চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন- নগর ভবনে যান না মেয়র, বাসাতেই দাপ্তরিক কাজ by সুজন ঘোষ
উত্তর কাট্টলির নিজ বাসভবনে দাপ্তরিক কাজ করছেন চট্টগ্রামের মেয়র মনজুর আলম। গতকাল দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
চট্টগ্রামের
আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের দ্বিতীয় তলায় সিটি মেয়রের কার্যালয়। গতকাল
সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সেখানে গিয়ে দেখা যায় কার্যালয়টি বাইরে থেকে
তালাবদ্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের পাশের কক্ষটি মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারীর।
তাঁর আসনটিও ফাঁকা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির
নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ শুরু হওয়ার পর নগর ভবনে আসছেন
না মেয়র মনজুর আলম। নগরের উত্তর কাট্টলীর নিজ বাসাতেই দাপ্তরিক কাজ করছেন
তিনি। এ কারণে নগর ভবন থেকে আট কিলোমিটার দূরে মেয়রের বাসায় প্রতিদিনই
প্রয়োজনীয় ফাইল ও নথি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সর্বশেষ
গত ২৮ জানুয়ারি করপোরেশনের ৫৫তম সাধারণ সভায় যোগ দিতে নগর ভবনে আসেন
মেয়র।
তবে নগর ভবনে না গেলেও সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে প্রায় নিয়মিতই অতিথি হিসেবে হাজির থাকছেন মেয়র। এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি শহীদ মিনার এলাকায় একটি দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ১৫ জানুয়ারি উত্তর কাট্টলীতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ১৯ জানুয়ারি উত্তর কাট্টলী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর কাট্টলীতে একটি কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মেয়র।
করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি জোটের ডাকা হরতালেও নগর ভবনে আসতেন না মেয়র মনজুর আলম। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।
করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সকালে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে চলে যান মেয়রের উত্তর কাট্টলীর বাসা ‘মোস্তফা-হাকিম’ ভবনে। ছয়তলা এই ভবনের নিচতলাটি তিনি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। সেখানেই করপোরেশনের সমন্বয় সভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈঠক বসছে।
করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচিতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও বাসায় অফিস করতেন।
কার্যালয়ে না এসে বাসায় বসে মেয়রের দাপ্তরিক কাজ করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মেয়রের বাসাও অফিস হিসেবে বিবেচিত হয়। মেয়র চাইলে তাঁর বাসায়ও অফিস করতে পারেন। দাপ্তরিক কাজকর্মও সারতে পারেন। এতে বড় কোনো সমস্যা হয় না। তবে তিনি (মেয়র মনজুর আলম) একটানা নগর ভবনে আসেন না, এটি কতটুকু যুক্তিসংগত ভেবে দেখা উচিত।
নগর ভবনে মেয়রের টানা অনুপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলররা বলছেন, মেয়র না আসাতে করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত কাউন্সিলররা বলছেন, মেয়র কার্যালয়ে না এলেও কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেহেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল-অবরোধে মেয়র নগর ভবনে না আসায় কিছু সমস্যা তো হচ্ছে। সব কাজ তো আর বাসায় বসে করা যায় না। আর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও নগরবাসীর স্বার্থেই নগর ভবনের কার্যালয়ে এসে তাঁর অফিস করা উচিত।
তবে জামায়াত-সমর্থিত কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, শুধু কাজের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। মেয়র তাঁর বাসভবনে বসে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই সারছেন। করপোরেশনের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
গতকাল নগর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ও করপোরেশনের কর্মচারীরা ছাড়া আর কেউ নেই। এই তলাতেই মেয়রসহ করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, একান্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়। বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁদের কাউকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি।
কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রশিক্ষণের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেড় মাসের ছুটিতে আছেন। মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মেয়রের বাসভবনে অবস্থান করছেন। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক দাপ্তরিক কাজে বাইরে রয়েছেন।
নগর ভবনের তৃতীয় তলায় করপোরেশনের সচিবের কক্ষে গিয়ে জানা যায়, সচিব রশিদ আহমদ মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে যোগ দিতে সকালে ঢাকায় গেছেন। এই তলায় অবস্থিত তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মধ্যে আনোয়ার হোছাইন ও রফিকুল ইসলামকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়। পাঁচতলায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও ছয়তলায় প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকেও নিজ কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁরা দাপ্তরিক কাজে মেয়রের বাসভবনে গিয়েছেন বলে জানান কর্মচারীরা।
করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন ও রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়র যখন যেখানে থাকেন সেখানে অফিস করতে পারেন। আমরা প্রয়োজনীয় ফাইল নিয়ে সকালে মেয়রের বাসভবনে চলে যাই। সেখানে তিনি আমাদের কাজের নির্দেশনা দেন। এতে কাজের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।’
গতকাল দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মেয়রের বাসভবনে প্রবেশের সময় দেখা যায়, বাসা থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, করপোরেশনের উপসচিব সাইফুদ্দিন মাহমুদ কাতেবী, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ছৈয়দ ও নেজারত শাখার নাজির মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। মেয়রের বাসভবনে ছিলেন একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম।
বেলা পৌনে একটার দিকে মেয়রের বাসায় ফাইল নিয়ে হাজির হন করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আশেক রসুল চৌধুরী। এরপর মেয়র তাঁর একান্ত সচিব ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন।
গতকাল সকালে বৃহত্তর আগ্রাবাদ-হালিশহর জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সদস্যরা মেয়রের সঙ্গে তাঁর বাসায় দেখা করেছেন। তাঁরা মহেশ খাল খনন ও খালের মুখে জলকপাট স্থাপনে মেয়রের সহযোগিতা চান।
অবরোধে নগর ভবনে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মনজুর আলম সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, নগর ভবনে না গেলেও করপোরেশনের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রত্যেকটি বিভাগ সচল রয়েছে। এখানেই (মেয়র বাসভবন কার্যালয়) নিয়মিত বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আাগে নগরবাসী নগর ভবনে আসতেন। এখন সরাসরি বাসায় চলে আসেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছি।
তবে নগর ভবনে না গেলেও সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে প্রায় নিয়মিতই অতিথি হিসেবে হাজির থাকছেন মেয়র। এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি শহীদ মিনার এলাকায় একটি দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ১৫ জানুয়ারি উত্তর কাট্টলীতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ১৯ জানুয়ারি উত্তর কাট্টলী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর কাট্টলীতে একটি কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মেয়র।
করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি জোটের ডাকা হরতালেও নগর ভবনে আসতেন না মেয়র মনজুর আলম। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।
করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সকালে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে চলে যান মেয়রের উত্তর কাট্টলীর বাসা ‘মোস্তফা-হাকিম’ ভবনে। ছয়তলা এই ভবনের নিচতলাটি তিনি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। সেখানেই করপোরেশনের সমন্বয় সভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈঠক বসছে।
করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচিতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও বাসায় অফিস করতেন।
কার্যালয়ে না এসে বাসায় বসে মেয়রের দাপ্তরিক কাজ করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মেয়রের বাসাও অফিস হিসেবে বিবেচিত হয়। মেয়র চাইলে তাঁর বাসায়ও অফিস করতে পারেন। দাপ্তরিক কাজকর্মও সারতে পারেন। এতে বড় কোনো সমস্যা হয় না। তবে তিনি (মেয়র মনজুর আলম) একটানা নগর ভবনে আসেন না, এটি কতটুকু যুক্তিসংগত ভেবে দেখা উচিত।
নগর ভবনে মেয়রের টানা অনুপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলররা বলছেন, মেয়র না আসাতে করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত কাউন্সিলররা বলছেন, মেয়র কার্যালয়ে না এলেও কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেহেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল-অবরোধে মেয়র নগর ভবনে না আসায় কিছু সমস্যা তো হচ্ছে। সব কাজ তো আর বাসায় বসে করা যায় না। আর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও নগরবাসীর স্বার্থেই নগর ভবনের কার্যালয়ে এসে তাঁর অফিস করা উচিত।
তবে জামায়াত-সমর্থিত কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, শুধু কাজের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। মেয়র তাঁর বাসভবনে বসে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই সারছেন। করপোরেশনের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
গতকাল নগর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ও করপোরেশনের কর্মচারীরা ছাড়া আর কেউ নেই। এই তলাতেই মেয়রসহ করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, একান্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়। বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁদের কাউকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি।
কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রশিক্ষণের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেড় মাসের ছুটিতে আছেন। মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মেয়রের বাসভবনে অবস্থান করছেন। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক দাপ্তরিক কাজে বাইরে রয়েছেন।
নগর ভবনের তৃতীয় তলায় করপোরেশনের সচিবের কক্ষে গিয়ে জানা যায়, সচিব রশিদ আহমদ মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে যোগ দিতে সকালে ঢাকায় গেছেন। এই তলায় অবস্থিত তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মধ্যে আনোয়ার হোছাইন ও রফিকুল ইসলামকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়। পাঁচতলায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও ছয়তলায় প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকেও নিজ কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁরা দাপ্তরিক কাজে মেয়রের বাসভবনে গিয়েছেন বলে জানান কর্মচারীরা।
করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন ও রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়র যখন যেখানে থাকেন সেখানে অফিস করতে পারেন। আমরা প্রয়োজনীয় ফাইল নিয়ে সকালে মেয়রের বাসভবনে চলে যাই। সেখানে তিনি আমাদের কাজের নির্দেশনা দেন। এতে কাজের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।’
গতকাল দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মেয়রের বাসভবনে প্রবেশের সময় দেখা যায়, বাসা থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, করপোরেশনের উপসচিব সাইফুদ্দিন মাহমুদ কাতেবী, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ছৈয়দ ও নেজারত শাখার নাজির মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। মেয়রের বাসভবনে ছিলেন একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম।
বেলা পৌনে একটার দিকে মেয়রের বাসায় ফাইল নিয়ে হাজির হন করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আশেক রসুল চৌধুরী। এরপর মেয়র তাঁর একান্ত সচিব ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন।
গতকাল সকালে বৃহত্তর আগ্রাবাদ-হালিশহর জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সদস্যরা মেয়রের সঙ্গে তাঁর বাসায় দেখা করেছেন। তাঁরা মহেশ খাল খনন ও খালের মুখে জলকপাট স্থাপনে মেয়রের সহযোগিতা চান।
অবরোধে নগর ভবনে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মনজুর আলম সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, নগর ভবনে না গেলেও করপোরেশনের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রত্যেকটি বিভাগ সচল রয়েছে। এখানেই (মেয়র বাসভবন কার্যালয়) নিয়মিত বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আাগে নগরবাসী নগর ভবনে আসতেন। এখন সরাসরি বাসায় চলে আসেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছি।
No comments