জনশক্তি রফতানি- সৌদি আরব থেকে সুসংবাদ
সৌদি আরবের শ্রমবাজার আবার খুলে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ। টানা সাত বছর এ বাজার বন্ধ ছিল। যে কারণে বন্ধ ছিল তবে এ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন রোববার বলেছেন, 'বহুদিনের চেষ্টায় অবশেষে সৌদি আরবের বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সুখবর।' তিনি সমকালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আরও একটি সুখবর দিয়েছেন, সৌদি আরবে কাজ নিয়ে যেতে জনপ্রতি মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। বেসরকারি রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোও সেখানে কর্মী পাঠাতে পারবে। তবে তারা কাজ করবে সরকারের এজেন্ট হিসেবে। ভিসা, মেডিকেল ফি, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো কর্মীদের বিমান ভাড়া সবই দেবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। আগের আকামা পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়ায় ভিসা ঠিক রেখে কর্মস্থল পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। এ বাজার ফিরে পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সবাই কৃতিত্ব পেতে পারেন।
এখন একটি কাজই জরুরি_ দুই দেশের সমঝোতাকে কাজে পরিণত করা। কয়েক দিনের মধ্যেই সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। ধারণা করা যায় যে, সেখানেই নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। সৌদি আরব যে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু তথ্যেই স্পষ্ট হবে। ২০০৯-১০ সালে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৪২ কোটি ডলার। পরের কয়েকটি বছর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থের পরিমাণও কমবেশি এর কাছাকাছি ছিল। তবে নতুন কর্মী না যাওয়ায় সৌদি আরব থেকে অর্থের পরিমাণ কমতে থাকাটাই স্বাভাবিক। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সে দেশ থেকে অর্থ এসেছে ৩১১ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পাওয়া গেছে ১৬০ কোটি ডলার। নতুন কর্মী যাওয়া শুরু করলে রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের গতি আসবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমবাজারেও চাপ কমতে শুরু করবে। ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই শ্রমবাজারে ২৫ লাখের বেশি কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। এক পর্যায়ে প্রতি বছর কর্মী গেছে দেড় থেকে দুই লাখ। ২০০৮ সালের শেষ দিকে তারা বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর সে দেশে অপরাধ সংঘটন এবং বাংলাদেশের একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক শক্তির অপপ্রচারের কারণেই সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। আমরা আশা করব, এমন আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড আর ঘটবে না। অনেক চেষ্টায় এ বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান জনশক্তি রফতানির সঙ্গে যুক্ত তাদেরও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। নতুন সমঝোতা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে কর্মীরা সৌদি আরবে যেতে পারলে জমি ও অন্যান্য সম্পদ বিক্রি করে একটু ভালো থাকার আশায় মরু এলাকায় যাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ আর কিছুই হতে পারে না। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি বলেছেন, এটি সুসংবাদ। শুধু কর্মীরা নয়, রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোও এতে লাভবান হবে। সরকারি ও বেসরকারি যে ব্যবস্থাপনাতেই বাংলাদেশের কর্মীরা সৌদি আরবে যেন স্বল্প ব্যয়ে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় বাজারের দুয়ার আর যেন কখনোই বন্ধ না হয়, সে চ্যালেঞ্জও কম নয়।
এখন একটি কাজই জরুরি_ দুই দেশের সমঝোতাকে কাজে পরিণত করা। কয়েক দিনের মধ্যেই সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। ধারণা করা যায় যে, সেখানেই নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। সৌদি আরব যে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু তথ্যেই স্পষ্ট হবে। ২০০৯-১০ সালে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৪২ কোটি ডলার। পরের কয়েকটি বছর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থের পরিমাণও কমবেশি এর কাছাকাছি ছিল। তবে নতুন কর্মী না যাওয়ায় সৌদি আরব থেকে অর্থের পরিমাণ কমতে থাকাটাই স্বাভাবিক। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সে দেশ থেকে অর্থ এসেছে ৩১১ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পাওয়া গেছে ১৬০ কোটি ডলার। নতুন কর্মী যাওয়া শুরু করলে রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের গতি আসবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমবাজারেও চাপ কমতে শুরু করবে। ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই শ্রমবাজারে ২৫ লাখের বেশি কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। এক পর্যায়ে প্রতি বছর কর্মী গেছে দেড় থেকে দুই লাখ। ২০০৮ সালের শেষ দিকে তারা বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর সে দেশে অপরাধ সংঘটন এবং বাংলাদেশের একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক শক্তির অপপ্রচারের কারণেই সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। আমরা আশা করব, এমন আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড আর ঘটবে না। অনেক চেষ্টায় এ বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান জনশক্তি রফতানির সঙ্গে যুক্ত তাদেরও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। নতুন সমঝোতা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে কর্মীরা সৌদি আরবে যেতে পারলে জমি ও অন্যান্য সম্পদ বিক্রি করে একটু ভালো থাকার আশায় মরু এলাকায় যাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ আর কিছুই হতে পারে না। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি বলেছেন, এটি সুসংবাদ। শুধু কর্মীরা নয়, রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোও এতে লাভবান হবে। সরকারি ও বেসরকারি যে ব্যবস্থাপনাতেই বাংলাদেশের কর্মীরা সৌদি আরবে যেন স্বল্প ব্যয়ে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় বাজারের দুয়ার আর যেন কখনোই বন্ধ না হয়, সে চ্যালেঞ্জও কম নয়।
No comments