খালেদার কার্যালয়ের ফোন-ইন্টারনেট- দায়িত্ব অস্বীকার করলেই দায় শেষ হয় না
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ ১৯ ঘণ্টার জন্য কেটে দেওয়া হয়েছিল, এখন মোবাইল ফোন, ডিশ ও ফোন, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেটের সুবিধা পাওয়া থেকে তিনি বঞ্চিত রয়েছেন। দু-দুবারের প্রধানমন্ত্রী ও একটি বড় দলের প্রধানের প্রতি এটা কোন ধরনের আচরণ? সবচেয়ে বড় কথা কেন এসব হচ্ছে, কোন আইনে এসব হচ্ছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই সরকারের তরফে। বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটার দায়িত্বও কেউ নিচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করার কোনো নির্দেশ তাঁরা দেননি। মোবাইল ফোন অপারেটর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিটিআরসি থেকে তাঁরা ‘একটি বিশেষ ঠিকানায়’ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের চিঠি পেয়েছেন। বিটিআরসির দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শে তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, এই ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’ কারা, যারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অজ্ঞাতে বা তাঁর নির্দেশনা ছাড়াই এ ধরনের পরামর্শ বিটিআরসিকে দিতে পারে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটা বা পুনরায় সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে ‘কিছুই জানি না’ বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের ইচ্ছা বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। ডেসকো চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রীকে ২০১০ সালে কিছু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কথা জানিয়েছেন। এই বকেয়া পরিশোধের জন্য কি বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটার আগে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল?
সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে চান বা না চান, এই ঘটনাগুলোর সবগুলোর দায় সরকারকেই নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত ও অনুমতি ছাড়া যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি আদায় করাও সরকারের দায়িত্ব।
এখনো যে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ডিশ, ইন্টারনেট ও ফোন-ফ্যাক্সের সুবিধা বন্ধ রয়েছে, এর ব্যাখ্যা কী? নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ অঘটনের দায়িত্ব অস্বীকার করলেই দায় শেষ হয়ে যায় না। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এসব লাইন পুনঃস্থাপন করা হোক।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করার কোনো নির্দেশ তাঁরা দেননি। মোবাইল ফোন অপারেটর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিটিআরসি থেকে তাঁরা ‘একটি বিশেষ ঠিকানায়’ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের চিঠি পেয়েছেন। বিটিআরসির দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শে তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, এই ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’ কারা, যারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অজ্ঞাতে বা তাঁর নির্দেশনা ছাড়াই এ ধরনের পরামর্শ বিটিআরসিকে দিতে পারে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটা বা পুনরায় সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে ‘কিছুই জানি না’ বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের ইচ্ছা বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। ডেসকো চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রীকে ২০১০ সালে কিছু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কথা জানিয়েছেন। এই বকেয়া পরিশোধের জন্য কি বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটার আগে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল?
সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে চান বা না চান, এই ঘটনাগুলোর সবগুলোর দায় সরকারকেই নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত ও অনুমতি ছাড়া যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি আদায় করাও সরকারের দায়িত্ব।
এখনো যে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ডিশ, ইন্টারনেট ও ফোন-ফ্যাক্সের সুবিধা বন্ধ রয়েছে, এর ব্যাখ্যা কী? নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ অঘটনের দায়িত্ব অস্বীকার করলেই দায় শেষ হয়ে যায় না। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এসব লাইন পুনঃস্থাপন করা হোক।
No comments