কাদের মুখে শুনি গণতন্ত্রের সবক by সৈয়দা পাপিয়া
সৈয়দা পাপিয়া |
গত
১৬ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে সরকারের গৃহপালিত তথাকথিত বিরোধী দলের নেত্রী
রওশন এরশাদ বেগম খালেদা জিয়াকে ভোটে আশার ‘সবক’ দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন, যা
পরদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা হয়েছেÑ এই ‘সবক’ পড়ে আমার ‘সর্বনাশা
বর্ষাকাল, শেয়ালে চাটে বাঘের গাল’ গ্রাম্য প্রবাদটি মনে পড়ে যাচ্ছে। এই
প্রবাদের অর্থ হচ্ছেÑ বর্ষাকালে সব কিছু ডুবে যাওয়ার কারণে দিনের পর দিন
বাঘ আহার না পাওয়ায় দুর্বল হয়ে ডাঙায় এসে গা এলান দিয়ে অর্ধশোয়া অবস্থায়
ছিল, এই সুযোগে চালাক শিয়াল এসে বাঘের গাল চাটা শুরু করে দিয়েছে। ধূর্ত
শিয়াল জানে, বাঘের গায়ে এখন শক্তি নেই যে শিয়ালের ক্ষতি করতে পারবে। রওশন
এরশাদকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের এমন বেহাল দশা
করেছে যে, এখন তাদের মুখে গণতন্ত্র, দগ্ধ লাশ, পেট্রলবোমার কথা জাতিকে
শুনতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন
এবং হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। হাতি যখন পাঁকে পড়ে, চামচিকাও
লাথি মারে। বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র’ এখন পাঁকে পড়ে গেছে, যার কারণে
স্বৈরাচারের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সশস্ত্র
বিপ্লবের হোতাদের মুখেও মানুষ সন্ত্রাস নিয়ে কথা শুনছে প্রতিনিয়ত। জাসদের
এক নেত্রী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গুলশান রাজউক পার্কে বেগম খালেদা জিয়ার
কার্যালয় উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত সরকারের কর্তাব্যক্তিরা
বেগম খালেদা জিয়াকে যা খুশি তাই বলছেন, বিএনপির এই ধৈর্যধারণ করাই হচ্ছে
গণতন্ত্র। প্রতিটি কথার উত্তর দিতে গেলে সঙ্ঘাত, সংঘর্ষ, তিক্ততার ক্ষেত্র
আরো ব্যাপকতর হবেÑ এই ভেবেই বিএনপি নোংরা কথার উত্তর দিতে নারাজ।
যা হোক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে যাবো না, যে বিষয়টি বলছিলাম রওশন এরশাদ খালেদা জিয়াকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন; তার উত্তর হলো বর্তমান সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে, তাহলেই তো বিএনপি নির্বাচনে যাবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই তো বিএনপির আন্দোলন। বিএনপি তো নির্বাচনে যেতে চায়, তবে একা একা নয়; সব দলকে নিয়ে নির্দলীয় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে, তবে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে। রওশন এরশাদ আরো বলেছেন, হরতাল-অবরোধ দেশের ক্ষতি করে। মানুষ মেরে আন্দোলন নয়।
রওশন এরশাদকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গিয়ে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মানুষকে ৯ বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। মনে আছে, চট্টগ্রামে আপনাদের শাসনামলে মিছিলের ওপর গুলি করে মানুষ মেরে তার ওপর ট্রাক চালিয়েছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার চোখের সামনে বিডিআরের গুলিতে শাহজাহান সিরাজের মৃত্যু দেখেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে জয়নাল, দেলোয়ার, বসুনিয়া, দিপালী সাহা, জেহাদ, নূর হোসেন, ডা: মিলনের রক্তে রঞ্জিত পথ অতিক্রম করেই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে কতজন পা হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে; রিজভী আহমদের মতো পঙ্গুত্বের গ্লানি নিয়ে জীবনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে যে সরকারের পক্ষ হয়ে আপনি আস্ফালন করছেন এবং যে নির্বাচনে আপনি বিরোধী দলের দাবিদার, সেই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। নির্বাচনের আগের দিন, অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ১২৩ জনকে হত্যা করে ৫ জানুয়ারি তথাকথিত প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্বাচনের দিনই ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
যে সরকারের সাথে আপনি বিরোধী দল, সেই সরকার ১৯৯৬ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৭৩ দিন হরতাল ডেকেছিল। হরতালের নামে সচিবালয়ের সচিবদের দিগম্বর করেছিল। প্রজাতন্ত্রের নিয়ম ভঙ্গ করে জনতার মঞ্চ তৈরি করে কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছিল, যা ফৌজদারি অপরাধ। তারপর আবার ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৩০ দিন হরতালসহ ১২৮ জনকে হত্যা করে গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করে অগণতান্ত্রিক পথে অসাংবিধানিক সরকারকে আসার পথ প্রশস্ত করে, সব কার্যক্রমকে বৈধতা দেয়ার শর্তে সমঝোতার ভিত্তিতে ষড়যন্ত্র করে ২০০৮ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে। ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বর্গির মতো ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।
দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ যে নির্বাচন বর্জন করেছে, সেই নির্বাচন তো কোনো নির্বাচনই নয়। তারপর সরকারি দল এবং তথাকথিত বিরোধী দল হিসেবে আপনাদের মুখে গণতন্ত্রের ‘সবক’ শুনতে হয়। আবার আপনাদের আরেক শরিক দল, যারা একসময় সশস্ত্র বিপ্লবের কথা বলেছিলেন, তারাও এখন প্রতিনিয়ত জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন। তাদের অতীত ইতিহাস মানুষ জানে। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ভোটে জেতার কোনো ইতিহাস নেই, তারা তাদের অবস্থা জানে, তাই এই নামমাত্র নির্বাচন ছাড়া তাদের জীবদ্দশায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে কোনো দিন জয় লাভ করা সম্ভব নয়, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। দমন, পীড়ন, অত্যাচার, নির্যাতন, ক্রসফায়ার, গুম, জেল দিয়ে এই আগুন নেভানো সম্ভব নয়। ঢাকা গোটা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ঢাকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র আর মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন সিটি করপোরেশনের কমিশনার হিসেবে। সেখানে আপনার দলের স্থান এবং অবস্থান কোথায়, সেটা ভেবে দেখেছেন একবার। তাই বিএনপিকে আপনিসহ আপনার মহাজোটের শরিক দলেরা যে ‘সবক’ দিচ্ছে, এই সবক দেয়ার আগে নিজেদের জনমত কতটুকু আছে, কার ওপর দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলছেন, সেটা একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন কি?
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার ওপরই জনগণ ভরসা করেছে, করবে, এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল। জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, নিঃশর্ত সমর্থনই বিএনপির একমাত্র ভরসা। জনমত হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সব দলের অংশগ্রহণে যত তাড়াতাড়ি দেবেন, তত তাড়াতাড়ি বোঝা যাবে কার অবস্থান কোথায়। এ জন্য বলি, অন্যকে সবক দেয়ার অগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
যা হোক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে যাবো না, যে বিষয়টি বলছিলাম রওশন এরশাদ খালেদা জিয়াকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন; তার উত্তর হলো বর্তমান সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে, তাহলেই তো বিএনপি নির্বাচনে যাবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই তো বিএনপির আন্দোলন। বিএনপি তো নির্বাচনে যেতে চায়, তবে একা একা নয়; সব দলকে নিয়ে নির্দলীয় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে, তবে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে। রওশন এরশাদ আরো বলেছেন, হরতাল-অবরোধ দেশের ক্ষতি করে। মানুষ মেরে আন্দোলন নয়।
রওশন এরশাদকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গিয়ে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মানুষকে ৯ বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। মনে আছে, চট্টগ্রামে আপনাদের শাসনামলে মিছিলের ওপর গুলি করে মানুষ মেরে তার ওপর ট্রাক চালিয়েছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার চোখের সামনে বিডিআরের গুলিতে শাহজাহান সিরাজের মৃত্যু দেখেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে জয়নাল, দেলোয়ার, বসুনিয়া, দিপালী সাহা, জেহাদ, নূর হোসেন, ডা: মিলনের রক্তে রঞ্জিত পথ অতিক্রম করেই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে কতজন পা হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে; রিজভী আহমদের মতো পঙ্গুত্বের গ্লানি নিয়ে জীবনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে যে সরকারের পক্ষ হয়ে আপনি আস্ফালন করছেন এবং যে নির্বাচনে আপনি বিরোধী দলের দাবিদার, সেই নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। নির্বাচনের আগের দিন, অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ১২৩ জনকে হত্যা করে ৫ জানুয়ারি তথাকথিত প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্বাচনের দিনই ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
যে সরকারের সাথে আপনি বিরোধী দল, সেই সরকার ১৯৯৬ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৭৩ দিন হরতাল ডেকেছিল। হরতালের নামে সচিবালয়ের সচিবদের দিগম্বর করেছিল। প্রজাতন্ত্রের নিয়ম ভঙ্গ করে জনতার মঞ্চ তৈরি করে কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছিল, যা ফৌজদারি অপরাধ। তারপর আবার ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৩০ দিন হরতালসহ ১২৮ জনকে হত্যা করে গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করে অগণতান্ত্রিক পথে অসাংবিধানিক সরকারকে আসার পথ প্রশস্ত করে, সব কার্যক্রমকে বৈধতা দেয়ার শর্তে সমঝোতার ভিত্তিতে ষড়যন্ত্র করে ২০০৮ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে। ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বর্গির মতো ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।
দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ যে নির্বাচন বর্জন করেছে, সেই নির্বাচন তো কোনো নির্বাচনই নয়। তারপর সরকারি দল এবং তথাকথিত বিরোধী দল হিসেবে আপনাদের মুখে গণতন্ত্রের ‘সবক’ শুনতে হয়। আবার আপনাদের আরেক শরিক দল, যারা একসময় সশস্ত্র বিপ্লবের কথা বলেছিলেন, তারাও এখন প্রতিনিয়ত জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন। তাদের অতীত ইতিহাস মানুষ জানে। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ভোটে জেতার কোনো ইতিহাস নেই, তারা তাদের অবস্থা জানে, তাই এই নামমাত্র নির্বাচন ছাড়া তাদের জীবদ্দশায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে কোনো দিন জয় লাভ করা সম্ভব নয়, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। দমন, পীড়ন, অত্যাচার, নির্যাতন, ক্রসফায়ার, গুম, জেল দিয়ে এই আগুন নেভানো সম্ভব নয়। ঢাকা গোটা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ঢাকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র আর মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন সিটি করপোরেশনের কমিশনার হিসেবে। সেখানে আপনার দলের স্থান এবং অবস্থান কোথায়, সেটা ভেবে দেখেছেন একবার। তাই বিএনপিকে আপনিসহ আপনার মহাজোটের শরিক দলেরা যে ‘সবক’ দিচ্ছে, এই সবক দেয়ার আগে নিজেদের জনমত কতটুকু আছে, কার ওপর দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলছেন, সেটা একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন কি?
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার ওপরই জনগণ ভরসা করেছে, করবে, এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল। জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, নিঃশর্ত সমর্থনই বিএনপির একমাত্র ভরসা। জনমত হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সব দলের অংশগ্রহণে যত তাড়াতাড়ি দেবেন, তত তাড়াতাড়ি বোঝা যাবে কার অবস্থান কোথায়। এ জন্য বলি, অন্যকে সবক দেয়ার অগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
No comments