স্বামী হুমায়ুন প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা পাচ্ছেন by রোজিনা ইসলাম
হলি
ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিন
হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও তাঁর স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে
প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।
আসামি হুমায়ুন উচ্চশিক্ষিত, তাঁর মা-বাবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নত পারিবারিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত—এসব বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত আবেদনে অনুমোদন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। হুমায়ুন সুলতান যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের ছেলে।
এদিকে গত সোমবার চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিন হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী হুমায়ুন সুলতানের জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষকে ১ এপ্রিলের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে শামারুখের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক জেসমিন আরা ও তাঁদের ছেলে হুমায়ুন সুলতানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হুমায়ুন সুলতান কারাগারে আছেন। আর খান টিপু ও তাঁর স্ত্রী আগাম জামিনে আছেন। শামারুখ ২০১৩ সালে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
হুমায়ুন সুলতানকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান প্রথম আলোকে জানান, প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে যে কারও আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়ে থাকে। তাঁর সামাজিক অবস্থা বিবেচনা ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় তাঁকে এই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন হাজতে আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সাবেক সাংসদ টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ বন্দী হিসেবে অন্তরীণ রয়েছেন। তিনি উন্নত পারিবারিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত থাকায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি কখনো কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না। তিনি উচ্চশিক্ষিত, নিয়মিত আয়কর দেন, মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত সমাজে প্রতিষ্ঠিত। উন্নত পারিবারিক জীবনে অভ্যস্ত বলে তাঁকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির হাজতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর দুবার আবেদন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে শামারুখের পরিবার। তাঁর বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। সরকার কীভাবে এ বিবেচনা করল! শুধু সাবেক সাংসদের সন্তান—এই বিবেচনা করে এই মর্যাদা দেওয়া হলে, তা অন্যায় হবে।’ তিনি বলেন, হুমায়ুনের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তাঁর এলএলবি সনদ ভুয়া। ব্যবসারও কোনো লাইসেন্স নেই।
শামারুখের বাবা জানান, প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো মতামত দেওয়া গেল না।
জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রথমত সামাজিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জীবনযাপনের অভ্যাস ও সেই অনুযায়ী উচ্চতর জীবনযাপন এবং দ্বিতীয়ত, কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হয়।
প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের আলাদা কক্ষ, বিছানা, টিভি, খাট, তোশক, মশারি, পত্রিকা প্রভৃতি সুবিধা দেওয়া হয়। খাবারও দেওয়া হয় উন্নতমানের।
আসামি হুমায়ুন উচ্চশিক্ষিত, তাঁর মা-বাবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নত পারিবারিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত—এসব বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত আবেদনে অনুমোদন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। হুমায়ুন সুলতান যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের ছেলে।
এদিকে গত সোমবার চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিন হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী হুমায়ুন সুলতানের জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষকে ১ এপ্রিলের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে শামারুখের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক জেসমিন আরা ও তাঁদের ছেলে হুমায়ুন সুলতানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হুমায়ুন সুলতান কারাগারে আছেন। আর খান টিপু ও তাঁর স্ত্রী আগাম জামিনে আছেন। শামারুখ ২০১৩ সালে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
হুমায়ুন সুলতানকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান প্রথম আলোকে জানান, প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে যে কারও আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়ে থাকে। তাঁর সামাজিক অবস্থা বিবেচনা ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় তাঁকে এই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন হাজতে আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সাবেক সাংসদ টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ বন্দী হিসেবে অন্তরীণ রয়েছেন। তিনি উন্নত পারিবারিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত থাকায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি কখনো কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না। তিনি উচ্চশিক্ষিত, নিয়মিত আয়কর দেন, মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত সমাজে প্রতিষ্ঠিত। উন্নত পারিবারিক জীবনে অভ্যস্ত বলে তাঁকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির হাজতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর দুবার আবেদন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে শামারুখের পরিবার। তাঁর বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। সরকার কীভাবে এ বিবেচনা করল! শুধু সাবেক সাংসদের সন্তান—এই বিবেচনা করে এই মর্যাদা দেওয়া হলে, তা অন্যায় হবে।’ তিনি বলেন, হুমায়ুনের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তাঁর এলএলবি সনদ ভুয়া। ব্যবসারও কোনো লাইসেন্স নেই।
শামারুখের বাবা জানান, প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো মতামত দেওয়া গেল না।
জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রথমত সামাজিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জীবনযাপনের অভ্যাস ও সেই অনুযায়ী উচ্চতর জীবনযাপন এবং দ্বিতীয়ত, কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হয়।
প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের আলাদা কক্ষ, বিছানা, টিভি, খাট, তোশক, মশারি, পত্রিকা প্রভৃতি সুবিধা দেওয়া হয়। খাবারও দেওয়া হয় উন্নতমানের।
No comments