খাবারে বিশ্ব ভ্রমণ!
খাবার পাতে কখনো ভারতীয় বোম্বে পটেটো কিংবা চিকেন রেশমি কাবাব। কখনো বা আরবের মুত্তাবল কিংবা এশিয়ান থাই-চায়নিজের চিকেন িগ্রন কারি। চাইলেই পাওয়া যাবে জাপানিজ খাবার সুশি কিংবা সাশিমি। মিলবে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের খাবার মেডোলি িবফ। আবার উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার হাম বার্গার ও বাফেলো উইংস তো রয়েছেই। বাদ পড়েনি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় খাবারের পদগুলোও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ ধরনের নানা পদের খাবারের খোঁজ মিলবে দ্য এক্সচেঞ্জ রেস্তোরাঁয়। নগরের পাঁচ তারকা হোটেল র্যা ডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর তৃতীয় তলায় এই রেস্তোরাঁটির অবস্থান। রেস্তোরাঁয় এখন চলছে নতুন অফার—‘৯০ দিনে বিশ্ব ঘুরে আসুন’। রাতে বিশেষ ধরনের বুফে খাবারের এ আয়োজনে সপ্তাহের একেক দিন একেক দেশের খাবার খেতে পারবেন ভোজনরসিকেরা। মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। এতে প্রতি শনিবার রাতে মিলবে এশিয়ান খাবার। থাকবে অথেনটিক থাই ও চায়নিজ খাবারের প্রাধান্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিফ রেড কারি, চিকেন গ্রিন কারি, বিফ সিজলার, চিলি প্রন, িবফ রেংডাং ও চিকেন পিনাট কোকোনাট কারি িক্রম।
প্রতি রোববার রাতে পাওয়া যাবে ফার ইস্ট বুফে। এতে মূলত জাপানের বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্রাধান্য থাকবে। পাওয়া যাবে চিকেন শর্মা, সুশি, সাশিমি, মাটন উইথ বাটন মাশরুম, ড্রাই িবফ চিলিস উইথ ক্যাপসিকাম, িবফ সালামি, িশ্রম্পস ককটেল, স্পাইসি চিকেন, স্পাইসি ফিশসহ নানা স্বাদের জাপানিজ খাবার। প্রতি সোমবার রাতে ভোজনরসিকেরা খেতে পারবেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের (মেডিটেরানিয়ান) খাবার। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে ফিশ টেরিন, মেডোলি িবফ, সি ফুড পায়েলা, মেডিটেরানিয়ান সি ফুড, স্পাইসি ফিশ কিমাসহ নানা পদ। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার জনপ্রিয় খাবারের পদগুলো এ রেস্তোঁরায় পাওয়া যাবে প্রতি মঙ্গলবার রাতে। ব্যুফে খাবারের এ আয়োজনে ভোজনরসিকেরা চেখে দেখতে পারবেন চিজ বার্গার, হাম বার্গার, বাফেলো উইংস, হট ডগ, স্টেক উইথ বেয়ারনাইস সস, িবফ রিবস, কটেজ পাই, জ্যাকেট পটেটো ও স্পাইসি ফিশ কেক। প্রতি বুধবার রাতে ভারতীয় খাবারের আয়োজন থাকবে এই রেস্তোরাঁয়। এতে থাকবে িগ্রন হারবোরা, ল্যাম্ব মাদ্রাজ, বোম্বে পটেটো, জালালি জিংগা, শাবনাম কে মতি, বিফ কড়াই গোস্ত, হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি, মাটন রগানজোশ, ফিশ মায়া আচারি টিক্কাসহ নানা পদ। প্রতি বৃহস্পতিবার রাতের আয়োজনে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার খাবারের বৈচিত্র্য। এতে থাকবে ভেটকি মাছের টিক্কা, ডেভিলড িবফ, ব্ল্যাক চিকেন কারি, প্রন মালাই কারি, মাটন রেজালা, বিফ ভুনা, ডাল চচ্চড়িসহ নানা পদের বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান খাবারের সমাহার। প্রতি শুক্রবার রাতে খাবার ভর্তি প্লেটগুলো সাজানো থাকবে আরব দেশের বিভিন্ন পদের খাবার দিয়ে। আরবের নানা পদের খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুত্তাবল, বাবা গানুস, হামুস, চিকেন মাকবুস, সামাক হারা, ল্যাম্ব কোফতা, খেবসা রাইস ও অ্যারাবিক মিক্সড িগ্রল। খেতে খেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করার এই আয়োজনের পূর্ণতা দিতে প্রতিদিন রাতের খাবারের সময় এই রেস্তোরাঁয় বড় পর্দায় তুলে ধরা হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্কৃতি। একেক দিন একেক দেশের খাবারের আয়োজন থাকলেও প্রতিদিন রাতেই বিশেষ কিছু খাবারের পদ থাকবে যাতে সবাই বুফে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন। খেতে খেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করার এই আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে জনপ্রতি ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ গুনতে হবে ২ হাজার ৯৫০ টাকা। র্যা ডিসন ব্লুর সহকারী ব্যবস্থাপক (বিপণন ও যোগাযোগ) তাখরীন খান বলেন, ‘আমরা সবকিছুতেই নতুনত্ব আনতে চাই।
আর ভোজনরসিকেরা যাতে খাবারের মধ্যে নতুনত্ব পেতে পারেন সে কারণেই ৯০ দিনে খাবারের মাধ্যমে বিশ্ব ঘুরে আসার এই আয়োজন।’ র্যা ডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মূল রেস্তোরাঁ হলো ‘দ্য এক্সচেঞ্জ’। সুপরিসর জায়গায় নান্দনিক পরিবেশে একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি লোক খেতে পারে এ রেস্তোরাঁয়। রেস্তোরাঁ প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকালে রেস্তোরাঁয় ৯০টিরও বেশি পদের খাবার দিয়ে সকালের নাশতা সারতে পারবেন ভোজনরসিকেরা। প্রতিদিন দুপুরে চার পদের খাবার দিয়ে তৈরি সেট মেন্যু মিলবে এ রেস্তোরাঁয়। এই সেট মেন্যু দিয়ে জনপ্রতি দুপুরের খাবার খেতে গুনতে হবে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জ। এই রেস্তোরাঁয় রয়েছে ‘লাইভ স্টেশন’ ও ‘সালাদ স্টেশন’। এখানকার লাইভ স্টেশনে ভোজনরসিকদের পছন্দমতো তাঁর সামনেই িগ্রল চিকেন, গ্রিল স্ন্যাপার, িবফ স্টেইক, িগ্রল প্রন, কিং মাছ ও শর্মা তৈরি করে দেওয়া হয়। সালাদ স্টেশন থেকে নিজের পছন্দসই উপকরণ দিয়ে নিজের মনের মতো সালাদ তৈরি করে নেওয়া যায়। এই রেস্তোরাঁর খাবারের মান প্রসঙ্গে র্যা ডিসন ব্লুর শেফ ইনচার্জ ইরফান হোসাইন বলেন, ‘আমরা সব সময় খাবারের গুণগত মানের ওপর প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের সব খাবার হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়।’
No comments