‘শাহি’ সফরে সৌদি বাদশাহ
বিশাল আয়োজনে এক মাসের এশিয়া সফরে বেরিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। আলাদা কার্গো বিমানে তাঁর সঙ্গে থাকছে দুটি বিলাসবহুল মার্সিডিস লিমুজিন গাড়ি ও দুটি বৈদ্যুতিক লিফটসহ সব মিলিয়ে ৪৬০ টন মালামাল। পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এয়ারফ্রাইট নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সফরে বাদশাহর সঙ্গে আছেন প্রায় এক হাজার লোক। এর মধ্যে অনেকে আছেন মালামাল বহনের জন্য। এ ছাড়া সফরসঙ্গী হয়েছেন ২৫ জন সৌদি যুবরাজ এবং ১০ জন মন্ত্রী। গতকাল ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান বাদশাহ সালমান। এর আগে তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এক মাসের সফরে ব্রুনেই, জাপান, চীন এবং মালদ্বীপেও যাবেন তিনি। মোট ২৭টি ফ্লাইটে করে গতকাল জাকার্তায় পৌঁছান বাদশাহ সালমান ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। জাকার্তা বিমানবন্দরে বাদশাহকে স্বাগত জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং জাকার্তার গভর্নর বাসুকি তাজাহাজা পুরনামা। বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে নামেননি বাদশাহ।
তাঁর নামার জন্য বিশেষভাবে তৈরি এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি ছিল। বিবিসি জানিয়েছে, ৬৩ টন মালামাল নামানো হয় জাকার্তায়। বাকি ৩৯৬ টন নিয়ে যাওয়া হয় বালি দ্বীপে। বালি দ্বীপে অবকাশ যাপন করবেন বাদশাহ। ৪৭ বছরের মধ্যে কোনো সৌদি বাদশাহ ইন্দোনেশিয়া সফর করছেন। ১৯৭০ সালে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ জার্কাতা সফরে গিয়েছিলেন। এত বিপুল মালামাল এবং সফরসঙ্গী নিয়ে ভ্রমণ করা সৌদি বাদশাহদের জন্য স্বাভাবিক বিষয় হলেও ইন্দোনেশিয়ার মানুষের কাছে এটি বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে। জাকার্তায় তিন দিন থাকবেন সালমান। আরও কয়েক দিন থাকবেন বালিতে। জাকার্তা সফরের সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশনে তাঁর বক্তব্য দেওয়ার কথা। সেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ পরিদর্শনেও যাবেন তিনি। হজে আরও বেশি লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য বাদশাহকে অনুরোধ করবে ইন্দোনেশিয়া। জাকার্তা থেকে বালি দ্বীপে গিয়ে সেখানে একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্রে কিছুদিন অবস্থান করবেন বাদশাহ। সেখানে তিনি ও তাঁর সঙ্গে যাওয়া ব্যক্তিরা থাকবেন পাঁচটি বিলাসবহুল হোটেলে।
No comments