রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। এ পরিস্থিতিতে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা। আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে ৬ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের পক্ষ থেকে সংস্থাটির এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের উপপ্রধান রডরিগো কুবেরো লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আইএমএফের পক্ষ থেকে শঙ্কা ব্যক্ত করে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাবসহ অর্থনীতি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের সাথে ১০০ কোটি ডলারের তিন বছর মেয়াদি চলমান ‘বর্ধিত ঋণসহায়তার’ (ইসিএফ) অর্থছাড়-পূর্ব পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তি পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছে। গতকাল ঢাকা ছাড়ার প্রাক্কালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে প্রতিনিধিদলটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করেন।
রডরিগো কুবেরো বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে চিত্র লক্ষ করা যায়, এতে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী এরই মধ্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে’ এমন মন্তব্য করে রডরিগো বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের পরিবহন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির জন্যও এটি একটি বড় বাধা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতিতে আরো বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘তবে মধ্য মেয়াদে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা দরকার। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা না থাকলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ শতাংশেরও অধিক হওয়া দরকার।’
চলমান হরতাল-অবরোধে অর্থনীতি তার ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের সাথে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়েছে, এটি এত দ্রুত নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’
‘চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফর কেমন লাগছে’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ঢাকা শহর ভালোই লাগছে। তবে ঢাকার বাইরে যাওয়া হয়নি।’
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির হার ও দারিদ্র্য হার হ্রাসের জন্য সরকারের প্রশংসা করে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, এর পরও বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সর্বনি¤œ। নতুন ভ্যাট আইন চালু হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে এবং ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও অভিযোগ কমে আসবে। একই সাথে কর প্রশাসন আধুনিকীকরণ ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে আইএমএফ।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে আইএমএফ দাম বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু বর্তমানে দাম কমলেও বাংলাদেশে দাম কমানো হচ্ছে নাÑ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে রডরিগো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় বিপিসি এখন লোকসানের পরিবর্তে মুনাফা করছে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে সরকার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তিনি বলেন, এর আগে বিপিসি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে। এই মুনাফা পুঞ্জীভূত লোকসান কমাতে সাহায্য করবে।
আইএমএফের পক্ষ থেকে শঙ্কা ব্যক্ত করে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাবসহ অর্থনীতি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের সাথে ১০০ কোটি ডলারের তিন বছর মেয়াদি চলমান ‘বর্ধিত ঋণসহায়তার’ (ইসিএফ) অর্থছাড়-পূর্ব পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তি পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছে। গতকাল ঢাকা ছাড়ার প্রাক্কালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে প্রতিনিধিদলটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করেন।
রডরিগো কুবেরো বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে চিত্র লক্ষ করা যায়, এতে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী এরই মধ্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে’ এমন মন্তব্য করে রডরিগো বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের পরিবহন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির জন্যও এটি একটি বড় বাধা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতিতে আরো বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘তবে মধ্য মেয়াদে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা দরকার। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা না থাকলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ শতাংশেরও অধিক হওয়া দরকার।’
চলমান হরতাল-অবরোধে অর্থনীতি তার ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের সাথে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়েছে, এটি এত দ্রুত নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’
‘চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফর কেমন লাগছে’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ঢাকা শহর ভালোই লাগছে। তবে ঢাকার বাইরে যাওয়া হয়নি।’
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির হার ও দারিদ্র্য হার হ্রাসের জন্য সরকারের প্রশংসা করে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, এর পরও বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সর্বনি¤œ। নতুন ভ্যাট আইন চালু হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে এবং ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও অভিযোগ কমে আসবে। একই সাথে কর প্রশাসন আধুনিকীকরণ ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে আইএমএফ।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে আইএমএফ দাম বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু বর্তমানে দাম কমলেও বাংলাদেশে দাম কমানো হচ্ছে নাÑ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে রডরিগো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় বিপিসি এখন লোকসানের পরিবর্তে মুনাফা করছে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে সরকার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তিনি বলেন, এর আগে বিপিসি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে। এই মুনাফা পুঞ্জীভূত লোকসান কমাতে সাহায্য করবে।
No comments