হত্যার এক দিন পর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতের
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একদল সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে গুলি করে হত্যার
এক দিন পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে খেতমজুর নজরুল ইসলামের (৩৪) লাশ ফেরত
দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। হত্যার পর গতকাল নজরুলের লাশ সীমান্তের ওপারে
নিয়ে যায় বিএসএফ। সেখানে ময়নাতদন্তের পর আজ নজরুলের লাশ হস্তান্তর করা
হয়। গতকাল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের চাপড়া সীমান্তের
২৯৫ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অন্তত ৫০ গজ ভেতরে নয়াপুকুরের পাড়ে
ঢুকে এ হামলা চালায় বিএসএফ। এ সময় সাহাজুল ইসলাম (৪০) নামের আরেকজন
খেতমজুর গুলিবিদ্ধ হন।
আজ বিকেল চারটার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চাপড়া সীমান্তের ২৯৫ মেইন পিলারের কাছে নজরুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল চ্যাটার্জি নজরুলের লাশটি বিরামপুর থানার এসআই মমতাজুল হকের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি ২৯ ব্যাটালিয়নের রানীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও ভারতের ৯৬ ব্যাটালিয়নের গুমসী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কাশ্মীরি লাল। আরও উপস্থিত ছিলেন নিহত নজরুলের মামা মনসুর রহমান ও শ্যালক আরিফুল ইসলাম।
নিহত নজরুলের স্ত্রী পলাশী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে একই গ্রামের মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তির জমিতে তাঁর স্বামী ধানের চারা রোপণ করছিলেন। আশপাশের খেতগুলোতে কাজ করছিলেন আরও ১০-১২ জন শ্রমিক। তাঁদের জন্য সকালের খাবার নিয়ে গেলে শ্রমিকেরা নয়াপুকুরে হাত-মুখ ধুতে যান। পুকুরের দক্ষিণ দিক থেকে বিএসএফের দুজন ও পশ্চিম দিক থেকে পাঁচজন সদস্য রাইফেল তাক করে আসতে থাকেন। এ সময় বিএসএফের সদস্যদের কাছে বাংলাদেশে আসার কারণ জানতে চান নজরুল। কোনো কথা না বলে তাঁকেই প্রথম গুলি করে বিএসএফ। গুলি তাঁর বুকে বিদ্ধ হয়। নজরুল সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে টেনেহিঁচড়ে নজরুলের লাশ সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ বিকেল চারটার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চাপড়া সীমান্তের ২৯৫ মেইন পিলারের কাছে নজরুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল চ্যাটার্জি নজরুলের লাশটি বিরামপুর থানার এসআই মমতাজুল হকের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি ২৯ ব্যাটালিয়নের রানীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম ও ভারতের ৯৬ ব্যাটালিয়নের গুমসী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কাশ্মীরি লাল। আরও উপস্থিত ছিলেন নিহত নজরুলের মামা মনসুর রহমান ও শ্যালক আরিফুল ইসলাম।
নিহত নজরুলের স্ত্রী পলাশী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে একই গ্রামের মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তির জমিতে তাঁর স্বামী ধানের চারা রোপণ করছিলেন। আশপাশের খেতগুলোতে কাজ করছিলেন আরও ১০-১২ জন শ্রমিক। তাঁদের জন্য সকালের খাবার নিয়ে গেলে শ্রমিকেরা নয়াপুকুরে হাত-মুখ ধুতে যান। পুকুরের দক্ষিণ দিক থেকে বিএসএফের দুজন ও পশ্চিম দিক থেকে পাঁচজন সদস্য রাইফেল তাক করে আসতে থাকেন। এ সময় বিএসএফের সদস্যদের কাছে বাংলাদেশে আসার কারণ জানতে চান নজরুল। কোনো কথা না বলে তাঁকেই প্রথম গুলি করে বিএসএফ। গুলি তাঁর বুকে বিদ্ধ হয়। নজরুল সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে টেনেহিঁচড়ে নজরুলের লাশ সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়।
No comments