পরমাণু ক্লাবে ভারতকে চায় না চীন
নিউক্লিয়ার
সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতকে সদস্যপদ দেয়ার বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে
রয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার চীন বলেছে, ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন বা তেমন
কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি, যাতে ৪৮ সদস্যের এই অভিজাত নিউক্লিয়ার ক্লাবে
নতুন সদস্য নেয়ার ব্যাপারে সবাই একমত হবে। ৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার ডেপুটি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ নয়া দিল্লিতে বলেন, এনএসজিতে ভারতের
সদস্যপদের ব্যাপারে চীনের সাথে কথা বলছে মস্কো। এ মন্তব্যের ব্যাপারে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং
শুয়াং জানান, ‘এ বিষয়ে চীনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি’। জেং বলেন, ‘এ
বিষয়ে এনজিসির সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সরকারপর্যায়ে স্বচ্ছ ও মুক্ত আলোচনার
মাধ্যমে সবার ঐকমত্যের যে মূলনীতি, তাকে সমর্থন করে চীন।’ এনএসজির অন্যতম
প্রধান সদস্য চীন বরাবর দৃঢ়ভাবে ভারতকে সদস্যপদ দেয়ার বিরোধিতা করে আসছে।
তাদের যুক্তি হলোÑ নয়া দিল্লি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে
(নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি) স্বাক্ষর করেনি। চীনের বিরোধিতার
কারণেই ভারতের সদস্যপদ পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কারণ এনএসজি কাজ করে ঐকমত্যের
মূলনীতির ভিত্তিতে।
এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদের বিরুদ্ধে বারবার
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় চীনের সাথে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও বারবার
হোঁচট খেয়েছে। এই অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদের জন্য ভারত আবেদন করার পর,
চীনের সব সময়ের মিত্র পাকিস্তানও বেইজিংয়ের পরোক্ষ সমর্থনের কথা বিবেচনায়
রেখে সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী এ কিউ খানের
বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রযুক্তির মারাত্মক বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ থাকলেও
সদস্যপদের আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান। রিয়াবকভ বলেছেন, আন্তর্জাতিক
পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণকারী এই ফোরামে ভারতের সদস্যপদের পক্ষে রাশিয়ার অবস্থান
অবিচল রয়েছে এবং মস্কো বিষয়টি নিয়ে চীনের সাথে কথা বলছে। রিয়াবকভের
মন্তব্যের জবাবে জেং বলেন, এনএসজির সব সদস্যই নতুন সদস্যপদের আবেদন
পক্ষপাতহীনভাবে সমাধানের জন্য একটি ‘দুই-ধাপের’ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে একমত
হয়েছে, যেটা সব নন-এনপিটি দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে।
No comments