‘বাংলাদেশে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করে যুক্তরাজ্য’
বাংলাদেশের
সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততাকে অব্যাহতভাবে উৎসাহিত করে যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে লর্ড অ্যাভাবুরির এক
প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ব্যারোনেস অ্যানিলে। তিনি বলেন, দেশব্যাপী
সহিংসতা ও উত্তেজনার অবসানে সব দলকে একে অন্যের ওপর আস্থা রাখা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, ব্যারোনেস অ্যানিলের পুরো নাম জয়সে অ্যানি
অ্যানিলে। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টারিয়ান। বর্তমানে ফরেন
অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে হাউস
অব লর্ডসে সরকার দলীয় চিফ হুইপ। তার কাছে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করেন
ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ
অফিসের গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা লর্ড অ্যাভাবুরি। গত
২৩শে ফেব্রুয়ারি তিনি জানতে চান, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে
যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি প্রস্তাব দেবে কিনা, যাতে বলা হবে
বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন মধ্যস্থতাকারী
নিয়োগ দিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে আমন্ত্রণ জানাতে বলা হবে কিনা,
যাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একটি সমঝোতায় পৌঁছতে পারে। তাদের রাজনৈতিক
মতপার্থক্য দূর হয়। ব্যারোনেস অ্যানিলে তার প্রশ্নের জবাব দেন ৯ই মার্চ।
এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দল বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন
চিঠি লিখেছেন। এ খবর পেয়েছি আমরা। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এখানে
উল্লেখ্য, লর্ড অ্যাভাবুরি হলেন লিবারেল ডেমোক্রেট দলের পার্লামেন্টারিয়ান।
তিনি লিবারেল দলের চিফ হুইপও। অন্যদিকে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক
ও ব্লগার অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয় পার্লামেন্টে। এ বিষয়ে ৯ই
মার্চ প্রশ্ন করেন লিভারপুরের লর্ড অ্যাল্টন। তিনি জানতে চান, ১৯৪৮ সালের
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার ১৮ অনুচ্ছেদের অধীনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতার
বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বৃটিশ সরকার তার অবস্থান জানিয়েছে কিনা?
এদিনই তার এ প্রশ্নের উত্তর দেন ব্যারোনেস অ্যানিলে। তিনি বলেন, আমরা
মানবাধিকারের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিই। বিশ্বাসযোগ্য কোন
অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা তা নিয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করে আসছি।
আমরা আহ্বান জানাই সকল ঘটনা যেন দ্রুত, স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে
তদন্ত করা হয়। ২০১৩’র ২৯শে এপ্রিল, মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের ২য়
ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা দলগুলোকে সুরক্ষা করতে আরও
বেশি কিছু করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য। মার্কিন
নিবাসী অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার গুরুতর
আহত হওয়ার ঘটনায় বৃটেনের তরফ থেকে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকায়
নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার। এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে যেসব
সহিংসতা হয়েছে তা নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
No comments