প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় কুমিল্লায় মধ্যরাতের হত্যাযজ্ঞ
কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতে বেড়ানো শেষে তিন বন্ধুকে নিয়ে রাতের বাসে ঢাকায় ফিরছিলেন
২৩ বছর বয়সী ফারুক আহমেদ। কিন্তু অর্ধেক পথ পার হওয়ার পরেই কুমিল্লায়
তাদের বাসের ওপর পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়।
আগুনে হাত পুড়ে যাওয়ায় তিনি আর বাড়িতে ফিরে যেতে পারেননি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এই ওয়েল্ডিং শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। তবে এতে তার সাত সহযাত্রী আগুনে পুড়ে বাসের ভেতরেই কয়লা হয়ে গেছেন।
আহত হয়েছেন আরো প্রায় ২৫ জন। তাদের মধ্যে ফারুকসহ ছ’জনকে চিকিৎসার জন্যে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
ফারুক আহমেদ বলেছেন, তিনি ঠিক জানেন না কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ সেসময় তিনিসহ বাসের প্রায় সব যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন।
তার অনুমান বাসটি তখন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এবং রাত তখন আড়াইটা থেকে তিনটার মতো বাজে।
ঘুমের ঘোর কেটে যাওয়ার আগেই তিনি দেখতে পান যে বাসের চারদিকে আগুন জ্বলছে।
তিনি বলেন, ‘বাসের চারপাশে যখন আগুন জ্বলছে তখন এক বন্ধু আমাকে ডেকে তুললো। বললো, আগুন লাগছে। এক সেকেন্ডের মধ্যে আমি চারদিকে দেখি বাসের ভেতরে আগুন ছাড়া আর কিছুই নাই।’
তিনি তখন সাথে সাথে জানালা খুলে বাস থেকে লাফ দিয়ে অক্ষত অবস্থায় নেমে যান এবং বাসের ভেতরে আরো যারা ছিলেন তাদের খোঁজ নিতে শুরু করেন।
‘আমি দেখলাম রাস্তার ওপর একজন পুড়ছে। তিনি রাস্তায় পড়ে আছেন কিন্তু তার জামাকাপড় পুড়ছে।’
তাকে বাঁচাতে গেলে ফারুক আহমেদের হাত দুটো পুড়ে যায়। ডাক্তাররা বলছেন, তার শরীরের দুই শতাংশ পুড়ে গেছে।
কিন্তু তিনি যাকে বাঁচিয়েছেন তার পুড়েছে কুড়ি শতাংশ।
এক সপ্তাহ আগে কয়েক বন্ধুকে নিয়ে ফারুক কক্সবাজার গিয়েছিলেন বেড়াতে, কিন্তু হরতালের কারণে ফিরতে পারছিলেন না।
‘হোটেলে থাকছি, ঘুরছি আর খাচ্ছি। কিন্তু বাড়ি থেকে ফোনে বললো একটা জরুরি বিষয়ে বাড়িতে আসা দরকার। তখন বাসের টিকেট কিনে ঢাকার জন্যে রওনা দেই।’
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসার পথে এই বাসটির ওপরেই ছোঁড়া হয় পেট্রোল বোমা
ফারুক আহমেদ মনে করেছিলেন বিশেষ ব্যবস্থায় হাইওয়েতে গাড়ি চলছে। তাই হয়তো কোনো অসুবিধা হবে না।
তিনি জানান, অর্ধেকটারও বেশি পথ ভালোভাবেই এসেছিলেন তারা। তারপরই হঠাৎ করে এই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটেছে।
তিনি জানান যে বাসের কোনো সিট খালি ছিলোনা। তার ধারণা বাসটিতে ৫৫ থেকে ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিল।
খবর পেয়ে ফারুকের মা মানিকগঞ্জ থেকে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।
বিছানায় একমাত্র ছেলে ফারুকের মাথার পাশে বসেছিলেন তিনি।
বললেন, ‘ও বেড়াইবার গেছিলো। দরকার কইয়া আনাইছি। রাইত কইরা বাসে উইঠা ও বিপদে পাইড়া গেছে।’
সূত্র: বিবিসি
আগুনে হাত পুড়ে যাওয়ায় তিনি আর বাড়িতে ফিরে যেতে পারেননি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এই ওয়েল্ডিং শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। তবে এতে তার সাত সহযাত্রী আগুনে পুড়ে বাসের ভেতরেই কয়লা হয়ে গেছেন।
আহত হয়েছেন আরো প্রায় ২৫ জন। তাদের মধ্যে ফারুকসহ ছ’জনকে চিকিৎসার জন্যে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
ফারুক আহমেদ বলেছেন, তিনি ঠিক জানেন না কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ সেসময় তিনিসহ বাসের প্রায় সব যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন।
তার অনুমান বাসটি তখন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এবং রাত তখন আড়াইটা থেকে তিনটার মতো বাজে।
ঘুমের ঘোর কেটে যাওয়ার আগেই তিনি দেখতে পান যে বাসের চারদিকে আগুন জ্বলছে।
তিনি বলেন, ‘বাসের চারপাশে যখন আগুন জ্বলছে তখন এক বন্ধু আমাকে ডেকে তুললো। বললো, আগুন লাগছে। এক সেকেন্ডের মধ্যে আমি চারদিকে দেখি বাসের ভেতরে আগুন ছাড়া আর কিছুই নাই।’
তিনি তখন সাথে সাথে জানালা খুলে বাস থেকে লাফ দিয়ে অক্ষত অবস্থায় নেমে যান এবং বাসের ভেতরে আরো যারা ছিলেন তাদের খোঁজ নিতে শুরু করেন।
‘আমি দেখলাম রাস্তার ওপর একজন পুড়ছে। তিনি রাস্তায় পড়ে আছেন কিন্তু তার জামাকাপড় পুড়ছে।’
তাকে বাঁচাতে গেলে ফারুক আহমেদের হাত দুটো পুড়ে যায়। ডাক্তাররা বলছেন, তার শরীরের দুই শতাংশ পুড়ে গেছে।
কিন্তু তিনি যাকে বাঁচিয়েছেন তার পুড়েছে কুড়ি শতাংশ।
এক সপ্তাহ আগে কয়েক বন্ধুকে নিয়ে ফারুক কক্সবাজার গিয়েছিলেন বেড়াতে, কিন্তু হরতালের কারণে ফিরতে পারছিলেন না।
‘হোটেলে থাকছি, ঘুরছি আর খাচ্ছি। কিন্তু বাড়ি থেকে ফোনে বললো একটা জরুরি বিষয়ে বাড়িতে আসা দরকার। তখন বাসের টিকেট কিনে ঢাকার জন্যে রওনা দেই।’
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসার পথে এই বাসটির ওপরেই ছোঁড়া হয় পেট্রোল বোমা
ফারুক আহমেদ মনে করেছিলেন বিশেষ ব্যবস্থায় হাইওয়েতে গাড়ি চলছে। তাই হয়তো কোনো অসুবিধা হবে না।
তিনি জানান, অর্ধেকটারও বেশি পথ ভালোভাবেই এসেছিলেন তারা। তারপরই হঠাৎ করে এই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটেছে।
তিনি জানান যে বাসের কোনো সিট খালি ছিলোনা। তার ধারণা বাসটিতে ৫৫ থেকে ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিল।
খবর পেয়ে ফারুকের মা মানিকগঞ্জ থেকে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।
বিছানায় একমাত্র ছেলে ফারুকের মাথার পাশে বসেছিলেন তিনি।
বললেন, ‘ও বেড়াইবার গেছিলো। দরকার কইয়া আনাইছি। রাইত কইরা বাসে উইঠা ও বিপদে পাইড়া গেছে।’
সূত্র: বিবিসি
No comments