বার্ন ইউনিটে এ কেমন ফটোসেশন?
দগ্ধ
মানুষের আর্তনাদ, পোড়া গন্ধ ও স্বজনদের হাহাকারে বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে
ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। আর সেখানেই কিনা চলছে
আগুনে পোড়া রোগীদের ফটোসেশন! ভাবতে অবাক লাগলেও এমনই কয়েকটি ঘটনায় হতবাক
হয়েছেন অনেকে। যেই ইউনিটিতে সারাক্ষণ পোড়া শরীরে জীবানুনাশক ওষুধের উৎকট
গন্ধ। আর একই সাথে চলছে পোড়া রোগীদের আর্তনাদ ও স্বজনদের আহাজারি, সেখানে
সাংবাদিক পরিচয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বোমার আগুনে পোড়া রোগীদের নিয়ে
চলছে ফটো সেশন। এমনই একটি ফটো সেশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে
বিতর্ক, চলছে আলোচনা। বিতর্কিত এমন ফটোসেশন করে বেশ সমালোচনায় পড়েছেন
সাইফুল হক অমি নামে এক ফটোগ্রাফার।
বাংলা ট্রিবিউন এর ফটো সাংবাদিক নাসিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গতকাল শনিবার ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার সাইফুল হক অমি নামে এক ফটোগ্রাফার পেট্রল বোমা হামলায় দগ্ধ রোগীদের ছবি তুলছিলেন। ছবি তোলার আগে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেননি’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য আরেকজন ফটোগ্রাফার জানান, ‘অমি যখন ওই ওয়ার্ডে যান তখন রোগীদের স্বজনেরা রোগীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন। এসময় ওই ওয়ার্ডে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। এরপর সেই ফটোগ্রাফার কারও কাছে কিছু জিজ্ঞেস না করেই তার সহযোগীকে ছবি তোলার জন্য পর্দা এবং লাইট রেডি করতে বলেন’। এরপর তিনি গুরুতর আহত রোগীদের পর্দার সামনে গিয়ে হাত উপরে তুলে ছবি তোলার জন্য দাঁড়াতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘অমি নামের ওই ফটোগ্রাফার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) প্রবেশ করেন। এবং তার এমন অমানবিক আচরণ সেখানে উপস্থিত অন্য ফটোগ্রাফারদেরও হতবাক করে দেয়। এরপর তারা অমিকে বাধা দেয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে অমিকে বের করে দিতে বলেন’।
সাইফুল হক অমি New York Times এর ফটোগ্রাফার বলে সব জায়গায় পরিচয় দেন বলেও ফটোগ্রাফাররা জানান।
ফটো সাংবাদিক রোহাত আলী রাজীব তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন: ঢামেক বার্ন ইউনিটে নোংরা, পচা রাজনীতির শিকার হয়ে যখন বেডে শুয়ে মরণ যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ, তখন ডিএসএলআর ক্যামেরাধারী একদল …., সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বার্ন ইউনিটে ঢুকে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পোড়া রোগীদের দিয়ে শুটিং করছে। বেডে শুয়ে থাকা রোগীদের এভাবে টেনে তুলে এনে ঠিক এভাবেই ছবি তুলছে এসব —– দল। সবাই ভাবছে এরা সাংবাদিক। হলফ করে বলা যায় রোগীদের এভাবে ছবি তোলা কোন সাংবাদিকের কাজ নয়। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা এসব …. বাচ্চা ফটোগ্রাফারদের বোধদয় কবে হবে মহান আল্লাহপাক জানেন।
অন্যদিকে এইচডিইউতে পেট্রলবোমা হামলায় ভর্তি হওয়া আহতরা বলছেন, ‘আমাদের কি করার আছে আপনারাই (সাংবাদিক) আমাদেরকে ছবি তোলার জন্য ডাকছেন। এতে আমরা কী করতে পারি বলেন? আমাদের অবস্থাটা বুঝতে পারা আপনাদের মানবিকতার বিষয়’।
এ প্রসঙ্গে ফটোগ্রাফার সাইফুল হক অমি নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে জানান, ‘আমি একজন মানবাধিকার কর্মী। নাশকতায় দগ্ধ মানুষের ওপরে একটা ডকুমেন্টারি নিয়ে কাজ করছি। তাছাড়া আমি রোগীদের কোনও সমস্যা করিনি। আমি কেবল আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি’।
বাংলা ট্রিবিউন এর ফটো সাংবাদিক নাসিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গতকাল শনিবার ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার সাইফুল হক অমি নামে এক ফটোগ্রাফার পেট্রল বোমা হামলায় দগ্ধ রোগীদের ছবি তুলছিলেন। ছবি তোলার আগে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেননি’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য আরেকজন ফটোগ্রাফার জানান, ‘অমি যখন ওই ওয়ার্ডে যান তখন রোগীদের স্বজনেরা রোগীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন। এসময় ওই ওয়ার্ডে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। এরপর সেই ফটোগ্রাফার কারও কাছে কিছু জিজ্ঞেস না করেই তার সহযোগীকে ছবি তোলার জন্য পর্দা এবং লাইট রেডি করতে বলেন’। এরপর তিনি গুরুতর আহত রোগীদের পর্দার সামনে গিয়ে হাত উপরে তুলে ছবি তোলার জন্য দাঁড়াতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘অমি নামের ওই ফটোগ্রাফার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) প্রবেশ করেন। এবং তার এমন অমানবিক আচরণ সেখানে উপস্থিত অন্য ফটোগ্রাফারদেরও হতবাক করে দেয়। এরপর তারা অমিকে বাধা দেয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে অমিকে বের করে দিতে বলেন’।
সাইফুল হক অমি New York Times এর ফটোগ্রাফার বলে সব জায়গায় পরিচয় দেন বলেও ফটোগ্রাফাররা জানান।
ফটো সাংবাদিক রোহাত আলী রাজীব তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন: ঢামেক বার্ন ইউনিটে নোংরা, পচা রাজনীতির শিকার হয়ে যখন বেডে শুয়ে মরণ যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ, তখন ডিএসএলআর ক্যামেরাধারী একদল …., সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বার্ন ইউনিটে ঢুকে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পোড়া রোগীদের দিয়ে শুটিং করছে। বেডে শুয়ে থাকা রোগীদের এভাবে টেনে তুলে এনে ঠিক এভাবেই ছবি তুলছে এসব —– দল। সবাই ভাবছে এরা সাংবাদিক। হলফ করে বলা যায় রোগীদের এভাবে ছবি তোলা কোন সাংবাদিকের কাজ নয়। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা এসব …. বাচ্চা ফটোগ্রাফারদের বোধদয় কবে হবে মহান আল্লাহপাক জানেন।
অন্যদিকে এইচডিইউতে পেট্রলবোমা হামলায় ভর্তি হওয়া আহতরা বলছেন, ‘আমাদের কি করার আছে আপনারাই (সাংবাদিক) আমাদেরকে ছবি তোলার জন্য ডাকছেন। এতে আমরা কী করতে পারি বলেন? আমাদের অবস্থাটা বুঝতে পারা আপনাদের মানবিকতার বিষয়’।
এ প্রসঙ্গে ফটোগ্রাফার সাইফুল হক অমি নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে জানান, ‘আমি একজন মানবাধিকার কর্মী। নাশকতায় দগ্ধ মানুষের ওপরে একটা ডকুমেন্টারি নিয়ে কাজ করছি। তাছাড়া আমি রোগীদের কোনও সমস্যা করিনি। আমি কেবল আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি’।
No comments