শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হরতাল : চুড়ান্ত পরিণতির দিকে আন্দোলন : বিএনপি
বিএনপি’র
যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আ্হমেদ বলেন, আওয়ামী সরকার অবৈধ ক্ষমতা
পাকাপোক্ত করার জন্য এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। তিনি বলেন,
সরকারকে যত সন্ত্রাস, কুটকৌশল ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে হোক না কেন, তবুও
ক্ষমতার মসনদ ত্যাগ করা যাবে না-এ যেন আওয়ামী সরকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে অসৎ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়েই তারা
জনপ্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিকে বেআইনীভাবে বিরোধী দল দমনে সকল নিষ্ঠুর
প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে। আজ গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বলা হয়, দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে, গুলি করে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পঙ্গু ও আহত করার প্রতিবাদে, দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের দাবিতে, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণের প্রতিবাদে, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে, অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এবং এখনও পর্যন্ত অবৈধ সরকার গণদাবি মেনে না নেয়ায় আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি পূনরায় বুধবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি বর্ধিত করা হলো। উক্ত হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদ্বাত্ত আহবান জানাচ্ছি। গণদাবির বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পিছপা হবেনা ২০ দলীয় জোট। জনগণকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দলীয়করণ, কুক্ষিগত বিচার ব্যবস্থা ও দলীয় মনোভাবাপন্ন বিচারকদের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে বিচারিক নির্যাতনের মহড়া চালানো হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশী রিমান্ডে অমানবিকভাবে দিনের পর দিন নির্যাতিত হতে হচ্ছে।
রাত ৯ টার পর মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষনার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে সরকারের অস্তিত্বহীনতাকেই স্বীকার করে নেয়া হলো। অচিরেই সরকার দিনের বেলাতেও সকল সরকারী অফিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী চলমান রাজনৈতিক সংকটকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নামে অভিহিত করেছেন। মূলত: পঞ্চদশ সংশোধনীর পক্ষে আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণে তার উগ্র বাসনাই কথিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের উৎপত্তির কারন এবং সেজন্য তিনি ও তার দল দায়ী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারীর যে অবৈধ ও ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন-সেই নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি, স্পীকার, তার দলের সাধারণ সম্পাদক, ৩৫ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, ১৫৪ জন তথাকথিত বিকাশ মার্কা এমপি’দের কাউকেই ভোট দিতে হয়নি বা দিতে সক্ষম হননি। যেখানে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরেও নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে এবং বাদ বাকি ১৪৬ আসনে ভাগাভাগি করে ৫ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি দেখিয়েছেন, এমনকি মেরুদন্ডহীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নিজের ভোট প্রদানে সক্ষম হননি, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলার জনগণকে প্রতারিত করে গদি পাকাপোক্ত করতে পারবেন বলে এদেশের সংগ্রামী জনগণ মনে করেনা। প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণে আওয়ামী উগ্র বাসনাই চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারন।
পেশীশক্তি তথা সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নাশকতার এক বিভৎস পরিবেশ তৈরী করে অবৈধ ও ভোটারবিহীন সরকার বিরোধী দলের ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণের প্রবল শক্তির কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া আওয়ামী অবৈধ সরকারের কোন গত্যন্তর নেই।
বিবৃতিতে দাবী করা হয়, গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনের গতি দেখে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা এখন তাদের পতনের প্রহর গুণছে। অজস্র নির্যাতনের শৃঙ্খল ভেঙ্গেই এই আন্দোলন এখন চুড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসরমান। এই আন্দোলন গণতন্ত্র মুক্তি ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। মানুষের নিশ্চিন্তে ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। একটি অমানবিক, নিষ্ঠুর, হিংসাশ্রয়ী, গণতন্ত্র বিনাশী এবং অন্ধ ও অহংকারী সরকারকে ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য করার আন্দোলন।
এতে বলা হয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবিতে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী সরকার নিজেরাই সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর অপকৌশল অবলম্বন করছে।
জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মাননীয় চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই-সংযম, দায়িত্ব এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জনগণের আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারে পৌঁছে দিতে আপনাদের বজ্রকঠিন শপথের মাধ্যমে কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। গড়তে হবে গণতন্ত্রের নতুন ইতিহাস। যেখানে থাকবে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক ও মানবাধিকার, গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার গ্যারান্টি, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জাতীয় আকাঙ্খা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।
সরকারের শত জুলুম নির্যাতনের পরও ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন দিনে ঘোষিত হরতাল অত্যন্ত স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহন করে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে অবরোধ সহ হরতাল কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরকে দেশনেত্রীর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।
এতে বলা হয়, দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে, গুলি করে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পঙ্গু ও আহত করার প্রতিবাদে, দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের দাবিতে, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণের প্রতিবাদে, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে, অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এবং এখনও পর্যন্ত অবৈধ সরকার গণদাবি মেনে না নেয়ায় আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি পূনরায় বুধবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি বর্ধিত করা হলো। উক্ত হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদ্বাত্ত আহবান জানাচ্ছি। গণদাবির বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পিছপা হবেনা ২০ দলীয় জোট। জনগণকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দলীয়করণ, কুক্ষিগত বিচার ব্যবস্থা ও দলীয় মনোভাবাপন্ন বিচারকদের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে বিচারিক নির্যাতনের মহড়া চালানো হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশী রিমান্ডে অমানবিকভাবে দিনের পর দিন নির্যাতিত হতে হচ্ছে।
রাত ৯ টার পর মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষনার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে সরকারের অস্তিত্বহীনতাকেই স্বীকার করে নেয়া হলো। অচিরেই সরকার দিনের বেলাতেও সকল সরকারী অফিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী চলমান রাজনৈতিক সংকটকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নামে অভিহিত করেছেন। মূলত: পঞ্চদশ সংশোধনীর পক্ষে আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণে তার উগ্র বাসনাই কথিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের উৎপত্তির কারন এবং সেজন্য তিনি ও তার দল দায়ী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারীর যে অবৈধ ও ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন-সেই নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি, স্পীকার, তার দলের সাধারণ সম্পাদক, ৩৫ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, ১৫৪ জন তথাকথিত বিকাশ মার্কা এমপি’দের কাউকেই ভোট দিতে হয়নি বা দিতে সক্ষম হননি। যেখানে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরেও নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে এবং বাদ বাকি ১৪৬ আসনে ভাগাভাগি করে ৫ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি দেখিয়েছেন, এমনকি মেরুদন্ডহীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নিজের ভোট প্রদানে সক্ষম হননি, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলার জনগণকে প্রতারিত করে গদি পাকাপোক্ত করতে পারবেন বলে এদেশের সংগ্রামী জনগণ মনে করেনা। প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণে আওয়ামী উগ্র বাসনাই চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারন।
পেশীশক্তি তথা সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নাশকতার এক বিভৎস পরিবেশ তৈরী করে অবৈধ ও ভোটারবিহীন সরকার বিরোধী দলের ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণের প্রবল শক্তির কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া আওয়ামী অবৈধ সরকারের কোন গত্যন্তর নেই।
বিবৃতিতে দাবী করা হয়, গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনের গতি দেখে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা এখন তাদের পতনের প্রহর গুণছে। অজস্র নির্যাতনের শৃঙ্খল ভেঙ্গেই এই আন্দোলন এখন চুড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসরমান। এই আন্দোলন গণতন্ত্র মুক্তি ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। মানুষের নিশ্চিন্তে ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। একটি অমানবিক, নিষ্ঠুর, হিংসাশ্রয়ী, গণতন্ত্র বিনাশী এবং অন্ধ ও অহংকারী সরকারকে ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য করার আন্দোলন।
এতে বলা হয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবিতে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী সরকার নিজেরাই সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর অপকৌশল অবলম্বন করছে।
জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মাননীয় চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই-সংযম, দায়িত্ব এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জনগণের আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারে পৌঁছে দিতে আপনাদের বজ্রকঠিন শপথের মাধ্যমে কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। গড়তে হবে গণতন্ত্রের নতুন ইতিহাস। যেখানে থাকবে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক ও মানবাধিকার, গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার গ্যারান্টি, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জাতীয় আকাঙ্খা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।
সরকারের শত জুলুম নির্যাতনের পরও ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন দিনে ঘোষিত হরতাল অত্যন্ত স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহন করে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে অবরোধ সহ হরতাল কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরকে দেশনেত্রীর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।
No comments