সুরের উষ্ণ সন্ধ্যায়
অতুলপ্রসাদ সেন, রুনা লায়লা, হৈমন্তী শুক্লা, লতা মঙ্গেশকর ও শ্রীকান্ত আচার্যের গান। চেনা সুরে ভাসালেন শিল্পীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠানে গাইলেন ১৩টি গান। প্রতিটি গানেই িমলনায়তনে মুগ্ধতার আবেশ ছড়ান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় আনন্দ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নিয়মিত আয়োজনের ১০২তম পর্ব। আসরে গান করেন তিনজন শিল্পী। গানের ফাঁকে আনন্দ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচালক লিটন মিত্রের সভাপতিত্বে মান্না দে স্মরণে শিল্পী রনি গুহের একক অডিও সিডির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাব্বিরুল আলম চৌধুরী। আসরের শুরুতেই ভাষাশহীদের স্মরণ। শিল্পীদের কণ্ঠে অতুলপ্রসাদ সেনের গান—‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’। গানের পর পর্দায় প্রদর্শিত হয় ‘১৯৫২ সালের ইতিহাস’ শিরোনামে একুশের তথ্যচিত্র। তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পর শিল্পী ইতু সিংহ সুর তুললেন প্রথমে—‘যখন থামবে কোলাহল’। রুনা লায়লার গাওয়া জনপ্রিয় এই গানে গলা মেলান দর্শকেরাও।
এরপর তিনি গেয়ে শোনান চলচ্চিত্রের গান—‘এ শুধু গানের দিন’। একে একে গাইলেন হৈমন্তী শুক্লার ‘আমি অবুঝের মতো একি করেছি’ ও লতা মঙ্গেশকরের ‘আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব’। ইতু সিংহের পর মঞ্চে আসেন মুর্শিদা কালাম। তিনি শুরু করেন সাবিনা ইয়াসমিনের ‘ইশারায় শিষ দিয়ে আমাকে ডেকো না’ গানটি দিয়ে। এই গানটি দর্শকদেরও নস্টালজিক করে তোলে। স্মৃতিকাতর দর্শকদের শিল্পী আরও শোনালেন ‘নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে’, শ্রীকান্ত আচার্যের ‘আমি খোলা জানালা, তুমি ওই দখিনা বাতাস’ ও চিত্রা সিংয়ের ‘আমাকে দেখছ কেমন’। সবশেষে মঞ্চে আসেন লুর্পণা মুৎসুদ্দি। তিনি গাইলেন চলচ্চিত্রের গান—‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’। এই গানটির মাধ্যমে আসর জমান তিনি। এরপর গেয়ে শোনান লতা মঙ্গেশকরের ‘প্রিয়া প্রিয়া বাজে’ ও চলচ্চিত্রের গান ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’। শেষ করেন ‘জানি না সে হৃদয়ে কখন এসেছে’। আয়োজনে তবলায় ছিলেন লিটন মিত্র, কি–বোর্ডে সৃজন রায়, অক্টোপ্যাডে জুয়েল দাশ, গিটারে সজল সরকার ও রাজীব ঘোষ শিল্পীদের সহযোগিতা করেন।
No comments