'বাবা হেজহগ কি কোনদিন বাড়ী ফিরবে?'
ফরাসি সাংবাদিক নিকোলাস হেনিন |
এ সপ্তাহেই ফ্রান্সে প্রকাশিত হচ্ছে সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া এক ফরাসি সাংবাদিকের লেখা শিশুদের বই।
লেখক নিকোলাস হেনিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, বন্দি অবস্থায় তিনি এবং আরেকজন ফরাসি সাংবাদিক একসঙ্গে এই বইটি লিখেছেন। নিছক একঘেয়েমি কাটানোর জন্য লেখা শুরু করলেও, মি. হেনিন বলছেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যবধান ঘোচানো এই বই এর একটি মূল উদ্দেশ্য। গভীর রাতে বইয়ের খসড়া লিখতেন মি. হেনিন। লেখার কাগজ ছিল না, ফেলে দেয়া চিজের মোড়কই ছিল ভরসা। দশমাসের বন্দীদশায় এভাবেই তিনি লিখে শেষ করেছেন 'উইল ড্যাডি হেজহগ এভার কাম হোম?' বাংলা করলে দাঁড়ায় 'বাবা হেজহগ কি কোনদিন বাড়ী ফিরবে?'
মূলত নিজের পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে উদ্দেশ্য করেই বইটি লিখেছেন তিনি। বইটি লিখতে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন বন্দীদশার আরেক সঙ্গী ব্রিটিশ সাহায্য-কর্মী ডেভিড হেইন্স।
আইএস জঙ্গিরা পরবর্তীতে হেইন্সকে শিরোচ্ছেদ করে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
হেনিন বিবিসিকে বলেন, 'আমি খেয়াল করে দেখেছি, এই জিহাদিদের বেশীরভাগই পশ্চিমা দেশ থেকে এসেছে। তারা আমাদের ভাষায় কথা বলে, আমরা একই সমাজে বেড়ে উঠেছি, একই ধরণের সিনেমা দেখেছি। এমনকি আমাদের বাচ্চাদের মত একই ধরণের ভিডিও গেম খেলেছে তারাও'।
তিনি আরও বলেন, 'সেখানকার অনেক জিহাদির বিশ্বাসই তেমন পোক্ত নয়। এমনকি অনেকেই জিহাদে যোগ দিতে সিরিয়ার আসার সিদ্ধান্তকে এখন ভুল মনে করে'।
সূত্র : বিবিসি।
লেখক নিকোলাস হেনিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, বন্দি অবস্থায় তিনি এবং আরেকজন ফরাসি সাংবাদিক একসঙ্গে এই বইটি লিখেছেন। নিছক একঘেয়েমি কাটানোর জন্য লেখা শুরু করলেও, মি. হেনিন বলছেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যবধান ঘোচানো এই বই এর একটি মূল উদ্দেশ্য। গভীর রাতে বইয়ের খসড়া লিখতেন মি. হেনিন। লেখার কাগজ ছিল না, ফেলে দেয়া চিজের মোড়কই ছিল ভরসা। দশমাসের বন্দীদশায় এভাবেই তিনি লিখে শেষ করেছেন 'উইল ড্যাডি হেজহগ এভার কাম হোম?' বাংলা করলে দাঁড়ায় 'বাবা হেজহগ কি কোনদিন বাড়ী ফিরবে?'
মূলত নিজের পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে উদ্দেশ্য করেই বইটি লিখেছেন তিনি। বইটি লিখতে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন বন্দীদশার আরেক সঙ্গী ব্রিটিশ সাহায্য-কর্মী ডেভিড হেইন্স।
আইএস জঙ্গিরা পরবর্তীতে হেইন্সকে শিরোচ্ছেদ করে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
হেনিন বিবিসিকে বলেন, 'আমি খেয়াল করে দেখেছি, এই জিহাদিদের বেশীরভাগই পশ্চিমা দেশ থেকে এসেছে। তারা আমাদের ভাষায় কথা বলে, আমরা একই সমাজে বেড়ে উঠেছি, একই ধরণের সিনেমা দেখেছি। এমনকি আমাদের বাচ্চাদের মত একই ধরণের ভিডিও গেম খেলেছে তারাও'।
তিনি আরও বলেন, 'সেখানকার অনেক জিহাদির বিশ্বাসই তেমন পোক্ত নয়। এমনকি অনেকেই জিহাদে যোগ দিতে সিরিয়ার আসার সিদ্ধান্তকে এখন ভুল মনে করে'।
সূত্র : বিবিসি।
No comments