‘এরা বড় দলকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে মাঠে নামে’ -বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছে ভারত?
দীপ
দাশগুপ্ত, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার। পত্রপত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয়ে ছিলেন ‘মনোযোগী সাক্ষী’।
অ্যাডিলেডের ম্যাচটি দেখে তাঁর অভিমত, কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে সামনে
পেলে ভারতকে অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখা
নিজের কলামে দীপ লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে সামনে পড়লে যতটা
সিরিয়াসভাবে নিতে হতো ধোনিদের, বাংলাদেশকেও ততটাই নিতে হবে। বরং একটু বেশিই
নিতে হবে। ’
বাংলাদেশের প্রতি ‘সিরিয়াসনেসে’র ব্যাপারটি কেন বেশি থাকতে হবে, সে ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন দীপ, ‘এরা আর পাঁচটা দলের মতো হবে না। এরা লড়বে। পাল্টা দেবে। বড় দলকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়তে চাইবে। ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলকে দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলেন দীপ দাশগুপ্ত। তাঁর মন নাকি বলেছিল, আজ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, ‘দেখছিলাম, মাশরাফি-সাকিবরা আশ্চর্য রকম ফুরফুরে। নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা চালাচ্ছে। ইয়ার্কি মারছে। অদ্ভুত মেজাজে টিমটা। দেখে কে বলবে, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ওরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে! সাধারণ গ্রুপের ম্যাচ যেটা নয়। গুরুত্ব ধরলে আদতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। যেখানে হেরে যাওয়া মানে ব্যাগপত্র গুছিয়ে দেশের ফ্লাইট ধরা। এমন একটা ম্যাচে বড় টিম ও রকম মেজাজে থাকতে পারে, তাই বলে বাংলাদেশ! ’
বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল হলে সেটা ভারতের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, নিজের কলামে সেটাও উল্লেখ করেছেন দীপ, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাটা সাকিবদের কাছে বিশাল কৃতিত্ব, ধোনি-কোহলিদের কাছে নয়। ওদের কাছে ব্যাপারটা প্রত্যাশিত। বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেও যায়, তা হলে ওদের দেশে বিক্ষোভ হবে না। বরং ক্রিকেটাররা পিঠ চাপড়ানি পাবে এত দূর আসার জন্য। উল্টোটা হলে কিন্তু ধোনিদের কপালে দুঃখ থাকবে। ’
বাংলাদেশ দল সম্পর্কে দীপ দাশগুপ্তের পর্ববেক্ষণ মুগ্ধতা জাগানিয়া। তিনি বলেছেন, এই দলটা এখন আর একটা-দুটো খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল কোনো দল নয়, ‘বাংলাদেশের এই টিমটা একটা বা দুটো স্টারের ওপর দাঁড়িয়ে নেই। এই টিমে একটা সাকিব আল হাসানের ততটাই গুরুত্ব যতটা সৌম্য সরকারের। কারণ এটা টিম বাংলাদেশ। এক-আধজনকে ঘিরে ঘুরপাক খাওয়া টিম নয়। যেটা ভারতের সবচেয়ে বড় কাঁটা হতে পারে। ’
কলামের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দীপ দাশগুপ্ত, ‘মাশরফির হাঁটুর অবস্থা বেশ খারাপ। তা নিয়েই সোমবার পাওয়ার প্লে-তে বল করল। ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি আটকাল। টিমকে বোঝাল, আমি জেতার জন্য জীবন দিয়ে দেব। বাকি ১০ জন তো এ সব দেখে তেতে যাবে। ’
দীপ আরও লিখেছেন, আবেগ, আগুন আর আত্মবিশ্বাস, এই তিনটে ব্যাপার মাশরাফিদের সম্পদ। এরা যেকোনো টিমকে চমকে দিতে পারে। এরা বিশ্বাস করে, হারার আগে হার বলে কিছু হয় না। এদের ক্যাপ্টেন টিমের কাছে নিজেকে তুলে আনে। ভারতের বিরুদ্ধে পড়লে যারা আরও জেদ নিয়ে নামবে। চাইবে, এমন কিছু করে দিতে যাতে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ কোনো দিন বাংলাদেশকে ভুলতে না পারে! ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দীপ মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন বাংলাদেশের লড়িয়ে মনোভাব। তাঁকে অবাক করেছে কীভাবে একশোর মধ্যে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলটা ঘুরে দাঁড়াল। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং-সবই উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। রুবেল হোসেন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘ছেলেটা ঘণ্টায় এ দিন ১৪৫ কিমি. তুলল! তার সঙ্গে রিভার্স সুইং! স্টুয়ার্ট ব্রড কীভাবে বোল্ড হলো দেখেছেন? ১০ বলে ১৬ চাই, দুটো উইকেট তুলতে হবে ওই অবস্থায় ও রকম গতিতে রিভার্স করিয়ে দুটো উইকেট তুলে নেওয়া বোধ হয় একটু কঠিন কাজই!’
বাংলাদেশের প্রতি ‘সিরিয়াসনেসে’র ব্যাপারটি কেন বেশি থাকতে হবে, সে ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন দীপ, ‘এরা আর পাঁচটা দলের মতো হবে না। এরা লড়বে। পাল্টা দেবে। বড় দলকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়তে চাইবে। ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলকে দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলেন দীপ দাশগুপ্ত। তাঁর মন নাকি বলেছিল, আজ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, ‘দেখছিলাম, মাশরাফি-সাকিবরা আশ্চর্য রকম ফুরফুরে। নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা চালাচ্ছে। ইয়ার্কি মারছে। অদ্ভুত মেজাজে টিমটা। দেখে কে বলবে, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ওরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে! সাধারণ গ্রুপের ম্যাচ যেটা নয়। গুরুত্ব ধরলে আদতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। যেখানে হেরে যাওয়া মানে ব্যাগপত্র গুছিয়ে দেশের ফ্লাইট ধরা। এমন একটা ম্যাচে বড় টিম ও রকম মেজাজে থাকতে পারে, তাই বলে বাংলাদেশ! ’
বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল হলে সেটা ভারতের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, নিজের কলামে সেটাও উল্লেখ করেছেন দীপ, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাটা সাকিবদের কাছে বিশাল কৃতিত্ব, ধোনি-কোহলিদের কাছে নয়। ওদের কাছে ব্যাপারটা প্রত্যাশিত। বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেও যায়, তা হলে ওদের দেশে বিক্ষোভ হবে না। বরং ক্রিকেটাররা পিঠ চাপড়ানি পাবে এত দূর আসার জন্য। উল্টোটা হলে কিন্তু ধোনিদের কপালে দুঃখ থাকবে। ’
বাংলাদেশ দল সম্পর্কে দীপ দাশগুপ্তের পর্ববেক্ষণ মুগ্ধতা জাগানিয়া। তিনি বলেছেন, এই দলটা এখন আর একটা-দুটো খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল কোনো দল নয়, ‘বাংলাদেশের এই টিমটা একটা বা দুটো স্টারের ওপর দাঁড়িয়ে নেই। এই টিমে একটা সাকিব আল হাসানের ততটাই গুরুত্ব যতটা সৌম্য সরকারের। কারণ এটা টিম বাংলাদেশ। এক-আধজনকে ঘিরে ঘুরপাক খাওয়া টিম নয়। যেটা ভারতের সবচেয়ে বড় কাঁটা হতে পারে। ’
কলামের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দীপ দাশগুপ্ত, ‘মাশরফির হাঁটুর অবস্থা বেশ খারাপ। তা নিয়েই সোমবার পাওয়ার প্লে-তে বল করল। ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি আটকাল। টিমকে বোঝাল, আমি জেতার জন্য জীবন দিয়ে দেব। বাকি ১০ জন তো এ সব দেখে তেতে যাবে। ’
দীপ আরও লিখেছেন, আবেগ, আগুন আর আত্মবিশ্বাস, এই তিনটে ব্যাপার মাশরাফিদের সম্পদ। এরা যেকোনো টিমকে চমকে দিতে পারে। এরা বিশ্বাস করে, হারার আগে হার বলে কিছু হয় না। এদের ক্যাপ্টেন টিমের কাছে নিজেকে তুলে আনে। ভারতের বিরুদ্ধে পড়লে যারা আরও জেদ নিয়ে নামবে। চাইবে, এমন কিছু করে দিতে যাতে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ কোনো দিন বাংলাদেশকে ভুলতে না পারে! ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দীপ মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন বাংলাদেশের লড়িয়ে মনোভাব। তাঁকে অবাক করেছে কীভাবে একশোর মধ্যে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলটা ঘুরে দাঁড়াল। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং-সবই উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। রুবেল হোসেন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘ছেলেটা ঘণ্টায় এ দিন ১৪৫ কিমি. তুলল! তার সঙ্গে রিভার্স সুইং! স্টুয়ার্ট ব্রড কীভাবে বোল্ড হলো দেখেছেন? ১০ বলে ১৬ চাই, দুটো উইকেট তুলতে হবে ওই অবস্থায় ও রকম গতিতে রিভার্স করিয়ে দুটো উইকেট তুলে নেওয়া বোধ হয় একটু কঠিন কাজই!’
বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছে ভারত?
কোয়ার্টার
ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে চাইতেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? উত্তরটা
হয়তো ইংল্যান্ড! অবাক হচ্ছেন? হারতে হারতে তলানিতে ঠেকা ইংলিশদের এ ভঙ্গুর
আত্মবিশ্বাসের সুযোগ যেকোনো অধিনায়কই নিতে চাইবেন। ধোনি তার ব্যতিক্রম
নন। তবে ভারত অধিনায়ক কী চাইছেন, না জানা গেলেও সুনীল গাভাস্কার তো বলেই
দিলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ইংল্যান্ডই হতো তাঁদের সহজ প্রতিপক্ষ!
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ? |
অ্যাডিলেডে
ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে
ইংল্যান্ডই ভারতের জন্য সহজ প্রতিপক্ষ হতো।’ ইতিহাস, ঐতিহ্য, ঐশ্বর্য
থাকলেও ক্রিকেট-ফুটবলে ইংলিশদের অর্জন সামান্যই। গাভাস্কার তাই ইংল্যান্ডকে
দিলেন একটা মোক্ষম খোঁচা, ‘ক্রিকেট, ফুটবল দুটোতেই ইংল্যান্ড একটা
‘‘ওভাররেটেড’’ দল।’
আগেও গাভাস্কারের প্রশংসা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এ দফাও পেলেন, ‘বাংলাদেশের এ সাফল্যের অন্যতম কারিগর মুশফিকুর রহিমের ধারাবাহিকতা। অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত তার অবিশ্বাস্য উন্নতি। মূলত তার সহযোগিতায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে শতক।’ বাংলাদেশ সমর্থকদের বরাবরই পছন্দ করেন গাভাস্কার। কদিন আগেও প্রশংসা-বন্যায় ভাসিয়েছিলেন বাংলাদেশি সমর্থকদের। এবারও তা-ই, ‘বাংলাদেশি সমর্থকেরা অসাধারণ। উপমহাদেশের সমর্থকদের আলাদা একটা ধরন আছে। তারা খেলায় উত্তেজনা নিয়ে আসে। বহুদিন ধরে বাংলাদেশি সমর্থকেরা সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করছে। চূড়ান্তভাবে এখন দলটা এগিয়েছে।’
আট বছর আগে, ‘ভারতকে ধরে দিবানি’ মন্ত্রে পোর্ট অব স্পেনে গর্জে উঠেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেদিন ‘নড়াইল এক্সপ্রেসে’র সামনে রীতিমতো টালমাটাল ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৯.৩ ওভারে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। এ বিশ্বকাপে শেষ আটের যুদ্ধে আবারও বাংলাদেশ-ভারত লড়াই হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ২০০৭ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে মাশরাফির দল?
মানসিকভাবে দারুণ চাঙা বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য এখনই ভারতকে নিয়ে ভাবতে চাইছেন না। গতকাল ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টসকে বললেন, ‘আমি কেবল একটি স্মৃতিই মনে করতে পারি, ওই ম্যাচে ‘‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’’ হয়েছিলাম। সেটাও অনেক আগের কথা, প্রায় আট বছর তো হবেই। মনে হয় না, ওটা এখন তেমন কোনো সাহায্য করবে। তবে নির্দিষ্ট দিনে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, ভিন্ন কিছুই হবে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ রয়েছে। এ ম্যাচে আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেন ভারতের বিপক্ষে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারি।’ সূএ: এনডিটিভি
আগেও গাভাস্কারের প্রশংসা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এ দফাও পেলেন, ‘বাংলাদেশের এ সাফল্যের অন্যতম কারিগর মুশফিকুর রহিমের ধারাবাহিকতা। অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত তার অবিশ্বাস্য উন্নতি। মূলত তার সহযোগিতায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে শতক।’ বাংলাদেশ সমর্থকদের বরাবরই পছন্দ করেন গাভাস্কার। কদিন আগেও প্রশংসা-বন্যায় ভাসিয়েছিলেন বাংলাদেশি সমর্থকদের। এবারও তা-ই, ‘বাংলাদেশি সমর্থকেরা অসাধারণ। উপমহাদেশের সমর্থকদের আলাদা একটা ধরন আছে। তারা খেলায় উত্তেজনা নিয়ে আসে। বহুদিন ধরে বাংলাদেশি সমর্থকেরা সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করছে। চূড়ান্তভাবে এখন দলটা এগিয়েছে।’
আট বছর আগে, ‘ভারতকে ধরে দিবানি’ মন্ত্রে পোর্ট অব স্পেনে গর্জে উঠেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেদিন ‘নড়াইল এক্সপ্রেসে’র সামনে রীতিমতো টালমাটাল ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৯.৩ ওভারে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। এ বিশ্বকাপে শেষ আটের যুদ্ধে আবারও বাংলাদেশ-ভারত লড়াই হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ২০০৭ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে মাশরাফির দল?
মানসিকভাবে দারুণ চাঙা বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য এখনই ভারতকে নিয়ে ভাবতে চাইছেন না। গতকাল ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টসকে বললেন, ‘আমি কেবল একটি স্মৃতিই মনে করতে পারি, ওই ম্যাচে ‘‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’’ হয়েছিলাম। সেটাও অনেক আগের কথা, প্রায় আট বছর তো হবেই। মনে হয় না, ওটা এখন তেমন কোনো সাহায্য করবে। তবে নির্দিষ্ট দিনে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, ভিন্ন কিছুই হবে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ রয়েছে। এ ম্যাচে আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেন ভারতের বিপক্ষে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারি।’ সূএ: এনডিটিভি
No comments