হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন- দায়মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়
কেবল
পুলিশ নয়, রাষ্ট্রীয় বাহিনী যে নিজেদের জবাবদিহির মধ্যে রাখতে চায় না, তা
ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। তারা যে কতটা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে তার সবশেষ নমুনা হলো
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর দায়ে মামলা থেকে দায়মুক্তির চেষ্টা। এ
জন্য ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন মৌলিকভাবে বদলাতে
পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রস্তাব করেছে। কিন্তু এই আইনে ‘বন্দুকযুদ্ধ’সহ
সব ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার শাস্তি এবং বিচারের প্রক্রিয়া বর্ণিত
হয়েছে। তাই এটি কেবল পুলিশি বিষয় নয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সাধারণত জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রশ্নে এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখিয়ে থাকে। আর নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনাকে মানবাধিকারের সবচেয়ে ভয়ানক লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ এ ধরনের ঘটনা, বিশেষ করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে চলেছে। ২০১৩ সালের আইনের কারণে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেছিল তা আমরা বলতে পারি না। সংসদ একটি ভালো আইন করেছিল, কিন্তু তার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে তারা উদাসীন। অবশ্য এটা অনস্বীকার্য যে আইন কোনো স্থির বিষয় নয়। এতে অসংগতি বা ত্রুটি থাকলে তা নিশ্চয় সংশোধনযোগ্য।
আমরা স্মরণ রাখব যে আমাদের দেশে বেসরকারি বিল পাসের নজির বিরল, সেখানে সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী জাতিসংঘ সনদের বরাতে বিলটি সংসদে এনেছিলেন। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল সরকারি বিল হিসেবে সংসদে যে আসেনি, তাতেও একটি অপ্রিয় সত্য লুকিয়ে আছে। আর তা হলো এর বাস্তবায়নে সরকারের অনীহা। এটি জেনেই হয়তো পুলিশ এই অযৌক্তিক সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছে। মিথ্যা মামলা ও অযথা হয়রানি থেকে পুলিশকে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু সেই সুরক্ষা নিশ্চয়ই সাধারণ নাগরিকের মানবাধিকার হরণের বিনিময়ে হতে পারে না। আইনে ভুক্তভোগীদের জন্য দেওয়া রক্ষাকবচগুলো কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সাধারণত জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রশ্নে এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখিয়ে থাকে। আর নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনাকে মানবাধিকারের সবচেয়ে ভয়ানক লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ এ ধরনের ঘটনা, বিশেষ করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে চলেছে। ২০১৩ সালের আইনের কারণে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেছিল তা আমরা বলতে পারি না। সংসদ একটি ভালো আইন করেছিল, কিন্তু তার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে তারা উদাসীন। অবশ্য এটা অনস্বীকার্য যে আইন কোনো স্থির বিষয় নয়। এতে অসংগতি বা ত্রুটি থাকলে তা নিশ্চয় সংশোধনযোগ্য।
আমরা স্মরণ রাখব যে আমাদের দেশে বেসরকারি বিল পাসের নজির বিরল, সেখানে সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী জাতিসংঘ সনদের বরাতে বিলটি সংসদে এনেছিলেন। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল সরকারি বিল হিসেবে সংসদে যে আসেনি, তাতেও একটি অপ্রিয় সত্য লুকিয়ে আছে। আর তা হলো এর বাস্তবায়নে সরকারের অনীহা। এটি জেনেই হয়তো পুলিশ এই অযৌক্তিক সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছে। মিথ্যা মামলা ও অযথা হয়রানি থেকে পুলিশকে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু সেই সুরক্ষা নিশ্চয়ই সাধারণ নাগরিকের মানবাধিকার হরণের বিনিময়ে হতে পারে না। আইনে ভুক্তভোগীদের জন্য দেওয়া রক্ষাকবচগুলো কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না।
No comments