সেই রাতই কাল হলো মা-ছেলের by মনিরুজ্জামান
(দিনের তুলনায় রাতকে নিরাপদ মনে করে দুই ছেলে মুন্না আর শান্তকে নিয়ে নোয়াখালী থেকে ফিরছিলেন মা আসমা আক্তার। কিন্তু সেই রাতই কাল হলো। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোগনপুর এলাকায় আইকন পরিবহনের বাসে পেট্রলবোমা হামলায় পুড়ে মারা যান আসমা ও তাঁর ছোট ছেলে শান্ত। ছবি: সংগৃহীত) ‘মূলত
নিরাপদে বাড়ি ফিরতেই ছেলেকে নিয়ে রাতে রওনা হয়েছিলেন আপা। তাঁর ধারণা
ছিল, রাতের বেলা কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সেই রাতই তাঁর জন্য কাল রাত
হইল। বোন আর ভাগিনাকে পুড়ে মরতে হলো।’
কথাগুলো বলছিলেন আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোগনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইকন পরিবহনের বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে নিহত আসমা আক্তারের ছোট বোন হোসনা আক্তার (চুমকি)। এ ঘটনায় আসমার ছোট ছেলে শান্ত মিয়া (১৩) নিহত এবং বড় ছেলে মুন্না মিয়া (১৫) আহত হয়।
ক্ষোভের সঙ্গে চুমকি সরকারকে দায়ী করে বলেন, ‘সরকার একটু নমনীয় হলেও তো বিএনপি একটু শান্ত হতো। তাদের কারণেই আজকে আমার বোন আর ভাগিনাকে মরতে হলো।’ সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণেই এসব হামলা হচ্ছে, দাবি করে তিনি জড়িত লোকজনের শাস্তি দাবি করেন।
নিহত আসমার বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আসমা স্বামী মানিক মিয়াকে নিয়ে নরসিংদীর পলাশে থাকেন। গত শুক্রবার সকালে তিনি স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে মুন্না মিয়া ও শান্ত মিয়াকে নিয়ে নোয়াখালীতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মুন্না পলাশ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। আর শান্ত একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আসমা ছেলেদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে আসমা ও তাঁর ছোট ছেলে শান্তসহ সাতজনের মৃত্যু হয়।
নিহত আসমার চাচাত ভাই মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপর বড় ছেলে মুন্না বাস থেকে নেমে যায়। কিন্তু আসমা ও শান্ত বের হতে পারেনি। পরে মুন্না তাঁর বাবাকে মোবাইলে ঘটনা জানায়। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন নিহত আসমা আক্তার ও তাঁর ছেলে শান্ত মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
কথাগুলো বলছিলেন আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোগনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইকন পরিবহনের বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে নিহত আসমা আক্তারের ছোট বোন হোসনা আক্তার (চুমকি)। এ ঘটনায় আসমার ছোট ছেলে শান্ত মিয়া (১৩) নিহত এবং বড় ছেলে মুন্না মিয়া (১৫) আহত হয়।
ক্ষোভের সঙ্গে চুমকি সরকারকে দায়ী করে বলেন, ‘সরকার একটু নমনীয় হলেও তো বিএনপি একটু শান্ত হতো। তাদের কারণেই আজকে আমার বোন আর ভাগিনাকে মরতে হলো।’ সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণেই এসব হামলা হচ্ছে, দাবি করে তিনি জড়িত লোকজনের শাস্তি দাবি করেন।
নিহত আসমার বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আসমা স্বামী মানিক মিয়াকে নিয়ে নরসিংদীর পলাশে থাকেন। গত শুক্রবার সকালে তিনি স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে মুন্না মিয়া ও শান্ত মিয়াকে নিয়ে নোয়াখালীতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মুন্না পলাশ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। আর শান্ত একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আসমা ছেলেদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে আসমা ও তাঁর ছোট ছেলে শান্তসহ সাতজনের মৃত্যু হয়।
নিহত আসমার চাচাত ভাই মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপর বড় ছেলে মুন্না বাস থেকে নেমে যায়। কিন্তু আসমা ও শান্ত বের হতে পারেনি। পরে মুন্না তাঁর বাবাকে মোবাইলে ঘটনা জানায়। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন নিহত আসমা আক্তার ও তাঁর ছেলে শান্ত মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
No comments