১৭ দিন ধরে মর্গে পড়ে আছে দগ্ধ শিশুর লাশ by শহিদুল ইসলাম রাজী
মৃত্যুর আগে বার্ন ইউনিটে জাকির হোসেন |
বার
বছরের শিশু জাকির হোসেন। তার পরিচয় শুধু নামটিই। আগুনে ঝলসে গিয়েছিল তার
শরীর। টানা দশ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে যায় শিশুটি। সতেরো দিন ধরে
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে হিমাগারে পড়ে আছে শিশুটির লাশ। জ্ঞান থাকা
অবস্থায় চিকিৎসকদের কাছে শুধু নিজের নামটি ছাড়া আর কিছুই জানাতে পারেনি
হতভাগ্য শিশুটি। তবে কিসের আগুনে পুড়ল শিশুটি তা আজও নিশ্চিত করতে পারেনি
পুলিশ। শিশুটির খোঁজে গতকাল পর্যন্ত কেউ আসেনি মর্গে। খুঁজে পাওয়া যায়নি
তার কোনো স্বজনকে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, আগুনে পোড়ার পাশাপাশি
শিশুটির মাথায় আঘাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাই
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কোনো বাসে দেয়া আগুনে, নাকি পারিবারিক সহিংসতায়
শিশুটির এই অবস্থা হয়েছে? শুধু তাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে শিশুটি কার সন্তান,
কোথায় দগ্ধ হয়েছে শিশুটি?
পুলিশ ও মর্গ সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার আগুনে জাকির পুড়েছেÑ এমন ধারণা থেকেই আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে কবে, কখন, কোন নাশকতায় সে পুড়েছে, তা বের করতে পারেনি পুলিশ। পরিচয় শনাক্ত না হলে দু-তিন দিনের মধ্যেই আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে শিশুটির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে নবীনগরে রাস্তায় দগ্ধ হয়ে পড়েছিল জাকির। সেখান থেকে দগ্ধ ও মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই হতভাগ্য শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। ওই হাসপাতালের বিছানায় ৯ দিন ধরে চিকিৎসা দেয়া হয় শিশুটিকে। গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জাকিরের শরীরের ৭৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। শিশুটি তার নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারেনি। পরের দিন শুক্রবার শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রভাষক ডা: প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তা ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটির ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে। পরে কেউ লাশের দাবিদার হলে তখন দাবিদারের ডিএনএ নমুনা পরীা করে শনাক্ত হলে সেই দাবিদারকে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ওই দিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে কয়েকজন যুবক আশুলিয়ার নবীনগর থেকে আগুনে দগ্ধ ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেই রাত থেকে তারা শিশুটিকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। জীবিত অবস্থায় শিশুটি নিজের নাম ছাড়া মা-বাবার নাম কিংবা বাড়ির ঠিকানা কিছুই বলতে পারেনি।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী অজ্ঞাত পরিচয় সেই যুবকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি শিশু ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ওই যুবকেরা উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নয়ন নামে এক যুবক মাঝে মধ্যে হাসপাতালে এসে ওই শিশুর খোঁজখবর নিতেন, যিনি উদ্ধারকারীদের সাথে ছিলেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কোনো বাসে অবরোধকারীদের দেয়া আগুনে, নাকি পারিবারিক সহিংসতায় শিশুটির এই অবস্থা হয়েছেÑ তা আজো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, শিশুটি দগ্ধ হয়ে সারা শরীরে দগদগে ত অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটির শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ আগুনে দগ্ধ ছিল। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল।
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ সহকারী সেকান্দার আলী জানান, শিশুটির লাশ ১৭ দিন ধরে মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ শিশুটিকে শনাক্ত করতে আসেনি। আরো দু-এক দিন অপেক্ষা করে লাশ আঞ্জুমানকে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের জানান, এখনো শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কোন ঘটনায় সে কিভাবে পুড়েছে তা-ও জানা যায়নি। বাহক নয়নসহ ও নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন বাসের আগুনে জাকির পুড়েছে তা বের করতে পারেনি পুলিশ। তবে নাশকতার আগুনে দগ্ধ হয়েছেÑ এমন ধারণা থেকে একটি মামলা করেছে পুলিশ। তার তদন্ত চলছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত)।
পুলিশ ও মর্গ সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার আগুনে জাকির পুড়েছেÑ এমন ধারণা থেকেই আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে কবে, কখন, কোন নাশকতায় সে পুড়েছে, তা বের করতে পারেনি পুলিশ। পরিচয় শনাক্ত না হলে দু-তিন দিনের মধ্যেই আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে শিশুটির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে নবীনগরে রাস্তায় দগ্ধ হয়ে পড়েছিল জাকির। সেখান থেকে দগ্ধ ও মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই হতভাগ্য শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। ওই হাসপাতালের বিছানায় ৯ দিন ধরে চিকিৎসা দেয়া হয় শিশুটিকে। গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জাকিরের শরীরের ৭৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। শিশুটি তার নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারেনি। পরের দিন শুক্রবার শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রভাষক ডা: প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তা ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটির ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে। পরে কেউ লাশের দাবিদার হলে তখন দাবিদারের ডিএনএ নমুনা পরীা করে শনাক্ত হলে সেই দাবিদারকে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ওই দিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে কয়েকজন যুবক আশুলিয়ার নবীনগর থেকে আগুনে দগ্ধ ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেই রাত থেকে তারা শিশুটিকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। জীবিত অবস্থায় শিশুটি নিজের নাম ছাড়া মা-বাবার নাম কিংবা বাড়ির ঠিকানা কিছুই বলতে পারেনি।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী অজ্ঞাত পরিচয় সেই যুবকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি শিশু ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ওই যুবকেরা উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নয়ন নামে এক যুবক মাঝে মধ্যে হাসপাতালে এসে ওই শিশুর খোঁজখবর নিতেন, যিনি উদ্ধারকারীদের সাথে ছিলেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কোনো বাসে অবরোধকারীদের দেয়া আগুনে, নাকি পারিবারিক সহিংসতায় শিশুটির এই অবস্থা হয়েছেÑ তা আজো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, শিশুটি দগ্ধ হয়ে সারা শরীরে দগদগে ত অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটির শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ আগুনে দগ্ধ ছিল। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল।
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ সহকারী সেকান্দার আলী জানান, শিশুটির লাশ ১৭ দিন ধরে মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ শিশুটিকে শনাক্ত করতে আসেনি। আরো দু-এক দিন অপেক্ষা করে লাশ আঞ্জুমানকে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের জানান, এখনো শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কোন ঘটনায় সে কিভাবে পুড়েছে তা-ও জানা যায়নি। বাহক নয়নসহ ও নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন বাসের আগুনে জাকির পুড়েছে তা বের করতে পারেনি পুলিশ। তবে নাশকতার আগুনে দগ্ধ হয়েছেÑ এমন ধারণা থেকে একটি মামলা করেছে পুলিশ। তার তদন্ত চলছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত)।
No comments