সৌদি আরবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ফিলিস্তিনের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ওই বৈঠকে মাহমুদ আব্বাসকে প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ধৈর্য্য ধুরুন। আপনি ভাল খবর পাবেন। শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ট্রাম্পের অধীনে নাটকীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। এর একটি কারণ হতে পারে, এ দুটি দেশের নেতারা রিয়াদের ঘোর শত্রু বলে বিবেচিত ইরানকে মোকাবিলার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনারের (৩৬) পিতা ভালভাবেই জানেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সেই কুশনর। এর ফলেই প্রিন্স মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও তার নিজ দেশে ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন। এ বিষয়ে রয়টার্স সৌদি রয়েল কোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তারা কোনো মন্তব্য করে নি এ বিষয়ে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ এর জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য প্রিন্স মোহাম্মদকে বলেন নি কুশনার। এমন অবস্থায় আতঙ্কে আছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। অনেক আরব নেতা সন্দেহ করছেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমের দরজা এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জন্য সুযোগ সীমিত করে ইসরাইলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন ট্রাম্প। ফলে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের ফলে যেসব মানুষ শরণার্থী হয়েছেন তাদের আর স্বভূমে ফেরার কোনো অধিকার থাকলো না। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ক্রাউন প্রিন্স যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। আব্বাসকে বলা হয়েছে, প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে গাজায় একটি ‘ফিলিস্তিনি এনটিটি’ রখা হবে। পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক এলাকা এ এবং বি’তে তাদের সুবিধা থাকবে এবং এরিয়া সি’তে শতকরা ১০ ভাগ এলাকায় তাদের অধিকার থাকবে।
No comments