মিসরে ১৮৩ ব্রাদারহুড নেতার মৃত্যুদণ্ড বহাল
মিসরের
উচ্চ আদালত দেশটির রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৮৩ জন নেতাকর্মীর
বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। গতকাল এ আদেশ দেন দেশটির
আদালত।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির আদালত এক গণবিচারে ১৮৮ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের প্রাথমিক আদেশ প্রণ। সোমবারের পুনঃরায়ে ১৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে নির্দোষ, একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করা হয়।
২০১৩ সালের আগস্ট মাসে দেশটির কারাদাস শহরে ১৬ জন পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। মিসরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকার ও মুরসি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ জন রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী ব্রাদারহুডের ওপর ওই দমন-নিপীড়ন ছিল আধুনিক মিসরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। দলটির হাজার হাজার সমর্থককে গ্রেফতার করে গণবিচারের সম্মুখীন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই বিচারকে বিরোধী মত দমন হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের এ রায়টি ছিল একই বছরের তৃতীয় গণমৃত্যুদণ্ডের রায়, যার ব্যাপক সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। একই বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির আদালত একই সাথে ৬৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। মুরসি সরকারকে উৎখাত করে সেনাপ্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ব্রাদারহুডকে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইসলামপন্থী চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের তদবির
এ দিকে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার না করার জন্য ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সরকারের সাথে আলোচনা করছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। এসব চ্যানেল ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয় বলে মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রী সামেহ সুকরি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে অবস্থিত মিসরের দূতাবাসকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয় এ প্রচেষ্টা মিসরের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সবার সামনে তুলে ধরবে। মন্ত্রণালয় আরো অভিযোগ করেছে, ব্রাদারহুড সমর্থক এসব চ্যানেল প্রকাশ্যে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উৎসাহিত করছে। তবে কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশের সাথে এসব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করতে আলোচনা করা হচ্ছে তা জানায়নি মন্ত্রণালয়।
৪০০ দিন পর মুক্তি পেলেন আলজাজিরার সাংবাদিক
মিসরে ৪০০ দিন কারাবন্দী থাকার পর আলজাজিরার সাংবাদিক পিটার গ্রেসটে মুক্তি পেয়েছেন। তবে মোহাম্মদ ফাহমি ও বাহের মোহাম্মদ নামে অপর দুই সংবাদকর্মী এখনো বন্দী রয়েছেন। মুক্তির পর তিনি সাইপ্রাসে চলে গেছেন। পিটার গ্রেসটে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আটক হন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। মোহাম্মদ ফাহমি ও বাহের মোহাম্মদ নামে অপর দুই সংবাদকর্মী এখনো মিসরে বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাহমিকে কানাডায় পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে। কিন্তু বাহের মোহাম্মদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সে সম্পর্কে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। আলজাজিরার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সোয়াগ এক বিবৃতিতে জানান, পিটার তার পরিবারের সাথে আবার মিলিত হতে পারায় তারা ভীষণ আনন্দিত। একই সাথে বাহের ও ফাহমিকে মুক্তির জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির আদালত এক গণবিচারে ১৮৮ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের প্রাথমিক আদেশ প্রণ। সোমবারের পুনঃরায়ে ১৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে নির্দোষ, একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করা হয়।
২০১৩ সালের আগস্ট মাসে দেশটির কারাদাস শহরে ১৬ জন পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। মিসরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকার ও মুরসি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ জন রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী ব্রাদারহুডের ওপর ওই দমন-নিপীড়ন ছিল আধুনিক মিসরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। দলটির হাজার হাজার সমর্থককে গ্রেফতার করে গণবিচারের সম্মুখীন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই বিচারকে বিরোধী মত দমন হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের এ রায়টি ছিল একই বছরের তৃতীয় গণমৃত্যুদণ্ডের রায়, যার ব্যাপক সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। একই বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির আদালত একই সাথে ৬৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। মুরসি সরকারকে উৎখাত করে সেনাপ্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ব্রাদারহুডকে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইসলামপন্থী চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের তদবির
এ দিকে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার না করার জন্য ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সরকারের সাথে আলোচনা করছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। এসব চ্যানেল ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয় বলে মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রী সামেহ সুকরি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে অবস্থিত মিসরের দূতাবাসকে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয় এ প্রচেষ্টা মিসরের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সবার সামনে তুলে ধরবে। মন্ত্রণালয় আরো অভিযোগ করেছে, ব্রাদারহুড সমর্থক এসব চ্যানেল প্রকাশ্যে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উৎসাহিত করছে। তবে কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশের সাথে এসব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করতে আলোচনা করা হচ্ছে তা জানায়নি মন্ত্রণালয়।
৪০০ দিন পর মুক্তি পেলেন আলজাজিরার সাংবাদিক
মিসরে ৪০০ দিন কারাবন্দী থাকার পর আলজাজিরার সাংবাদিক পিটার গ্রেসটে মুক্তি পেয়েছেন। তবে মোহাম্মদ ফাহমি ও বাহের মোহাম্মদ নামে অপর দুই সংবাদকর্মী এখনো বন্দী রয়েছেন। মুক্তির পর তিনি সাইপ্রাসে চলে গেছেন। পিটার গ্রেসটে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আটক হন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। মোহাম্মদ ফাহমি ও বাহের মোহাম্মদ নামে অপর দুই সংবাদকর্মী এখনো মিসরে বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাহমিকে কানাডায় পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে। কিন্তু বাহের মোহাম্মদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সে সম্পর্কে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। আলজাজিরার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সোয়াগ এক বিবৃতিতে জানান, পিটার তার পরিবারের সাথে আবার মিলিত হতে পারায় তারা ভীষণ আনন্দিত। একই সাথে বাহের ও ফাহমিকে মুক্তির জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
No comments