পারকি সৈকতের সৌন্দর্য ম্লান করছে ময়লা আবর্জনা
আনোয়ারার পারকি সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা ময়লা–আবর্জনা এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিয়েছে। দিন দিন এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে তারা অস্বস্থি বোধ করেন। সৈকতের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ডাবের ছোবড়া, খড়ের স্তূপ, চিপসের খালি প্যাকেটসহ নানা ধরনের আবর্জনা জমে আছে। এসব কারণে সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকেরা সৈকতে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা করতে পারেন না। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত পারকি সৈকত পরিষ্কার রাখার ব্যাপারটি কারও নজরেই নেই। এ কারণে অনেকে বিরক্ত হয়ে ফিরে যান সৈকত থেকে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পারকি সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের লুসাই পার্ক পয়েন্টের বাইরে ডাবের ছোবড়ার স্তূপ। এর একটু পশ্চিম দিকের সৈকতে পড়ে আছে খড়ের গাদা ও চিপসের খালি প্যাকেট। এভাবে সৈকতের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পড়ে আছে ময়লা আর ময়লা। এসব ময়লা ডিঙিয়ে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
নগরের একটি পোশাক তৈরির কারখানার ব্যবস্থাপক মিলন কান্তি দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানার পাঁচ শ শ্রমিক নিয়ে এখানে পিকনিকে এসেছি। সব ভালো লাগলেও সৈকতজুড়ে পড়ে থাকা ময়লা দেখে খুব খারাপ লেগেছে।’ সৈকতে বেড়াতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত বছরের ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন হলেও এখনো সৈকতে পড়ে আছে খড়ের স্তূপ। এসব দেখার কেউ নেই।’ এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ প্রথম আলোকে বলেন, সৈকতে ময়লা পরিষ্কারের জন্য অন্তত চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। আমি সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির পরের সভায় বিষয়টি তুলে ধরব। ইতিমধ্যে উপজেলা সমন্বয়সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম পিপিএম প্রথম আলোকে বলেন, সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীসহ সবাইকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গৌতম বাড়ৈ বলেন, সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সবাইকে নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments