মসুলে বাধার মুখে ইরাকি বাহিনী
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণাধীন ইরাকের মসুল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দখলের লড়াইয়ে তীব্র বাধার মুখে পড়েছে দেশটির বিশেষ বাহিনী। এ বাহিনীর একজন কমান্ডার গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান। আইএসের কাছ থেকে মসুলের পশ্চিমাঞ্চল পুনর্দখল করার লক্ষ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বড় রকমের অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী। ইতিমধ্যে এই বাহিনীর সদস্যরা মসুল বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছেন। এখন তাঁরা শহরের দক্ষিণ দিক থেকে আইএস নিয়ন্ত্রিত বাকি এলাকাগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইরাকি বাহিনীর স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুলগনি আল-আসাদি এএফপিকে বলেন, এ মুহূর্তে মামুন ফ্ল্যাট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইরাকের সন্ত্রাস দমন সার্ভিসের সদস্যরা লড়ছেন। বাগদাদ সড়ক ও এর আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ পেতে এ স্থানের দখল নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। সন্ত্রাস দমন সার্ভিসের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার আল-আসাদি আরও বলেন,
‘মসুল দখলের লড়াইয়ে শক্ত ও সহিংস প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। কেননা, এখন যেখানে লড়াই হচ্ছে, সেই স্থান আমাদের মতে আইএসের প্রধান সরবরাহ লাইন।’ গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই পক্ষের লড়াইয়ে মামুন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক বাড়িঘর; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও যানবাহন। ২০১৪ সাল থেকে মসুল আইএসের দখলে। সে বছর থেকেই রাজধানী বাগদাদের উত্তর ও পশ্চিমের এক বিশাল অংশও দখল করে রেখেছে তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনীর বিমান হামলা ও অন্যান্য সহায়তায় ইরাকি বাহিনী এখানকার হারানো অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। ইরাকের মসুল শহরকে দেশটিতে আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। এ শহরের নিয়ন্ত্রণ লাভে গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে সমন্বিত অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী।
পালিয়েছে ২৬ হাজার লোক
দুই পক্ষের রক্তাক্ত লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে মসুল থেকে গত ১০ দিনে ২৬ হাজার ইরাকি পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী। গতকাল এক বিবৃতিতে জাসেম মোহাম্মদ আল-জাফ এ তথ্য জানান।
পালিয়েছে ২৬ হাজার লোক
দুই পক্ষের রক্তাক্ত লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে মসুল থেকে গত ১০ দিনে ২৬ হাজার ইরাকি পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী। গতকাল এক বিবৃতিতে জাসেম মোহাম্মদ আল-জাফ এ তথ্য জানান।
No comments