দিল্লি দূর অস্ত... by আসিফ আহমেদ
কে
দিলি্ল রাজ্যের ক্ষমতায় বসবেন, সেটা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার। মাত্র
এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয়বার এক কোটির বেশি ভোটার ভোট দিলেন রাজ্য বিধানসভা
নির্বাচনে। মাঝে লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেছে এবং তাতে দিলি্লর সাতটি আসনই দখল
করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির বিজেপির প্রার্থীরা। কিন্তু শনিবার ভোটপর্ব
শেষ হওয়ার পর যে কয়টি বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ হয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে_
বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না। ক্ষমতায়
ফিরে আসছেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগের বারের নির্বাচনে এ
দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে তাদের নির্ভর করতে হয়েছিল
কংগ্রেসের সমর্থনের ওপর। সে সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারে ছিল কংগ্রেসের
নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। তাদের সঙ্গে বনিবনা হয়নি আম আদমি পার্টির। ফলে
দিলি্লর মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে। অনেকে মনে করছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে
জিহাদ ঘোষণা করে ক্ষমতায় আসা দলটি এভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয়
দেয়নি। তাদের উচিত ছিল বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সমঝোতা করে চলা। আম আদমি
পার্টি লোকসভা নির্বাচনে দিলি্লর কোনো আসনে জয়ী না হওয়ায় রাজনৈতিক
পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল 'অস্থিরমতি'। জনগণ তাকে
উচিত শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে মূল নিয়ন্তা হচ্ছে জনতা বা আম আদমি।
তারা সর্বদা সঠিক_ এমন দাবি সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু তাদের মন সম্ভবত
সবাই ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। দিলি্লতে লোকসভা নির্বাচনের পর তারা মাত্র
কয়েক মাসের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি।
বুথফেরত সমীক্ষা যদি সঠিক হয় তাহলে এই জনতাই আরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতায়
ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনছে আম আদমি পার্টিকে। আর তাদের মনোভাবের কারণে কেন্দ্রে
ক্ষমতাসীন বিজেপির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক কি শেষ
হয়ে গেল, এমন প্রশ্ন স্বভাবতই উঠবে। শনিবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত দলটির নাম কংগ্রেস, যার বেশিরভাগ সমর্থক এবারে ভোট দিয়েছেন আম
আদমি পার্টিকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলটি ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বুথফেরত
সমীক্ষা বলছে, এতে এবারে ধস নামবেই। এমনকি এটাও বলা হচ্ছে_ কংগ্রেস ৭০
আসনের বিধানসভায় কোনো আসনই পাবে না। সমাজে নিচুতলার মানুষ বলে যারা পরিচিত
তারা বহু বছর কংগ্রেসের ভোটব্যাংক হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু এবারে তারা
দলে দলে হাত মিলিয়েছে আম আদমি পার্টির সঙ্গে।
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতৃত্বের বেশিরভাগ দিলি্লতে বসবাস করেন। নির্বাচনী প্রচারের এক পর্যায়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আম আদমি পার্টির কাছ থেকে কংগ্রেসের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি যেসব স্থানে সমাবেশ করেছেন, সেগুলোতে প্রচুর ভিড় হয়েছে। তার কথা শুনেছে জনতা। কিন্তু তারা ভারতের রাজধানীতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে চাইছে না। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কেন্দ্র যাদের হাতে তাদের হাতেই রাজ্যের ক্ষমতা থাকলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেশি হবে। অনেকে কিন্তু এ ধরনের মন্তব্য পছন্দ করেননি। ফেডারেল শাসন ব্যবস্থার জন্য এটা হুমকি_ সে সতর্কবার্তাও উচ্চারিত হয়েছে। আম আদমি পার্টি সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দিলি্ল বিজেপির জন্য দূর অস্তই থেকে যাবে। এ রাজ্যে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। এখন যদি আম আদমি পার্টি পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে, সেটা বিজেপির জন্যও গভীর চিন্তার বিষয় হবে।
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতৃত্বের বেশিরভাগ দিলি্লতে বসবাস করেন। নির্বাচনী প্রচারের এক পর্যায়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আম আদমি পার্টির কাছ থেকে কংগ্রেসের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি যেসব স্থানে সমাবেশ করেছেন, সেগুলোতে প্রচুর ভিড় হয়েছে। তার কথা শুনেছে জনতা। কিন্তু তারা ভারতের রাজধানীতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে চাইছে না। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কেন্দ্র যাদের হাতে তাদের হাতেই রাজ্যের ক্ষমতা থাকলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেশি হবে। অনেকে কিন্তু এ ধরনের মন্তব্য পছন্দ করেননি। ফেডারেল শাসন ব্যবস্থার জন্য এটা হুমকি_ সে সতর্কবার্তাও উচ্চারিত হয়েছে। আম আদমি পার্টি সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দিলি্ল বিজেপির জন্য দূর অস্তই থেকে যাবে। এ রাজ্যে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। এখন যদি আম আদমি পার্টি পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে, সেটা বিজেপির জন্যও গভীর চিন্তার বিষয় হবে।
No comments