হুমকির মুখে ‘পাখির ভাষা’
তুরস্কের
উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণ সাগর উপকূলের পাহাড়ি গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ‘শিস’
বাজিয়ে দূর থেকে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। যা ‘পাখির ভাষা’ নামে পরিচিত।
জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বিশেষ ওই ভাষাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের
বিপন্ন অংশ ঘোষণা করে তা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বিবিসি।
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূলত তুরস্কের গিরেসুন প্রদেশের
জানাকজি জেলার প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা এ ভাষা ব্যবহার করেন। পাহাড়ি ওই
অঞ্চলে বাসিন্দারা অধিক দূরত্বে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে বিশেষ ধরনের
শিস (ভাষা) ব্যবহার করেন। বিশেষ ওই ভাষাটি অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের
তালিকায় স্থান পেয়েছে, যার জরুরি সুরক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক ব্যবস্থা ও
প্রযুক্তির উন্নয়ন বিশেষ করে মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তার কারণে ভাষাটি হুমকির
মুখে। ইউনেস্কোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের সংস্কৃতিমন্ত্রী
নুমান কুরতুলমুস। তিনি টুইটারে কৃষ্ণ সাগর উপকূলবর্তী ওইসব বাসিন্দাকে
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যারা ‘ভাষাটি বাঁচিয়ে রেখেছেন’। খবরে বলা হয়, এখনও
কুসকোই গ্রামের বাসিন্দারা শিস দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। অথচ
অর্ধশতাব্দী আগেও কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে যোগাযোগের বিশেষ এ পদ্ধতি ব্যাপকভাবে
ব্যবহৃত হতো। কুসকোই গ্রামের বাসিন্দারা এ ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে বেশকিছু
উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারা প্রতিবছর বার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন
করেন। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ভাষা শিক্ষাদান
কার্যক্রম চালু করেছে জেলা কর্তৃপক্ষ।
No comments