রুশ পাঠাগারে আগুন
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর অন্যতম বৃহত্তম একটি ইন্সটিটিউটের লাইব্রেরি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ১০ লাখেরও বেশি ঐতিহাসিক দলিলপত্র ধ্বংস হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ দুর্ঘটনাকে সাংস্কৃতিক ‘চেরনোবিল’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইন্সটিটিউট অব সায়েন্টিফিক ইনফরমেশন অন সোশ্যাল সায়েন্সেসের (আইএনআইওএন) দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। আগুন লাইব্রেরির দু’হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও অগ্নিনির্বাপক দলের প্রায় ২শ’ সদস্য শনিবার সন্ধ্যায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। পরে মধ্যরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউটটিতে এক কোটিরও বেশি দলিলপত্র রয়েছে।
এসবের মধ্যে ১৬শ’ শতকের পুরনো দলিলও রয়েছে। রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির প্রেসিডেন্ট ভাদিমির ফোরতভের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, ‘বিজ্ঞানের জন্য এটি বড় ধরনের ক্ষতি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সংগ্রহ। সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সমপরিমাণ বই ও দলিলপত্র এখানে রয়েছে।’ তিনি ১৯৮৬ সালে ঘটে যাওয়া পরমাণু দুর্যোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘যা ঘটেছে তাকে চেরনোবিল দুর্ঘটনার সঙ্গেই তুলনা করা যায়।’ ফোরতভ বলেন, লাইব্রেরির প্রায় ১৫ শতাংশ সংগ্রহ ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া এসব সংগ্রহে স্লাভিক ভাষার মূল্যবান ডকুমেন্ট ছিল। আরও ছিল ব্রিটেন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রেরও ডকুমেন্ট। তিনি কমারসেন্ট এফএম রেডিওকে বলেন, দলিলপত্র ধ্বংস হওয়ার অন্যতম কারণ অগ্নিনির্বাপক দলের ছোড়া পানি। আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা পানির কারণেই অনেক ডকুমেন্ট নষ্ট হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রুশ সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা করছেন। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের জন্য বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটকে দায়ী করা হচ্ছে। এএফপি।
No comments