পর্যটকদের চাঁদের কাছে নেবে স্পেসএক্স
দুই ব্যক্তি নিজ খরচে বেড়াতে যাবেন। এখানে-সেখানে নয়, একেবারে চাঁদের কাছে। এ জন্য ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে তাঁরা মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সকে বেছে নিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই এই ভ্রমণ সম্পন্ন হবে। স্পেসএক্স কর্তৃপক্ষ গত সোমবার বলেছে, গভীর মহাশূন্যের সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে এটাই হবে কোনো মানুষের প্রথম পর্যটন। ওই দুই পর্যটক ইতিমধ্যে তাঁদের ভ্রমণ খরচের একটি বড় অংশ জমা দিয়েছেন। চলতি বছরই তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে নাসার অ্যাপোলো অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো নভোচারীকে সেখানে পাঠায়নি। স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এলন মাস্ক বলেন, তাঁরা বেসরকারি উদ্যোগে দুই ব্যক্তিকে চাঁদে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আগামী বছরের শেষ দিকে ওই দুজন যাত্রা করবেন। এটা ৪৫ বছরের মধ্যে গভীর মহাশূন্যে কোনো মানুষের ফিরে যাওয়ার একটা সুযোগ। আর ওই দুই অভিযাত্রী তাঁদের যেকোনো পূর্বসূরির চেয়ে দ্রুত এবং সৌরজগতের অনেক বেশি গভীরে পৌঁছাতে পারবেন।
দুই পর্যটকের নাম অপ্রকাশিত রেখে মাস্ক বলেন, আরও অনেকে চন্দ্র ভ্রমণের জোরালো আগ্রহ জানিয়েছেন। স্পেসএক্স পর্যায়ক্রমে এ রকম আরও ভ্রমণ আয়োজন করতে চায়। প্রথম দুজনের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য যোগ্যতার পরীক্ষা শেষে তাঁদের সম্মতির ভিত্তিতে পরবর্তী তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। আলোচিত দুই পর্যটক ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রু ড্রাগনের একটি ক্যাপসুলে চড়ে যাবেন। চলতি বছরের শেষ দিকে এটি প্রথম মানববিহীন যাত্রার পরীক্ষা চালাবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মালপত্র পরিবহনের উপযোগী করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। পরে সেটির উন্নত সংস্করণ করে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যাপসুলটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন হেভি নামের রকেটের মাথায় যুক্ত থাকবে। এবারের গ্রীষ্মেই রকেটটির প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে। মাস্ক বলেন, স্যাটার্ন ফাইভ নামের রকেটের পর ফ্যালকন হেভিই হবে কক্ষপথগামী সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট।
No comments