প্রতিবাদ জানাতে এসে বিবাদ
(সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গতকাল বিকেলে কর্মসূচি পালনকালে আমজনতার সদস্যদের শাসাচ্ছেন শিক্ষক নেতা ফারুক আহমদ (বাঁয়ে) । পুলিশ তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে l ছবি: প্রথম আলো) কর্মসূচি
এক! দেশজুড়ে নৈরাজ্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কিন্তু সংগঠন ছিল
দুটি। দুই পক্ষ একই সময়ে মাইক ব্যবহার করায় কারও বক্তব্যই ঠিকমতো শোনা
যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে দুই পক্ষই মাইক বন্ধ করে দেয়। শুরু হয়
বিবাদ-বিসংবাদ। তা থেকে হাতাহাতির উপক্রম। শেষে পুলিশ এসে তাঁদের নিবৃত্ত
করে। গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) ও আমজনতা বাংলাদেশ নামের দুটি
সংগঠনের কর্মসূচি পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
বাকবিশিস সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবিতে তারা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, একই দাবিতে আমজনতা বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিপন্ন মানবতা, পুড়ছে দেশ, মরছে মানুষ...’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। মাইক ব্যবহার করে তাঁরা সে সময় বক্তব্য দিচ্ছিল। একই সময়ে বাকবিশিসও মাইক ব্যবহার করে মানববন্ধন থেকে বক্তব্য দিতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বাকবিশিসের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ বক্তব্য দেওয়ার সময় আমজনতার মাইক বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে গণদাবি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের নেতা বক্তব্য দেওয়ায় মাইক বন্ধ করতে পারছিলেন না। এ সময় বাকবিশিসের নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ জোর করে মাইক বন্ধ করতে গেলে তাঁর সঙ্গে আমজনতার নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ফারুক আমজনতার নেতা-কর্মীদের দিকে তেড়ে গেলে হাতাহাতির উপক্রম হয়। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করে। পরে আমজনতার মাইক বন্ধ রেখে বাকবিশিসের মানববন্ধন পালনের ব্যবস্থা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমজনতার এক সদস্য অভিযোগ করেন, প্রবীণ এসব নেতাকে ফারুক আহমদ গালমন্দ শুরু করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। আর ফারুক আহমদ দাবি করেন, তিনি কাউকে ধমক দেননি। ধমকা-ধমকির ছবি রয়েছে বলে তাঁকে জানালে ফারুক বলেন, ‘আমাদের ফয়েজ ভাই (আ.লীগ নেতা ও শিক্ষক) যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ওদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে দালাল বলা হয়। এ কথা শুনে কিছুটা রেগে গিয়েছিলাম আরকি!’
বাকবিশিস সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবিতে তারা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, একই দাবিতে আমজনতা বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিপন্ন মানবতা, পুড়ছে দেশ, মরছে মানুষ...’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। মাইক ব্যবহার করে তাঁরা সে সময় বক্তব্য দিচ্ছিল। একই সময়ে বাকবিশিসও মাইক ব্যবহার করে মানববন্ধন থেকে বক্তব্য দিতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বাকবিশিসের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ বক্তব্য দেওয়ার সময় আমজনতার মাইক বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে গণদাবি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের নেতা বক্তব্য দেওয়ায় মাইক বন্ধ করতে পারছিলেন না। এ সময় বাকবিশিসের নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ জোর করে মাইক বন্ধ করতে গেলে তাঁর সঙ্গে আমজনতার নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ফারুক আমজনতার নেতা-কর্মীদের দিকে তেড়ে গেলে হাতাহাতির উপক্রম হয়। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করে। পরে আমজনতার মাইক বন্ধ রেখে বাকবিশিসের মানববন্ধন পালনের ব্যবস্থা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমজনতার এক সদস্য অভিযোগ করেন, প্রবীণ এসব নেতাকে ফারুক আহমদ গালমন্দ শুরু করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। আর ফারুক আহমদ দাবি করেন, তিনি কাউকে ধমক দেননি। ধমকা-ধমকির ছবি রয়েছে বলে তাঁকে জানালে ফারুক বলেন, ‘আমাদের ফয়েজ ভাই (আ.লীগ নেতা ও শিক্ষক) যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ওদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে দালাল বলা হয়। এ কথা শুনে কিছুটা রেগে গিয়েছিলাম আরকি!’
No comments