২৭৫, ইজ ইট এনাফ বাবা? by তবারুকুল ইসলাম
সামির বয়স মাত্র ১১ বছর। লন্ডনে
জন্ম নেওয়া সামি আজও বাংলাদেশ দেখেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তো স্কুলে
যাওয়ার ব্যস্ততা। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ ব্যাপক ভাবনার ভঙ্গিতে বাবার
প্রতি তার প্রশ্ন, ‘২৭৫, ইজ ইট এনাফ বাবা?’ অর্থাৎ ২৭৫ রান করা বাংলাদেশ
জিততে পারবে কি না, সেটাই জানতে চেয়েছে সামি।
কাজে এসে বাবা বেলাল আহমদের মুখে ছেলের এই বাংলাদেশপ্রীতির গল্প। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের ক্রিকেট উন্মাদনা বোঝার জন্য কি এই একটা ঘটনাই যথেষ্ট নয়?
ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ম্যাচটি যখন অ্যাডিলেডে শুরু হয়, তখন যুক্তরাজ্যে রাত সাড়ে তিনটা। জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেখার জন্য অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে কাজে গেছেন। অপু, সায়েম, ইমরান খেলা দেখেছেন একা একা নিজেদের কক্ষে। চার–ছক্কায় একাই টেবিল চাপড়েছেন, আবার খারাপ সময়ে ভাবনায় পড়েছেন। একা একা খেলা দেখার কষ্ট আন্দাজ করে ফটোগ্রাফার মনিরুজ্জামান সন্ধ্যায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘কে কে খেলা দেখতে চাও, চলে আসো আমার বাসায়। চা, মুড়ি, চানাচুর ফ্রি!’ আর পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট ৫০–ঊর্ধ্ব এমাদ উদ্দিনের বাসায় তো বাংলাদেশের খেলা এলেই ছোটখাটো একটা সমাবেশ হয়। আশপাশের আত্মীয়-পরিজনদের বাসায় নিয়ে আসেন। খেলা দেখার সুবাদে চলে আড্ডা, ভূরিভোজ।
এখানে একটু বলে রাখি, এমাদ উদ্দিন ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড় মঈন আলীর ভায়রা। অন্যদিকে ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে একসময় ঢাকায় প্রিমিয়ার লীগ খেলা ভাতিজা আবদুর রাজ্জাক বাবু এখন কাছেই থাকেন। সে কারণে হয়তো এমাদ উদ্দিনের ক্রিকেটপ্রীতি অন্য রকম। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করলেন কেন? হাসি দিয়ে জবাব, ‘ক্রিকেট ছাড়া তো আমাদের বাঙালিদের আর কোনো পরিচয় নেই। সবাই জানে আমরা বাঙালিরা ক্রিকেটের পাগল। ওই পাগলামিটা ধরে রাখতে চাই।’ ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট না করার আরও যুক্তি দেখালেন তিনি। বললেন, ‘যুক্তরাজ্যের হয়ে তো কোনো দল নেই। স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ভাগ হয়ে খেলে। ইংল্যান্ড যদি স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে উল্লাস করতে পারে, তাহলে আমি বাংলাদেশের পক্ষে উল্লাস করলে অসুবিধা কোথায়?’
কিন্তু এত কিছু বুঝে না ছোট্ট সামি। তার সহজ জবাব, সে এমনিতে ইংল্যান্ডের সমর্থক। কিন্তু বিপক্ষে বাংলাদেশ হলে সে বাংলাদেশের পক্ষে। কারণ ‘ওটা আমার পিতা-মাতার দেশ’।
বিজয় উল্লাসে রাস্তায় না নামলেও যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশিরা চাপা উত্তেজনায় কেঁপেছে সবাই। তবে কোনো কোনো ব্রিটিশ মিডিয়া নিজেদের নির্মম হারের কথা স্বীকার করলেও, বাংলাদেশকে বাহবা দিতে চরম লজ্জিত। গতকাল লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড শিরোনাম করেছে, ‘পোনা’ বাংলাদেশের কাছে হেরে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। এমন শিরোনাম দেখে এক বাংলাদেশির মন্তব্য, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিল, এখনো ‘পোনা’ মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে?
কাজে এসে বাবা বেলাল আহমদের মুখে ছেলের এই বাংলাদেশপ্রীতির গল্প। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের ক্রিকেট উন্মাদনা বোঝার জন্য কি এই একটা ঘটনাই যথেষ্ট নয়?
ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ম্যাচটি যখন অ্যাডিলেডে শুরু হয়, তখন যুক্তরাজ্যে রাত সাড়ে তিনটা। জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেখার জন্য অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে কাজে গেছেন। অপু, সায়েম, ইমরান খেলা দেখেছেন একা একা নিজেদের কক্ষে। চার–ছক্কায় একাই টেবিল চাপড়েছেন, আবার খারাপ সময়ে ভাবনায় পড়েছেন। একা একা খেলা দেখার কষ্ট আন্দাজ করে ফটোগ্রাফার মনিরুজ্জামান সন্ধ্যায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘কে কে খেলা দেখতে চাও, চলে আসো আমার বাসায়। চা, মুড়ি, চানাচুর ফ্রি!’ আর পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট ৫০–ঊর্ধ্ব এমাদ উদ্দিনের বাসায় তো বাংলাদেশের খেলা এলেই ছোটখাটো একটা সমাবেশ হয়। আশপাশের আত্মীয়-পরিজনদের বাসায় নিয়ে আসেন। খেলা দেখার সুবাদে চলে আড্ডা, ভূরিভোজ।
এখানে একটু বলে রাখি, এমাদ উদ্দিন ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড় মঈন আলীর ভায়রা। অন্যদিকে ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে একসময় ঢাকায় প্রিমিয়ার লীগ খেলা ভাতিজা আবদুর রাজ্জাক বাবু এখন কাছেই থাকেন। সে কারণে হয়তো এমাদ উদ্দিনের ক্রিকেটপ্রীতি অন্য রকম। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করলেন কেন? হাসি দিয়ে জবাব, ‘ক্রিকেট ছাড়া তো আমাদের বাঙালিদের আর কোনো পরিচয় নেই। সবাই জানে আমরা বাঙালিরা ক্রিকেটের পাগল। ওই পাগলামিটা ধরে রাখতে চাই।’ ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট না করার আরও যুক্তি দেখালেন তিনি। বললেন, ‘যুক্তরাজ্যের হয়ে তো কোনো দল নেই। স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ভাগ হয়ে খেলে। ইংল্যান্ড যদি স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে উল্লাস করতে পারে, তাহলে আমি বাংলাদেশের পক্ষে উল্লাস করলে অসুবিধা কোথায়?’
কিন্তু এত কিছু বুঝে না ছোট্ট সামি। তার সহজ জবাব, সে এমনিতে ইংল্যান্ডের সমর্থক। কিন্তু বিপক্ষে বাংলাদেশ হলে সে বাংলাদেশের পক্ষে। কারণ ‘ওটা আমার পিতা-মাতার দেশ’।
বিজয় উল্লাসে রাস্তায় না নামলেও যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশিরা চাপা উত্তেজনায় কেঁপেছে সবাই। তবে কোনো কোনো ব্রিটিশ মিডিয়া নিজেদের নির্মম হারের কথা স্বীকার করলেও, বাংলাদেশকে বাহবা দিতে চরম লজ্জিত। গতকাল লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড শিরোনাম করেছে, ‘পোনা’ বাংলাদেশের কাছে হেরে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। এমন শিরোনাম দেখে এক বাংলাদেশির মন্তব্য, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিল, এখনো ‘পোনা’ মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে?
No comments