ভূমিখেকোদের কবলে যমুনা- ‘প্রশাসন ম্যানেজ, সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে’ by আব্দুল মোমিন
(পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশে ১০০ থেকে ২০০ গজের মধ্যে যমুনা নদীর পার থেকে এভাবে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে ঘাট দুটি ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো) বিআইডব্লিউটিএ’র
আওতাভুক্ত কোনো নদী বা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার অনুমতি না থাকলেও
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনার পাড় থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে
পড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট। অভিযোগ উঠেছে, শিবালয় উপজেলা জাতীয়
পার্টির (এরশাদ) সাধারণ সম্পাদক রমজান আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী এই
মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে উৎকোচ
দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। অভিযুক্ত রমজান আলী বলেন, ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ
করা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ম্যানেজ করার জন্য যোগাযোগ করা হবে।’
বাংলাদশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, বিআইডব্লিউটিএর আওতাভুক্ত দেশের কোনো নদী বা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না। বন্দর এলাকার আশপাশে মাটি কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি কাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের ধুতরাবাড়ী মৌজায় তাঁর মালিকানাধীন জমি থেকে শর্তসাপেক্ষে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী রমজান আলী, শামীম হোসেন, মো. হানিফ, মোন্তাজ উদ্দিন ও আওলাদ হোসেন।
সূত্রটি জানায়, শর্ত অনুযায়ী সরকারি স্থাপনা থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে মাটি কাটা যাবে না। ক্ষতি করা যাবে না সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট জমি বা পরিবেশের। কিন্তু সেসব শর্ত না মেনে ২০ জানুয়ারি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ইউটিলিটি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের উজানে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গজের মধ্যে নদীর পাড় থেকে দুটি স্থানে এস্কাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সেই মাটি ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। ভরাট করা হচ্ছে সেসব এলাকার ফসলি ও নিচু জমি। প্রতি ট্রাক মাটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, মাটি কাটার স্থানের উত্তর পাশে ২০০ গজ দূরে পাটুরিয়া বাসটার্মিনাল ও পাটুরিয়া নতুন বাসটার্মিনাল সংযোগ সড়ক। মাটি কাটার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বর্ষা মৌসুমে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও সংযোগসড়ক ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।
যোগাযোগ করলে মাটি কেটে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত মো. হানিফ বলেন, এখানে মাটি কাটার কারণে সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তিনি বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা রমজান আলীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কাগজপত্র দেখে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়ার মালিক স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মাটি কাটার কারণে পাটুরিয়া ঘাট হুমকির মুখে পড়লে তিনি সরজমিনে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, বিআইডব্লিউটিএর আওতাভুক্ত দেশের কোনো নদী বা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না। বন্দর এলাকার আশপাশে মাটি কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি কাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের ধুতরাবাড়ী মৌজায় তাঁর মালিকানাধীন জমি থেকে শর্তসাপেক্ষে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী রমজান আলী, শামীম হোসেন, মো. হানিফ, মোন্তাজ উদ্দিন ও আওলাদ হোসেন।
সূত্রটি জানায়, শর্ত অনুযায়ী সরকারি স্থাপনা থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে মাটি কাটা যাবে না। ক্ষতি করা যাবে না সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট জমি বা পরিবেশের। কিন্তু সেসব শর্ত না মেনে ২০ জানুয়ারি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ইউটিলিটি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের উজানে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গজের মধ্যে নদীর পাড় থেকে দুটি স্থানে এস্কাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সেই মাটি ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। ভরাট করা হচ্ছে সেসব এলাকার ফসলি ও নিচু জমি। প্রতি ট্রাক মাটি ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, মাটি কাটার স্থানের উত্তর পাশে ২০০ গজ দূরে পাটুরিয়া বাসটার্মিনাল ও পাটুরিয়া নতুন বাসটার্মিনাল সংযোগ সড়ক। মাটি কাটার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বর্ষা মৌসুমে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও সংযোগসড়ক ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।
যোগাযোগ করলে মাটি কেটে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত মো. হানিফ বলেন, এখানে মাটি কাটার কারণে সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তিনি বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা রমজান আলীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কাগজপত্র দেখে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়ার মালিক স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মাটি কাটার কারণে পাটুরিয়া ঘাট হুমকির মুখে পড়লে তিনি সরজমিনে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
No comments