ইংরেজ এজেন্ট ছিলেন গান্ধী
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু মহাত্মা গান্ধীকে ব্রিটিশদের এজেন্ট বলে দাবি করেছেন। তার মতে, ভারতের বহু ক্ষতি করেছেন গান্ধী। কাটজুর ব্লগে লেখা এক মন্তব্য উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ‘আমার মতে মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের এজেন্ট ছিলেন, যিনি দেশের বহু ক্ষতি করেছেন।’ নিজের এ দাবির পেছনে তিনটি কারণ দেখিয়েছেন কাটজু। তিনি বলেন, ‘ভারতে চিরকালই ধর্ম, জাতি, বর্ণ, ভাষার বিপুল বৈচিত্র্য রয়েছে। ব্রিটিশরা চিরকালই এদেশে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি চালাতে চেয়েছে। ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য জেনেও দশকের পর দশক ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মকে রাজনীতির মধ্যে টেনে এনে গান্ধী আসলে ইংরেজদের পলিসি স্বার্থক করতে চেয়েছিলেন। ১৯১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এদেশ ফিরে আসার পর থেকে ১৯৪৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গান্ধী তার প্রতিটি বক্তব্যে প্রতিটি লেখায় হিন্দু ধর্মের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। হিন্দু ধর্মীয় ভাবনা যেমন রামরাজ্য, গোরক্ষা, ব্রহ্মচর্য, বর্ণাশ্রম ইত্যাদিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। ‘১৯২১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়াতে গান্ধী লিখে ছিলেন, ‘আমি একজন সনাতনী হিন্দু।
আমি বর্ণাশ্রম ধর্মে বিশ্বাস করি। গো মাতাকে রক্ষা করা উচিত বলে আমি মনে করি।’ গান্ধীর যে কোনো জনসভায় চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ গাওয়া হতো। গান্ধীর এ কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে কাটজু বলেন, ‘একজন গোঁড়া মুসলিমের মনে এ ধরনের মন্তব্য কী প্রতিক্রিয়া ফেলেছিল সেই সম্পর্কে কি কোনো ধারণা আছে? এ ধরনের মন্তব্য তাকে মুসলিম লীগের মতো ধর্মীয় সংগঠনের দিকেই ঠেলে দিয়েছিল। ইংরেজদের কি এটাই উদ্দেশ্য ছিল না? রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে দিয়ে গান্ধী কি ব্রিটিশদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেননি?’ দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সাবেক এ বিচারপতি বলেছেন, ‘অনুশীলন সমিতি, যুগান্তরের মতো সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সূর্য সেন, রামপ্রসাদ বিসমিল, চন্দ্র শেখর আজাদ, আসফাকুল্লা, ভগৎ সিং, রাজগুরুর মতো বিপ্লবীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদমুক্ত দেশ গড়ার জন্য নিরলস আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। গান্ধী সাফল্যের সঙ্গে সত্যাগ্রহের নামে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিমুখ অর্থহীন এক দিকে চালিত করেছিলেন। যাতে আখেরে লাভবান হয়েছিল ইংরেজরাই।’ তৃতীয় কারণ হিসেবে কাটজু বলেন, ‘দিনের পর দিন জনমানসে রাজনীতির মোড়কে ধর্মীয় ভাবনা প্রচার করে তিনি (গান্ধী) আসলে ধর্মীয় ভাবনা প্রচার করেছেন। তার বক্তব্য ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছিল।
No comments